আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাকিব-তামিমকে নিয়ে সব পত্রিকা যখন সরব তখন নীবর কেন “প্রথম আলু’ ??? আর দাদারা কি এশিয়া কাপে হারের প্রতিশোধ নিচ্ছেন।

আমি এক ভবঘুরে; ঘুরি এ জগত জুড়ে দেশেরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে গায়ে পড়ে মাতাব্বরি করে প্রথুম আলু । কারণে অকারণে নাক গলায়, উপদেশ শুনায়, মোড়লিপনা করে, সহজ জিনিসকে জটিল বানায়, বিনা প্রয়জনে বিতর্ক বাড়ায়। তবে এতো কিছুর পরেও এদের দেশ প্রেম (!) আমার খুব ভাল লাগে। নিচে এদের দেশ প্রেমের নমুনা দেখেন। সাকিব-তামিমকে নিয়ে সব পত্রিকা যখন সরব তখন এরা কিছু ই বলছে কারণ পাছে দাদারা গোস্বা করে! কালের কন্ঠ “সাকিব-তামিমহীন আরেক দিন” শিরোনামে লিখেছে-“লের ভেতর থেকেই নাকি দাবি উঠেছিল সাকিবকে খেলানোর, কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট।

তাই টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও সাইড বেঞ্চে বসে কাটাতে হলো বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ককে। টানা দুই ম্যাচে উপেক্ষার শিকার বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার তামিম ইকবালও। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের পর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে পুনে ওয়ারিয়র্সের একাদশেও তিনি জায়গা পাননি। আইপিএলে অভিষেকের অপেক্ষা আরো দীর্ঘায়িতই হলো এই ড্যাশিং ওপেনারের। ইডেন গার্ডেনে সাকিবকে বসিয়ে রাখার পর বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা ছিল পরের ম্যাচেই হয়তো একাদশে সুযোগ পাবেন এশিয়া কাপের সেরা তারকাটি।

তামিমকে নিয়েও এমনটাই ছিল চাওয়া। কিন্তু এ প্রত্যাশা মিটল না কালও। ... জয়পুরে সাকিবকে বসিয়ে চার বিদেশির কোটায় জ্যাক ক্যালিস, ম্যাককালাম, বেট্র লি এবং সুনীল নারাইনকে নিয়ে একাদশ গড়ে নাইটরা। এই চার বিদেশির মধ্যে একমাত্র ব্রেট লি-ই যা একটু পারফরম করলেন, অন্য তিনজনই সুপার ফ্লপ। জ্যাক ক্যালিস বোলিংয়ে ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ২৫ রান খরচা করে ব্যাটিংয়ে করেন মাত্র ৫ রান।

ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সংগ্রহ আরো কম, ২ রান। আর সুনীল নারাইন আউট শূন্য রানেই, বোলিংয়েও তিনি কোনো সফলতা পাননি_৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট নেই। তাঁদের এ ব্যর্থতা হয়তো সাকিবকে একাদশে রাখার দাবি আরো জোরালোই করবে। ” দৈনিক যুগান্তুর “কলকাতায় ‘ব্রাত্য’ সাকিব!” বলেছে-“কলকাতা নাইট রাইডার্সের চতুর্থ উইকেট পতনের সময় ক্যামেরা উদাস সাকিবকে ধরে। তার বিষণ্নতা সীমাবদ্ধ থাকেনি শুধু জয়পুরেই।

ঢাকার টঙ্গী থেকে রানা নামে এক পাঠকের আবেদন আর্তির মতো শোনাল- ভাই, সাকিবকে বলুন দেশে ফিরে আসতে। রানার বেদনা বোধগম্য। পরপর দু’ম্যাচে সাকিবকে মাঠে নামাল না কলকাতা। ঘটনা হল, টানা দু’ম্যাচেই হেরেছে শাহরুখের দল। বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডারের প্রতি নাইট রাইডার্স কোচ ট্রেভর বেলিস নাকি অন্য কারও তাচ্ছিল্য, কে জানে।

তবে রোববার রাজস্থান রয়্যালসের কাছে কলকাতার ২২ রানের হারের পরও যদি সাকিবকে না খেলানো হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে আইপিএল নিছক তামাশার আসর বৈ কিছু নয়। দৈনিক নয়াদিগন্ত “আবার হারল সাকিব বিহীন কলকাতা” শিরোনামে বলেছে- “বিপিএল বলুন অথবা এশিয়া কাপ? টুর্নামেন্ট দু’টি যেন শুধু সাকিবেরই। সেটি ব্যাট ও বলে সমান দ্যুতি ছড়িয়ে। অথচ আইপিএলে সাকিব কলকাতার দর্শক বেঞ্চের ক্রিকেটার! সামপ্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স বাদেও কিছু দিন ধরে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ দুই ফরম্যাটের (টেস্ট ও ওয়ানডে) বিশ্বসেরার খেতাবও যে সাকিবের দখলে। এত কিছুর পরও কলকাতা নাইট রাইডার্সের নির্বাচকদের মন ভরাতে পারেননি বাংলাদেশের এই কীর্তি ক্রিকেটার।

