আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

না হেসে পারবেন না। ( জোকস) - ইলিয়াছ রিপন

সাংবাদিক ইলিয়াছ রিপন আ সবাই ব্যস্ত ঢাকার রাস্তায়। কি ঘটছে সেই খবর জানতে উতসুক হয়ে আছি সবাই। এই ফাঁকে সবার মুখে হাসি ফোঁটাতে আমি কিছু সংগৃহীত কৌতুক শেয়ার করছি। না হাসলে তিন টাকা ফাইন। বয়সের বিচারে এগুলো ১৮+।

তা বাচ্চারা পড়লে থাপরামু। যদিও আদিরসাত্মক, কিন্তু প্রচুর হিউমার আছে। বিকেলে কম্পিউটার নিয়ে বসে না থেকে হাঁটাহাটি করবেন তাহলে আপনার হিউমেরাস ভাল থাকবে। ১। এক লোক মারা গেছে।

সে জীবনে অনেক পাপ করেছে। তাই তাকে দোজখে পাঠানো হল। তো সেখানে গিয়ে সে দেখে প্রতিটা দেশের দোজখ আলাদা আলাদা ভাগ করা। লোকটা প্রথমে ব্যপারটা কি তা বুঝার জন্য আমেরিকার দোজখে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে চরম খারাপ অবস্থা।

পাপিদের প্রথমে ইলেক্ট্রিক চেয়ারে বসানো হচ্ছে, এরপর বড় বড় তার কাটাযুক্ত বিছানায় শুয়ানো হচ্ছে। এরপর এক জল্লাদ এসে ধুমসে পিটাচ্ছে। লোকটা ভয় পেয়ে ওখান থেকে চলে আসে। আর বাকি দোজখ গুলাও ঘুরে ঘুরে দেখে। কিন্তু সবখানে একি অবস্থা।

চরম শাস্তি দেওয়া হচ্ছে পাপিদের। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে সে হটাৎ বাংলাদেশি দোজখের সামনে এসে হাজির হয়। দেখে বাইরে বিরাট লাইনে বিভিন্ন দেশের লোকজন দাঁড়ানো। সে একজন কে জিজ্ঞেস করে ব্যপারটা কি!!!! -আরে ভাই বুঝলেন না????? বাংলদেশি দোজখ!!!!! ইলেক্ট্রিক চেয়ারে কারেন্ট থাকে না, তারকাটা গুলা কে জানি চুরি কইরা নিয়া গেসে!!!!! আর জল্লাদ বেটাও সরকারি লোক............... হাজিরা খাতায় সাইন কইরা বাসায় গিয়া ঘুমায়া থাকে......... তাই এই দোজখে এতো ভীড়!!!!!!!!! ২। ইংরেজ শাসন আমলের রাজস্থানের মরুভুমিতে একটা দুর্গ।

সেইখানে সেনাপতি হয়ে এসেছে জাত্যাভিমানী এক ইংরেজ যুবক। এসেই শুরু করছে হম্বি-তম্বি। এরে ধমকায় ত ওরে মারে। কোনো কিছু তার পছন্দ হয় না। ইন্ডিয়ানদের রুচি নাই।

চোর-বাটপার সব কয়টা। প্রথম দিনেই দুর্গ পরিদর্শনের সময় সেনাপতি দেখে একটা উট বাধা। ” ওই হারামজাদা। উট এইটা কিসের জন্য? ” একজন কাচুমাচুভাবে বলল ” আমরা তিন-চার মাস একটানা দুর্গে থাকি। এইখানে কোনো মেয়ে নাই।

সৈনিকরা মাঝে মাঝে খুব একা বোধ করলে এই উট ব্যাবহার করে। ” সেনাপতি ত bloody indian দের কথা শুনে থ। শুয়োরের বাচ্চারা উটকে “কামে” লাগায়…ছি ছি ছি। সে কড়া নির্দেশ দিলো যে এরপর কোনো নেটিভ হারামজাদা উট ব্যাবহার করলে তাকে ঝুলিয়ে পিটানো হবে। যাই হোক তার কড়া শাসনে দুর্গে নিয়ম-শৃংখলা ফিরে আসলো।

সবাই সোজা। সব কিছু ঠিকমত চলছে। মাসের পর মাস যাচ্ছে। এক সময় সেনাপতির একা একা লাগা শুরু করল। শালার একটা মাইয়া দেখি নাই গত চার মাস।

