আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'মা, বিমানে উঠছি দোয়া করো'

চাচা চৌধুরীর মগজ কম্পুটারের চেয়েও প্রখর ছিমছাম সাজানো বুক শেলফ। শেলফের পাশেই শোভা পাচ্ছিল ফ্রেমে বাঁধানো তরুণ পাইলট এএফএম শরীফুল হক শাওনের একটি ছবি। ছবির এই মানুষটি এখন কেবলই স্মৃতি। আর ছবিটি সামনে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন শাওনের স্বজনরা। বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন শাওনের মা-বাবা।

হঠাৎ দুর্ঘটনায় ভেঙে খানখান হয় সুন্দর সাজানো একটি সংসার। বিমান বিধ্বস্ত হয়ে চিরদিনের মতো হারিয়ে গেলেন একজন মেধাবী পাইলট। শোকের ঢেউ লেগেছিল মোহাম্মদপুরের কাটাসুরে শাওনের প্রতিবেশীদের মাঝেও। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাটাসুর এলাকার ৩ নম্বর সড়কে গিয়ে দেখা যায়, ৬৫/বি নম্বর বাড়িটি 'শোকনগর'। বিমানে ওঠার আগে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মা রওশন আরা হক ও বাবা ফজলুল হককে ফোন করে দোয়া চান শাওন।

এর আগেও প্রতিবার বিমানে ওঠার আগে বাবা-মাকে ফোন করে দোয়া নেন। গতকাল রোববার মেয়ের জামাই উইং কমান্ডার মুক্তাসিমের কাছে ছেলের দুর্ঘটনার খবর জানতে পারেন রওশন আরা ও ফজলুল হক। ছেলের মৃত্যুশোকে বিলাপ করছিলেন শাওনের বাবা-মা। কারও সান্ত্বনাই সন্তানহারা মা-বাবাকে প্রবোধ দিতে পারছিল না। অনেকের অভিযোগ প্রশিক্ষনের নামে হত্যা হচ্ছে আমাদের এসব মেধাবী ফ্লাইং অফিসারদের, কারন এইসব লক্কর ঝক্কর প্রশিক্ষণ বিমান এখন আর আকাশে নয় জাদুঘরে রাখার মত অবস্থায় আছে।

যদি বিমান বাহিনী রাখতেই হয়, তবে তাকেতো কিছু ভালো সরঞ্জাম দিতেই হবে তাই না? কপি পেস্ট ফ্রম- View this link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।