এখন সাকিবের না খেলায়ই হোক অথবা অন্য কোনো কারণে হোক আইপিএলে টানা দুই ম্যাচ হেরেছে রাইডার্স” "আবারও উপেক্ষিত সাকিব-তামিম শিরোনামে"“দৈনিক সমকালে”র খবব “এ একটি লোককে একেবারেই সহ্য হতো না। সুযোগ পেলেই বাংলাদেশকে নিয়ে টিপ্পনী কাটার অভ্যাস যার, সেই বাচাল নভোজিৎ সিং সিধুর মুখেও গত সন্ধ্যায় ষোলো কোটি বাংলাদেশির মনের কথাটি বেরিয়ে এলো। কেন সাকিব আল হাসানকে বসিয়ে রেখেছে নাইট রাইডার্স? 'আমি বুঝতে পারছি না, কেন সাকিব আল হাসানকে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছে নাইট রাইডার্স। সাকিব আল হাসান এ মুহূর্তে দারুণ ফর্মে রয়েছে। এখনই তো সময় তাকে মাঠে নামানোর।

মনে রাখতে হবে, সাকিব এখন তপ্ত লোহার মতো তেতে আছে। যাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে যে কোনো আকার দেওয়া যায়। এহেন সাকিবকেই কি-না উপেক্ষা করছে নাইট রাইডার্স। সত্যিই ওরা বোকা...। ' সিধুর মতো নাক উঁচু সর্দারজিও যখন সাকিবকে উপেক্ষা করার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না, তখন বাকিরা আর কিইবা বলবেন।

গতকাল সাকিব আল হাসানকে একাদশে না দেখে তাই বাংলাদেশিরা চেয়েছিল নাইট রাইডার্স যেন হারে। সেটাই হয়েছে। রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ২২ রানের হার মানতে হয়েছে শাহরুখ খানের সাধের এ দলটিকে। প্রমাণিত হয়েছে, কোচ ট্রেভর বেলিস কিংবা ওয়াসিম আকরাম আর যাই হোক মোটেও জহুরি নন। আর তাই সাকিবের মতো বাংলাদেশের রত্নকে তার চিনতে পারেননি।

কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলির মতো পরীক্ষিত জহুরিই বা কী করলেন। পুনে ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক সৌরভ কি-না গতরাতেও উপেক্ষা করলেন তামিম ইকবালকে। আর যাই হোক, গাঙ্গুলির কাছ থেকে এটা আশা করেনি বাংলাদেশি সমর্থকরা। তারা মেনে নিতে পারেনি, সাকিব-তামিমের সাইড বেঞ্চে মুখে আঙুল দিয়ে বসে থাকার দৃশ্যটা। হৃদয়ে আঘাত হানার দৃশ্যটি দেখে তাই ফেসবুক থেকে শুরু করে টুইটার এবং বিভিন্ন ব্লগে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিরা ক্ষোভ আর অভিমানভরা সব মন্তব্য করেছেন।

'সাকিব-তামিম ভুলে যেও না তোমরা সত্যিকারের বাঘ, উপেক্ষার জবাব দিতেই হবে...। ' কেউ লিখেছেন_ 'ওরা আমাদের খেলতে দেবে না, টাকার মুখে ঝাঁটা মেরে দেশে ফিরে আস। ' কারও ক্ষোভ ছিল_ 'সাকিব-তামিমকে যখন এভাবে অপমান করা হচ্ছে,তখন আমরা বাংলাদেশিরা আইপিএল বয়কট করছি। ' কারও পরামর্শ ছিল_ 'পরের বার মুখের ওপর সরাসরি না করে দিয়ে এসো সাকিব। ' শুধু বাংলাদেশিরাই নয়, গতকালের ম্যাচে সাকিবের উপস্থিতি যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেটা ধারভাষ্যকাররাও বারবার বলেছেন।

সাকিবের বদলে যাকে নামানো হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই সুনিল নারানের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার কী? ৮ ওয়ানডেতে ১৪ উইকেট আর ৫২ রান। দুটি টি২০ ম্যাচে কোনো উইকেটই নেই তার। এই সুনিলের পক্ষে কিইবা দেওয়ার ছিল গতকালের ম্যাচে। দ্রাবিড়ের কাছে ছক্কা খেয়ে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়েছেন। কোনো উইকেট তো নয়ই ব্যাট হাতেও শূন্য খেয়েছেন।

