আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির নিশ্চুপতা

আমি কেবলই আমার মতো সাম্প্রতিক সময়ে দেশে এমন কিছু ঘটনা ঘটছে এবং কিছু মানুষের কথা ও কাজ এত বিরক্তিকর যে মন্তব্য করার রুচি হারিয়ে ফেলেছি। *যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ধারা অব্যাহত এবং সঠিক রায় পেতে শাহবাগ গেলাম। শাহবাগকে করা হলো নাস্তিকের আড্ডাখানা। কে বা কারা করল সেটা বলা যাবেনা। তাহলে নাস্তিক হয়ে যাব।

তওবা। *কোটি তরুন সাক্ষর করে সঠিক বিচার চাইল এবং যুদ্ধাপরাধী দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ চাইল। এটাও নাকি নাস্তিকতা। তবু তাদের বিরুদ্ধে কিচ্ছু বলা যাবেনা। তওবা।

*আলেম ওলামা নামক জনৈক ব্যক্তিদের দল পবিত্র ইসলামকে দুই ভাগে বিভক্ত করল। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে 'বেদাতি' ও 'কুলাঙ্গার' বলে গালাগালি করল। আমরা চেয়ে চেয়ে দেখলাম। এরা যে ইসলামের ক্ষতি করছে এবং এদেশে ইসলাম যে সত্যিই এদের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ ও বিভক্ত একথা বলা যাবেনা। কিছু কইলেই নাস্তিক হয়ে যাব।

তওবা। *একদল ক্ষমতালোভী মানুষ রাজনীতির নামে বেলেল্লাপনা করছে। নিজেদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পরিষ্কার করতে যা ইচ্ছা তাই করছে এবং বলছে এবং করাচ্ছে। জঙ্গীবাদের উত্থানের পথ সাফ করছে। কিন্তু তাদের কিচ্ছু বলা যাবেনা।

কিছু কইলেই নাস্তিক হয়ে যাব। তওবা। *একদল ইসলাম বিভক্তকারী অন্ধ মোল্লার দল যারা এদেশের সংবিধান মানেনা। তাদেরকে কিছু রাজনৈতিক বেশ্যাপনায় লিপ্ত মানুষ পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সুযোগ ও শেল্টার দিচ্ছে। কিন্তু এটা বলা যাবেনা।

কিছু কইলেই নাস্তিক হয়ে যাব। তওবা। *একদল অসভ্য লোক সাংবাদিকতার নামে যা খুশি তাই লিখছে, দেশকে বিভক্ত করছে, প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করে লিখেই যাচ্ছে। এদের কাউকেই কিছু বলা যাবেনা। এদেরকে কিছু বললেই তাদের বাক স্বাধীনতা নাকি ধর্ষিত হয়ে যাবে।

বানিয়ে দেবে নাস্তিক। তওবা। *একদল লোভী মধ্যবিত্তের পোশাকধারী যেখানে জনমত দেখে আর ক্ষমতায় গেলে নিজেদের সুবিধা বাড়বে বলে মনে করে সেখানেই দৌড়ায়। আরেকদল লুটেরা উচ্চবিত্ত যেখানে কাষ্টমার দেখে সেখানেই টাকা ছিটায়। তাদের কথিত ব্যবসাকে হালাল করে।

এদের কিছু বলা যাবেনা। নাস্তিক হয়ে যাব তবে। তওবা। *একদল মিডিয়া কর্তা যারা আদর্শের নামে একবার শাহবাগ যায়। কিন্তু কয়দিন পরেই দর্শক বিবেচনায় আবার মতিঝিল দৌড়ায়।

কিন্তু তাদের টাকালোভী আচরন আর কোনটুকু আদর্শ আর কোনটুকু ব্যবসা সেটা নিয়ে কিছুই বলা যাবেনা। নাস্কিক বানিয়ে দেবে। তওবা। *একদল ভোট খেকো নেতার দল যেখানে যা খুশি তাই-ই বলে যাচ্ছে, করে যাচ্ছে, করিয়ে যাচ্ছে এবং যেমনে খুশি তেমনে ধর্মকে ব্যবহার করছে। ধর্মেরর অবমাননা করছে।

কিন্তু তাদের কিছু বলা যাবেনা। নাস্তিক তবে যাব হয়ে। তওবা। #একদল বুদ্ধিজীবি দুই দিক রক্ষা করে তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে চলছেন। তারা সত্যকে মিথ্যার উল্টোদিকে সাজিয়ে মাঝখানে বসে মধু লুটতে চান।

তারা সত্য যে নিরপেক্ষ নয় এটা বলতে সাহস পান না। সত্য মূলত একপক্ষীয়। এই সুবিধাখোর বুদ্ধিজীবিদের কিছু বলা যাবেনা। নাস্তিক তবে বলবে আমায়। তওবা।

এহেন অবস্থায় আর কিছু না লিখে বরং মুখে কুলুট এটে বসে থাকাই উত্তম মনে হয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।