**** এমন নয় যে, উপার্জন বেশি হলে তা’ অবৈধ আর কম হলেই তা’ বৈধ, বরং যেকোনো পরিমাপের উপার্জন, তা’ বৈধ কিম্বা অবৈধ, উভয় পথেই হতে পারে। আমি নিজে অবৈধ পথে উপার্জনকারী অথবা অবৈধ উপার্জনকারীর নিষ্কর্মা সন্তান হলে পরে, অন্যের বৈধ পথে উপার্জনকেও অবৈধ মনে করাটা আমার জন্যে অস্বাভাবিক নয়। প্রত্যেকে আমরা নিজের চোখ দিয়েই দেখি। আমরা কেহই নির্ভুল নই জন্যেই আমাদের প্রত্যেকের দেখার মধ্যে ভুল থাকা যেমন স্বাভাবিক, তেমনি সমতালে প্রত্যেকেই যে নিত্য বিভ্রান্তিতে ভুগি, --সেটাও স্বাভাবিক। তবে যারা জ্ঞানী, তাদেরকে দেখা যায়, ঐ বিভ্রান্তির কবল থেকে মুক্তির সহজতম পথ হিসেবে, অন্যদেরকে সন্দেহ না-করে বরং জ্ঞানীরা প্রত্যেকেই নিজের প্রতি সন্দিহান থাকেন আর ঐ জ্ঞানীরা নিজেদেরকে যাচাই করে নেন অন্যদের চোখ দিয়ে, অর্থাৎ জ্ঞানীরা প্রত্যেকে নিজেকে দেখে নেন অন্যদের চোখ দিয়ে। আমরা যারা নিজেদেরকে মহাজ্ঞানী ভাবি, জ্ঞানীদেরকে অনুসরণ করাতে প্রত্যেকেই নিজের অস্তিত্বের শূন্যতাবোধে ভুগি। নিজেদের প্রতি চূড়ান্ত আস্থাশীল থাকতে গিয়ে, যদিও বারংবার নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করে করে ঠকি এবং আত্মপ্রতারিত হই, শুধু অস্তিত্বহীনতাবোধের কারণেই নিজের আহাম্মকি প্রকাশ করতে পারি না এবং স্বাভাবিকতার ধারায়, মহাবিজ্ঞের খোলসেই আমাদের অপদস্থ মূর্খতাকে ঢেকে রাখার ব্যর্থ চেষ্টাতেই আমরা সদাচেষ্টিত থাকি। এখানে নিজের অজ্ঞতা স্বীকার করে নিতে পারে কেবল জ্ঞানীজনেরাই, যাদের অস্তিত্ব হারানোর ভয় নেই। ---১০/০৩/১২
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।