আরো এক মাস গেলো। একদিন সকালে সে হুকুম দিলো, শুয়োরের বাচ্চারা, উটটা নিয়ে আয় আমার তাবুতে। কিছুক্ষন ধস্তা-ধস্তি হল। উটের চিৎকার শুনা গেল। এরপর সেনাপতি প্যান্টের চেইন লাগাতে লাগাতে বের হয়ে আসল।

বড় বড় চোখ করে bloody indian গুলো তাকিয়ে আছে। এদের দিকে তাকিয়ে সেনাপতি বলল - খারাপ না, তোরাও কি এইভাবেই ব্যাবহার করিস? - না হুজুর। আমরা এইটাতে চড়ে মাইলদুয়েক দুরের একটা শহরে যাই ৩। এক দম্পতি এসেছে ডাক্তারের কাছে। স্বামীটা বেশ বয়স্ক কিন্তু স্ত্রী তরুনী।

তাদের সমস্যা হলো বাচ্চা হচ্ছে না। ডাক্তার স্ত্রীর কিছু পরীক্ষা করলেন। স্বামীটিকে বললেন আপনার স্পার্ম টেস্ট করতে হবে। তাকে একটা specimen cup দেয়া হলো। বলা হলো কাপটাতে স্পার্ম(বীর্য) নিয়ে আসবেন।

পরদিন লোকটা খালি কাপ নিয়ে এসেছে। ডাক্তার বলল, কাপ খালি কেনো? -বাসায় গিয়ে বাম হাতে অনেক চেষ্টা করলাম। পারলাম না। পরে মনে হলো ডান হাতে চেষ্টা করি। সেই হাতেও হলো না।

-এটা হতে পারে...আপনার বয়স ত আর কম হয় নাই। তা সাহায্য করার জন্য বউকে ডাকতে পারতেন। -বউকে ডাকছি ত। সে হাত দিয়ে চেষ্টা করল ...হলো না...মুখ দিয়ে চেষ্টা করল ...হলো না... - হয়। মাঝে মাঝে এমন হয়।

তা অন্য কাউকে ডাকতে পারতেন। -ডাকছি ত। বউয়ের বান্ধবীকে ডাকছি। -বউয়ের বান্ধবী???? -সেও চেষ্টা করে পারল না। -পারল না?? ডাক্তারের ভ্রু কুচকে গেছে।

-এরপর বউয়ের বন্ধু এলো। সেও চেষ্টা করল... পারল না। ডাক্তার অবাক- বলেন কি? আপনার বউয়ের দোস্ত??একটা ছেলে?? -তবে আর বলছি কি?যাক, সারা রাতে পারলাম না। সকালে হাসপাতালে এলাম। হাসপাতালে এসে নার্সকে বললাম সাহায্য করতে।

- আমার নার্সকে? -হ্যা। সেও চেষ্টা করল। পারে নাই। -আপনি ত দেখি সবাইকে দিয়ে চেষ্টা করছেন। -তা করছি।

তবে আপনি বাকি আছেন। -আআআআমি??? ডাক্তার তোতলাচ্ছে... -হ্যা। দেখেন ত চেষ্টা করে কাপটার ঢাকনাটা খুলতে পারেন কিনা? ৪। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে সুন্দরী শিক্ষিকা চাকুরিতে যোগ দিলেন। পড়াতে গিয়েই টের পেলেন,যুগের ছেলেরা পাল্টেছে, অতি স্মার্ট ডিজুস পোলাপান নিয়ে ম্যাডামের বেকায়দা অবস্থা।

প্রথম গ্রেডে সদ্য ভর্তি হওয়া রাজু তো বলেই বসলো, ম্যাডাম,আমি কোনো অবস্থাতেই প্রথম গ্রেডে পড়বোনা। কারণ,প্রথম গ্রেডের সব পড়ালিখা আমি অনেক আগেই শেষ করে ফেলেছি। এমনকি আমার বড় বোন যে ৩য় গ্রেডে পড়ে ,আমি ওর চেয়ে ও স্মার্ট। কাজেই মিনিমাম ,আপনি আমাকে ৩য় গ্রেডে পড়ার সুযোগ করে দিন। ম্যাডাম,রাজুকে নিয়ে প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে গেলেন।

সব খুলে বললেন। প্রিন্সিপাল স্যার বললেন, ঠিক আছে,আমি তোমাকে দুয়েক টা প্রশ্ন করবো, যদি তুমি ঠিক ঠিক উত্তর দিতে পারো ,তবে তোমাকে উপরের ক্লাশে প্রমোশন দেয়া হবে। প্রিন্সিপাল স্যার বললেন, আচ্ছা বলতো রাজু, ৩ গুন ৩ = কত? রাজুর জটপট জবাব, স্যার , নয়। আচ্ছা বলতো ৮ গুন ৮ সমান কত? এবারও রাজুর জবাব স্যার ৬৪। প্রিন্সিপাল স্যার ম্যাডামকে বললেন, রাজুকে উপরের ক্লাসে প্রমোশন দেয়া যায়।