আরও তিন বিদেশির মধ্যে ম্যাককুলাম ২, ক্যালিস ৫ আর ব্রেট লি ২৫ রান করেছেন” “আমার দেশের” খবর “নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসের কাছে হেরে গিয়েছিল কলকাতা নাইটরাইডার্স। গতকাল সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম ম্যাচেও রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরে গেছে ২২ রানে। আবার রোববারের ওই ম্যাচেও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে মাঠে নামায়নি কলকাতা” দৈনিক ইত্তেফাক মন্তব্য করেছে “মৌসুমের শুরুতেই কলকাতা ও বাঙালির সমর্থন হারাতে বসা শাহরুখ খানের মালিকানাধীন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটছে না। কেননা আইপিএলের পঞ্চম আসরে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারের মুখ দেখল তারা। গতকাল জয়পুরের স্বামী মানসিং স্টেডিয়ামে স্বাগতিক রাজস্থান রয়্যালস তাদেরকে ২২ রানে হারিয়ে দেয়।

সৌরভ গাঙ্গুলিকে প্রথমে অধিনায়কত্ব থেকে ও পরে দল থেকেই বাদ দেয়ায় কলকাতার সমর্থন নষ্ট হয়েছিল কেকেআরের। সঙ্গে এবার প্রথম ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, বাংলাদেশি তারকা সাকিব আল হাসানকে না খেলানোয় বাংলাদেশের সাধারণ দর্শকেরও সমর্থন হারিয়েছিল। কালও সাকিবকে ছাড়া মাঠে নামল কলকাতা। তাতে আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়ল কেকেআর-এর ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। ” যায় যায় দিন বলেছে “প্রথম ম্যাচে না খেললেও দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

রোববার এমন প্রত্যাশাই করেছিলেন সাকিব ভক্তরা। কিন্তু না, বলিউডের কিং খান শাহ্রুখের কলকাতা নাইট রাইডার্সের দ্বিতীয় ম্যাচ রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষেও নামানো হলো না ২৪ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডারকে। তার স্থলে এদিন খেলানো হলো ক্যারিবীয় ক্রিকেটার সুনীল নারায়ণকে। কিন্তু সাকিবহীন কলকাতা নাইট রাইডার্স রাহুল দ্রাবিড়ের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেয়েছে” The New Age শিরোনাম করেছে “Sakib, Tamim snubbed again” এবং লিখেছে-“The world number one all-rounder Sakib al Hasan once again found himself out of the playing eleven of the Kolkata Knight Riders who lost by 22 runs to Rajasthan Royals on Sunday in the fifth edition of the Indian Premier League. Sakib’s compatriot Tamim Iqbal was also kept waiting for his IPL debut with the Pune Warriors as he too had been sidelined for their second outing in the competition. KKR tasted their second defeat in as many matches and they are yet to get any points. Sakib, who played 12 matches for KKR since his debut last year, was not picked in the side in their opening encounter against Delhi Daredevils, a rain-shortened match which they also lost, and many had hoped that he would get his chance in their second game. Minutes before the match started, cricket website cricinfo and telecasting rights holder Set Max kept the fans in confusion over Sakib’s place in the team as cricinfo showed he was not playing, but Max had his name on the list. But it was heartbreaking news for Sakib’s fans in the country when they saw he wasn’t playing as West Indian Sunil Narine, making his debut in the IPL, was named ahead of him. Off-spinner Narine replaced South African paceman Marchant de Lange, who was expensive in the three overs he bowled against Delhi Daredevils, and had an ordinary day with the ball (29-0). Sakib did not make much of an impact in his inaugural season as a batsman, making 59 runs in six innings at an average of 11.80, though he was decent as a bowler grabbing 12 wickets at 6.79. Sakib was instrumental in Bangladesh’s success in the recent Asia Cup and played a big role in the win against India and many thought his form would surely get him a place in the KKR eleven right from the beginning of the cash-rich event. Sakib though can take this as a blessing in disguise, he can relax a bit from on-field action as he did not have any break from cricket in the last two years. Meanwhile, Tamim is yet to get his taste of the IPL with Pune as well. The dashing opener was picked by Pune at the last moment and also showed his capabilities with the bat when he scored 57 off 37 balls in a warm-up game. In-form Tamim did not feature in Pune’s opener against Mumbai Indians, which they won, but he was expected to play the second match on Sunday after a poor performance by the batsmen earlier. New Zealander Jesse Ryder was chosen ahead of Tamim and he replaced South African Wayne Parnell to fill the foreign players’ slot.” এভাবে সব পত্রিকা কিছু না কিছু বললে ও একেবারেই চুপ প্রথম আলু- “দাদারা যে আবার মাইন্ড কত্তে পারে” ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।