আমিতো মরে যাব চলে যাব রেখে যাব স্মৃতি....................
এক জাপানি ভদ্রলোক এসেছেন বাংলাদেশ ভ্রমনে।
এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে সামনে অপেক্ষারত একটা ট্যাক্সিতে চড়ে বসলেন হোটেলে যাওয়ার জন্য।
একটু পরে একটা মোটরবাইক পাশ কাটাতেই জাপানিটা সোল্লাসে বলে উঠল, হোন্ডা, মেড ইন জাপান, ভেরী ফাস্ট!!
ড্রাইভার কিছু বলল না।
একটু পরে ওভারটেক করল একটা কার, আবার জাপানির চিৎকার, টয়োটা, হাহা, মেড ইন জাপান, ভেরী ফাস্ট!!
ট্যাক্সি ড্রাইভার চুপচাপ শুনল, কিছু বলল না।
এরপর একটার পর একটা গাড়ি পেছন থেকে উঠে যাচ্ছে আর জাপানি লোকটার উৎসাহ
বেড়ে যাচ্ছে, কখনও মিৎসুবিশি, কখনও হোন্ডা, কখনও টয়োটা বলে লাফাচ্ছে আর
মনের আনন্দে গুনকীর্তন করছে, মেড ইন জাপান, ভেরী ফাস্ট!! ভেরী ফাস্ট!! অবশেষে, হোটেলে পৌছল তারা।
ক্যাব থেকে নেমে ভাড়া দিতে গিয়ে টাসকি, এইট হান্ড্রেড টাকা? হাউ কাম?
এতক্ষণ চুপ থাকার পর কথা বলার চান্স পেয়েছে ট্যাক্সি ড্রাইভার, হাহা, দিস মিটার, মেড ইন
বাংলাদেশ, ভেরী ফাস্ট! ভেরী ফাস্ট !
মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল স্ত্রীর। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলেন, স্বামী বিছানায় নেই।
বিছানা থেকে নেমে গায়ে গাউন চাপালেন তিনি। তারপর স্বামীকে খুঁজতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলেন। বেশি খুঁজতে হলো না।
রান্নাঘরের টেবিলেই বসে থাকতে দেখা গেল স্বামীকে। হাতে গরম এক কাপ কফি নিয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, গভীর
কোনো চিন্তায় মগ্ন।
মাঝেমধ্যে অবশ্য হাতের রুমাল দিয়ে চোখ থেকে পানি মুছে নিচ্ছেন, তারপর কফি খাচ্ছেন।
‘কী হয়েছে তোমার?’ রান্নাঘরে ঢুকতে ঢুকতে চিন্তিতভাবে বললেন স্ত্রী।
‘এত রাতে রান্নাঘরে কেন?’
স্বামী তাঁর স্ত্রীর দিকে তাকালেন। তারপর গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘হঠাৎ ২০ বছর আগের কথা মনে পড়ল।
খেয়াল আছে তোমার, যেদিন আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। আর তার পর থেকেই তো আমরা ডেট
করতে শুরু করেছিলাম।
তোমার বয়স ছিল ষোলো।
তোমার কি মনে পড়ে সেসব?’
স্ত্রী তাঁর স্বামীর চোখের পানি মুছে দিতে দিতে জবাব
দিলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই মনে আছে। ’
স্বামী একটু থেমে বললেন,
‘তোমার কি মনে আছে, পার্কে তোমার বাবা আমাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন?’
‘হ্যাঁ, আমার মনে আছে। ’ একটা চেয়ার নিয়ে স্বামীর কাছে বসতে বসতে বললেন স্ত্রী।
স্বামী আবার বললেন, ‘মনে আছে, তোমার বাবা তখন রেগে গিয়ে আমার মুখে শটগান ধরে বলেছিলেন, ‘এক্ষুনি আমার মেয়েকে বিয়ে করো, নয়তো তোমাকে ২০ বছর জেল খাটাব আমি। ’
স্ত্রী নরম সুরে বললেন, ‘আমার সবই মনে আছে।
’
স্বামী আবার তাঁর গাল থেকে চোখের পানি মুছতে মুছতে বললেন,
‘আজকে আমি জেল
থেকে ছাড়া পেতাম।
-----------------------রচনা--------------------------
'ভারতীয়'
ভারত একটি উপকারী দেশ। ভারতের একটি রাষ্ট্রপতি, একটি প্রধানমন্ত্রী, একশ কোটি মানুষ, কিছু ক্রিকেটার এবং অনেকগুলো নায়ক- নায়িকা আছে। ভারত ক্রিকেট খেলে এবং সিনেমা দেখে জীবন ধারণ করে। ভারত আমাদের অনেক কাজে লাগে।
ভারত আমাদের কোরবানীর জন্য গরু,
বিপিএলের জন্য বেইশ্যা, শর্দি- কাশির জন্য ফেন্সিডিল (মানবিক কারণে ফেন্সিডিল
আসতে বাধা দেয়না বিএসএফ) এবং ভারতীয়
বিএসএফ আমাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ভারত আমাদের দেশে অনেক এজন্ট রেখেছে, যারা যাতায়াতের সুবিধার জন্য আমাতে তিতাসের মত নদীর উপর বাঁধ দেয় যেকোন সময়।
তবে ভারতের বড়বড় মিছাঈল থাকা সত্তেও কখনো কখনো ছোট্ট দেশের পিচ্চি পোলাপাইনের
কাছে বাঁশ খায় (বর্তমানে খাচ্ছে)। মোট কথা ভারত একটি উপকারী প্রানী(সরি) দেশ।
ইফতেখার সাহেব বইয়ের দোকানে গেছেন বই কিনতে।
বিক্রেতা: স্যার, এ বইটা নিয়ে যান। এটা একটা ভয়ের বই। এতে কালো জাদু সম্পর্কে লেখা আছে!
ইফতেখার সাহেব: দাম কত?
বিক্রেতা: তিন হাজার টাকা।
ইফতেখার সাহেব: এইটুকুন পাতলা বইয়ের এত দাম!
বিক্রেতা: জি, স্যার! এ বইতেও কালো জাদুর প্রভাব আছে।
(ফিসফিস করে বলল বিক্রেতা, ভুলেও এ বইয়ের শেষ পৃষ্ঠাটা খুলবেন না! খুললেই আপনি জ্ঞান হারাবেন!)
>>
>>>
কৌতূহল সামলাতে না পেরে বইটি কিনলেন ইফতেখার।
পুরো বইটা পড়লেন, কিন্তু শেষ পৃষ্ঠা খুললেন না। একদিন সাহস করে শেষ পৃষ্ঠাটা উল্টে দেখলেন। তাতে লেখা আছে, সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য ৩০ টাকা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।