টেনিস কোর্টের একপাশে পুরুষ, অন্যপাশে নারী। শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াইয়ে মুখোমুখি নারী বনাম পুরুষ! মুখোমুখি লড়াইয়ে সেরেনা উইলিয়াম বনাম অ্যান্ডি মারে। সম্ভব? কেন সম্ভব নয়! টেনিসের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী হয়তো তা হবে না, কিন্তু নিয়মের ব্যতিক্রম তো ঘটতেই পারে। পুরুষ বনাম নারীর এই ব্যতিক্রমী দ্বৈরথ তো এর আগে টেনিসে হয়েছেই। হতে পারে সেরেনা বনাম মারেও।
সেরেনার বিপক্ষে খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন মারে। সেরেনাও তাতে হেসে সায় দিয়েছেন। দুজনই হয়তো আপাতত মজা করেই বলেছেন। তবে এ নিয়ে যেভাবে কৌতূহল তৈরি হচ্ছে, শিগগিরই এমন একটা লড়াই দেখা গেলেও যেতে পারে।
ববি রিগস বনাম মার্গারেট কোর্ট দিয়ে টেনিস কোর্টে নারী বনাম পুরুষের লড়াই শুরু।
তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছিল রিগস বনাম বিলি জিন কিংয়ের ‘ব্যাটল অব সেক্সেস’। রিগসকে হারিয়েই দিয়েছিলেন বিলি জিন কিং। অবশ্য রিগসের বয়স তখন ছিল ৫৫, কিছু নিয়মের শিকলও পরানো হয়েছিল তাঁর হাতে-পায়ে। কিন্তু তার পরও মেয়েদের টেনিস নিয়ে যেভাবে অবজ্ঞা নিয়ে কথা বলতেন, সেই মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন বিলি জিন কিং।
মেয়েদের টেনিস নিয়ে এখন আর কেউ হাসাহাসি করে না।
যদিও মেয়েদের টেনিস শুধু শোভাবর্ধনের জন্য—এমন কথা বলে কোনো কোনো নিন্দুক। কিন্তু সমান-অধিকারের যে লড়াই শুরু করে দিয়েছিলেন কিং, সেই লড়াই আজ আলোর মুখে দেখেছে। এখন গ্র্যান্ডস্লামগুলোতে নারী ও পুরুষ খেলোয়াড়ের প্রাইজমানি এখন সমান।
বিবিসিতে নিজের লেখা ব্লগে মারে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সেরেনার উদ্দেশে। সেরেনা হাসিমুখেই সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন, ‘ও আমার সঙ্গে খেলতে চায়? ও কি নিশ্চিত? এটা তো অনেক মজার হবে।
আমি হয়তো একটা পয়েন্টও পাব না, কিন্তু অনেক মজা হবে সন্দেহ নেই। ’
আজ রাতের ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের সর্বশেষ স্কোর পেতে C লিখে এসএমএস করুন 2221 নম্বরে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।