আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি যদি ডুইবা মরি, কলঙ্ক রবে জলে!

অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই বৃষ্টিবিলাস!! একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে, হঠাৎ করেই আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার রাখাল আমার জন্যে মুঠো ভরে বৃষ্টির নির্যাস নিয়ে আসবে। আমি মুগ্ধতা নিয়ে তার চোখের গভীরে চোখ রাখার সাথে সাথেই গভীরে হারিয়ে যাবো। সে আমাকে আমার ধূসর জগৎ থেকে বের করে আনবে। আমি তার হাত ধরে ঘরের বাহিরে আসবো। সে পরম মমতায়, আমার পায়ে বৃষ্টির নুপুর পড়িয়ে দিবে।

স্নিগ্ধ বৃষ্টি আমার মনোজমিন ভিজিয়ে যাবে। আমি বুঝে যাবো বৃষ্টিতে ভিজার আনন্দ। আমি তার হাত ধরে বৃষ্টিস্নাত হবো। আমি বৃষ্টি কন্যা হতে চাই, আমি তার বুকে বৃষ্টি হয়ে ঝরবো। সে কি আমার আকাশ হবে? বৃষ্টিভেজা একটা বিকেল কি সে আমাকে উপহার দিবে? একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে, আমি প্রতীক্ষায় থাকবো।

আমার প্রানের মাঝে সুধা আছে, চাও কি? রাখালকে খুব খুঁজছি। রাখাল কোথায় থাকে?! কর্নফুলী নদীর তীরে আমাকে কি সে নিয়ে যাবে? কথা দিচ্ছি, আমি ঝাঁপ দিবো না, যদি সে শক্ত করে আমার চুড়ি পড়া হাতটা ধরে ফেলে। নদীর জলে জোছনার আলোর ঝিলিক আমি দেখতে চাই মুগ্ধ চোখে। সে কি আমার জন্য দুটো জোনাক নিয়ে আসবে, আমি চোখে বুলাবো............পৃথিবীর সব সৌন্দর্য্য আমার চোখে ধরা দিবে। আমার মুক্তোর মত চোখের জল আমি কর্নফুলীকে দিয়ে আসবো! ছন্দপতন! ১. আমি আমার চোখের পাতার ভাজে কাউকে আটকে রাখতে পারি নি।

লোকে বলতো, হয়ত আমার চোখের পালক ছিলো না বলেই.... কেউ জানতো না, আমি অন্ধ ছিলাম। অন্ধ আমি পথ চলতে হোচট খেয়ে কারোর বুকের বাম পাশে আছড়ে পড়তাম। আমি কারোর চোখের মনি খুবলে নিতাম, নখের তীক্ষ্ণ আঁচড়ে গাল রক্তাক্ত করতাম। আমি এসবের কিছুই জানতাম না। আমার চোখের সমানে মখমলের এক পর্দা ছিলো।

সব রকম নিষ্ঠুরতা আমার চোখের আড়ালেই ছিলো, অথচ এর বীজ ছিলো আমার চোখের মনিতেই! And I told you to be patient And I told you to be fine And I told you to be balanced And I told you to be kind And in the morning, I'll be with you But it will be a different kind 'Cause I'll be holding all the tickets And you'll be owning all the fines ২. বহুকাল আগে এক চৈত্র্যের দুপুরে সে আমার ঘরে এসেছিলো। আমি বিষন্নতাকে গায়ে মেখে দুপা ঝুলিয়ে বিছানার শেষ কোনায় বসেছিলাম। সে আমার স্তব্ধতা দেখে হাঁটু গেড়ে আমার পায়ের কাছে এসে বসে, আমার দুহাত তার মুঠোর মাঝে জড়িয়ে ধরে। এরপর আমার মুঠোর ভাজে সে একরাশ জ্যোৎস্নার আলো সযত্নে রেখে দেয়। ক্ষানিক বাদে জানালার গ্রীল গলে আমি মুঠো খুলে দিলাম।

... .. . সে তীক্ষ্ণ চোখে আমার চোখে চোখ রেখেই অভিশাপ দিলো! পৃথিবীর সব রূপ, আলো আমার চোখের আড়াল হলো! আমি অন্ধ হলাম! আমি যদি ডুইবা মরি...... ১. এক বিকেলে আমি আদুরে গলায় বায়না ধরলাম: - জলের রঙ কিগো? আমাকে জলের রঙ বলো না! সে আমার পলকহীন শীতল চাহনী উপেক্ষা করে রুক্ষ গলায় বললো: -জলের কোন রঙ হয়না। আমার বড্ড অভিমান হলো। সবচেয়ে ক্ষুদ্রতর আবদার তুচ্ছভাবে দেখায় আমার বুকে একটা গভীর দাগ কাটলো। রাতভোর হবার ঘন্টাখানেক আগে আমি মায়া দীঘিরপাড়ে গেলাম মৃদু পায়ে। জলের রঙ জানবো বলে আমি ডুব সাঁতার দিলাম।

আমাকে আর কোথাও কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি! If we shall live, we live If we shall die, we die If we live, we shall meet again but tonight, goodbye! ২. আমি বহুকাল নিজেকে আয়নায় দেখি না। আমি যতবার আয়নার সামনে দাঁড়াই, কুৎসিত একটা অবয়ব দেখতে পাই। সে আমাকে একদিন বলেছিলো কুয়োর জলে মুখে দেখতে--তাতে মনে হবে যেনো প্রতীমা! আমি সেবার চন্দন মেখে গোলাপের পাঁপড়ি জলে স্নান করলাম। চোখের কোণ ঘেসে কাজল টানলাম, টিপ আঁকলাম, আলতা পড়লাম। সে আমার হাত ধরে কুয়োর পাড় নিয়ে গেলো।

আমি গভীর কালো জলে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে নিজেই মুগ্ধ হলাম! সে আমাকে মুগ্ধতা থেকে বণ্চিত করতে চায় নি...গভীর ভালোবাসা আর পরম মমতায় সে আমাকে কুয়োর জলে ফেলে দিলো। আমি সব রূপ নিয়ে গভীর কালো জলে মিশে গেলাম!! "জলে কার ছায়া পরে? জলেতে কে? জলের উপরে আমি নাই! আমি কোথাও নাই। " ৩. অতঃপর অসীম শুন্যতা তোমার মাঝে। আমি রয়ে যাবো, অবশ্যই রবে যাবো...তোমার সব দীর্ঘশ্বাসের মাঝে, তোমার না ঘুমানো সব রাত্রি জুড়ে, তোমার এলোমেলো রুক্ষ চুলের সিথিতে, আমি মিশে থাকবো তুমিময়, তোমার ধূসর এবড়ো-থেবড়ো জীবন জুড়ে! তুমি পড়ন্ত শেষ বিকেলে ভেজা কন্ঠে বিড়বিড় করবে... "বহুকাল আগে তুমি হারিয়ে গেলে শাদা বৃষ্টির ভিতর আমাকে ছাড়াই!আমার স্মৃতিতে ছিলো ঝড়ের স্পর্শ। বুকের একপাশে ঝড়-বিজলি আর বৃষ্টি ছিলো।

আরেক পাশে যে তুমি ছিলে তা বলতে পারি না। তবে শূন্যতার অন্য নাম যদি "তুমি" হও, তবে ছিলে। " অথচ চোখ মেলে চেয়ে দেখো-আমি কোথাও নেই! কোত্থাও না! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।