www.facebook.com/hamzathefighter
শিরোনামটি দেথে সুশীল সমাজের অধিপতিদের অনেকেই হয়ত আমার দিকে তেড়ে আসবেন। জাতীয় ইতিহাসের গৌরবাণ্বিত অধ্যায়ে ছাত্ররাজনীতির ফিরিস্তি কপচানো আরম্ভ করবেন। তাঁদের প্রতি সবিনয় নিবেদন, কিঞ্চিৎ ধৈর্য ধরুন, কিছু সময়ের জন্য নরাধমের অপক্ক লেখনীতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন।
শিক্ষানবিশ হিসেবে জ্ঞানগর্ভ ততটা ঋদ্ধ না হলেও ছাত্ররাজনীতির গৌরবোজ্জল ইতিহাস সম্পর্কে এই অধম যৎসামান্য ওয়াকিবহাল আছে। মাথা ব্যাথার সমাধান যে মাথা কেটে ফেলা নয় এ ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ সচেতন।
ঠিক তেমনি বর্তমান সময়ের বিধ্বংসী অপরাজনৈতিক চর্চা দায়ে ছাত্ররাজনীতিকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর পক্ষপাতী আমি কস্মিনকালেও ছিলাম না, এখনও নই। তবে শুদ্ধি অভিযান চালানোটা ওয়াজিব (অবশ্য করণীয়) বলে মনে করি।
এই অভিযানের ফলে মোটা দাগে যে তিনটি প্রাণঘাতী ভাইরাসের নাম মনের ক্যানভাসে দৃশ্যায়িত হয়, সেগুলো হলো- ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও শিবির। এ বিষয়ে সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ উচ্চ কণ্ঠ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি না। সন্দেহাতীতভাবে এই তিন সংগঠনের ক্ষমতামূখী লেজুরবৃত্তিক অপচরিত্রের সাথে আমার চেয়ে বিজ্ঞ পাঠক সমাজ অধিক পরিচিত।
তাই আর সেদিকে যেতে চাই না। তথাপি একটি কথা না বললেই নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় তাদের মেনিফেস্টোতে জায়গা পায় কিনা সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ বিদ্যমান। আর পেলেও তা ওই কাগজ কলম পর্যন্তই, আলোর সাথে সাক্ষাৎ দৃষ্টিরও অতীত। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ, ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে মুখরিত ক্যাম্পাসে উক্ত সংগঠনগুলোর তৎপরতা অদৃশ্য।
ডাকসু নির্বাচন দাবি: শিক্ষার্থীদের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
ডাকসু নির্বাচন করতে উপাচার্যকে শিক্ষার্থীদের নোটিশ
বরং দলীয় আধিপত্যের নিস্পেষণে সাধারণ ছাত্রসমাজের মেধাবিকাশের ন্যূনতম অধিকারও ওষ্ঠাগত প্রাণ।
অনেকে হয়ত দ্বিধাণ্বিত চিত্তে কাচুমাচু স্বরে প্রস্তাব দিয়ে বসবেন, উল্লিখিত ছাত্রসংগঠনগুলোর অভ্যন্তরে যেন শুদ্ধি অভিযান চালানো হোক। অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত প্রস্তাব। তবে এই নির্বোধের ভেদবুদ্ধির বিচারে এই প্রস্তাবনা ক্ষণকালের জন্যও পানি পাবে না। কারণ অন্তসারশূন্য সংগঠনগুলোর সাড়ে পনের আনাই নষ্ট বিষাক্ত দুর্গন্ধযুক্ত। আর যে আধা আনার মাঝে মানবিক মূল্যবোধের ছিটেফোঁটা স্থিত তাও রুদ্ধশ্বাসে আত্মবিনাশের পথ খুঁজছে।
তাই দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল কি শ্রেয় নয়? আর গোয়াল শূন্য হবে এ আশঙ্কা মোটেও সত্য নয়। অধিকার সচেতন বিবেকসম্পন্ন সাধারণ ছাত্রসমাজ ও প্রগতিশীল বেশ কিছু ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক কল্যাণকামী ছাত্ররাজনীতির পতাকা সমুন্নত রাখতে পিছপা হবে না বলে আমি আশাবাদী। উদাহরণ টানতে গিয়ে স্মৃতি হাতড়াবার প্রয়োজন নেই, সাম্প্রতিক সময়ে সেশন ফি বৃদ্ধি নিয়ে জবি ও ছাত্র হত্যাকে কেন্দ্র করে জাবি'র ঘটনা দু'টো এখনো জ্বলজ্বল করছে।
বিবেকের কষ্টিপাথরে দাবিখানা অযৌক্তিক ঠেকলে নিঃসংকোচে গালিগালাজ পাঠাতে পারেন যত খুশি তত। কথা দিচ্ছি মাথা পেতে নিতে এতটুকু কার্পণ্য করবো না।
আপনার অপমান
আমার নেতা দেশের মাথা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।