রুপবতী ম্যাডাম এবার প্রিন্সিপাল স্যার কে বললেন, স্যার আমারও কিছু প্রশ্ন ছিলো, যদি আপনি অনুমতি দেন,আমিও একটু ওর মেধা যাচাই করি। প্রিন্সিপাল স্যার এবার মাথা নেড়ে সায় দিলেন। ম্যাডাম ,রাজুকে প্রথম প্রশ্ন করলেন-আচ্ছা রাজু বলতো,গাভীর চারটা আছে,কিন্ত আমার আছে দুটো। সে টা কি? রাজু চুপচাপ চিন্তা করছে,আর মিটিমিটি হাসছে। ম্যাডাম বললেন,লজ্জা পাবার দরকার নেই রাজু।

তুমি সঠিক জবাব দিও। রাজু বললো, ম্যাডাম,এটা হলো-আপনার দুই পা। ম্যাডাম এবার ২য় প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা এবার বলতো, তোমার প্যান্টের ও জায়গায় আছে,আর আমার তা নেই সেটা কি? রাজু লাজে হাসে। ম্যাডাম বলেন,লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই রাজু। রাজু বলেন,ম্যাডাম এটা হলো,আমার প্যান্টের পকেট।

ম্যাডামের পরের প্রশ্নঃ আচ্ছা, বলতো,এমন একটি শব্দ যা ইংরেজে লেটার C দিয়ে শুরু আর T দিয়ে শেষ। জিনিসটা গোলাকার,ডিলিশাস,ভেতরে ভেজা ভেজা, আর নরম,যা পেলে সবাই তৃপ্ত হয়। প্রশ্ন শুনে প্রিন্সিপাল স্যারের চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। কি বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না। চেহারা পুরো লাল হয়ে গেছে।

রাজ বললো, ম্যাডাম এটা হলো Cocunut. ম্যাডের পরের প্রশ্নঃ আচ্ছা এবার বলোতো, যা খুব শক্ত হয়ে কারো ভিতরে ঢুকে,আর নরম,ভেজা,আঠালো হয়ে বের হয়ে আসে? রাজুর জবাব, ম্যাডাম এটা হলো বাবল গাম। ম্যাডামঃআচ্ছা এবার বলোতো, কোন শব্দ ইংরেজি F দিয়ে শুরু আর K দিয়ে শেষ। যে শব্দ শুনলেই শরীরে যথেষ্ট উত্তাপ আর উত্তেজনা শুরু হয়- এ প্রশ্ন শুনে প্রিন্সপাল স্যারের আবারো, লজ্জাকর অবস্থা । কিন্ত রাজুর উত্তর ,ম্যাডাম এটা হলো Fire Truck. ম্যাডামঃ বলোতো কোন শব্দ ইংরেজি F দিয়ে শুরু আর K দিয়ে শেষ। যা মানুষ না পেলে হাত ব্যবহার করে।

রাজুর জবাব-ম্যাডাম এটা হলো-Fork. ম্যাডামঃ রাজু বলতো সোনা,এ জিনিসটা কারো লম্বা, আবার কারো ছোট, একেক জনের একেক সাইজের হয়। বিয়ে করার পর জামাই আদর করে বউকে দিয়ে থাকে। রাজুর জবাব--ম্যাডাম এটা হলো ডাকনাম। ম্যাডামঃ রাজু বলতো এটা পুরুষের শরীরে কোন অংশ যেখানে কোনো হাড় নেই,তবে অনেক শিরা আছে,এক রকমের মাংসপিন্ডের সমষ্টি,উত্তেজনাকর অবস্থায় বেশী অনুভূত হয়। বিশেষ করে যা দিয়ে ভালোবাসা বাসি বুঝা যায়।

রাজুর জবাব, ম্যাডাম এটা হলো হার্ট বা হৃদয়। শুনার পর প্রিন্সিপাল স্যার যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। ম্যাডাম কে বললেন ওকে ৮ গ্রেডেই প্রমোশন দেয়া হোক। কারণ শেষের কয়েকটি প্রশ্নের জবাব আমি নিজেই ভুল করেছি। (যারা আগে পড়েননি শুধু তাদের জন্য,নেটে অনেকেই পড়তে পারেন।

আশাকরি সবাই ফান হিসাবে নিবেন। ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।