আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মার্টফোনের নিরাপত্তায়....

বল আমায় সেই সময়ের নেই কেন অস্তিত্ব, বোঝাও আমায় সেই কল্পনার নেই কোন সমাধান.....আমারি স্বপ্ন আজো জেগে রয় আধারো শুন্য চোখে ... বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের ব্যবহার যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে স্মার্টফোনের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা। বিশেষ করে পিসি’র পাশাপাশি এখন হ্যাকাররাও স্মার্টফোনের দিকে নজর দিয়েছে। তাই স্মার্টফোনের নিরাপত্তা এখন প্রযুক্তি বিশ্বের অন্যতম আলোচিত বিষয়। স্মার্টফোনের নিরাপত্তা নিয়ে কিছু টিপস নিয়েই এই লেখা। স্মার্টফোনের নিরাপত্তায় করণীয় ল্যাপটপের মাধ্যমে মোবাইল কম্পিউটিং যুগের সূচনা।

পরবর্তীতে সেই স্থানটি দখল করে নিয়েছে ট্যাবলেট পিসি এবং স্মার্টফোন। বিশেষ করে স্মার্টফোনের দখলে এখন রয়েছে প্রযুক্তি বাজারের বড় একটি অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোন সহজলভ্য হয়ে ওঠায় এখন আমাদের দেশেও স্মার্টফোনের বিক্রি বাড়ছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। এসব স্মার্টফোনে অবধারিত ফিচার হিসেবেই রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। তবে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করেন না।

যার ফলে অনেক ব্যক্তিগত তথ্যও হাতিয়ে নিয়ে যেতে পারে নানান অনলাইন প্রতিষ্ঠান। তা ছাড়া হ্যাকাররা তো সবসময়ই রয়েছে আপনার ফোনটি হ্যাক করার জন্য। অনলাইনে স্মার্টফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাই সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া আপনার ফোনটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলেও আপনার ফোনে রক্ষিত মূল্যবান তথ্যগুলো হস্তগত হয়ে যেতে পারে অন্যদের। স্মার্টফোনের জন্য তাই নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই নিরাপত্তা নিয়ে নানান ধরনের কাজ করা যেতে পারে। এই লেখায় প্রয়োজনীয় এবং কার্যকরী কিছু টিপস দেওয়া হলো। নিরাপত্তা কোড বদলান নিয়মিত প্রতিটি ফোনের জন্যই একটি নিরাপত্তা কোড থাকে যা ব্যবহার করে ফোন আনলক করতে হয়। তবে ডিফল্ট যে কোডটি থাকে, তা দুই/একদিনের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়। ফোন ব্যবহারের শুরুতেই নিজের পছন্দমত কোনো কোড ব্যবহার করা উচিত।

নিয়মিত বিরতিতে এই কোড বদলেও দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত কেউ আপনার ফোনে প্রবেশ করতে পারবে না। ফোন কোডের পাশাপাশি আপনার সিম কার্ডের পিন নম্বারটিও সক্রিয় রাখুন। এতে করে বাইরের কেউ আপনার ফোনটি ব্যবহার করতে পারবে না। ফলে কেউ আপনার ফোন থেকে অনলাইনে কোনো তথ্য পাচার করতে পারবে না।

এমনকি ফোনটি চুরি হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলেও ফোনো তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। ওয়্যারলেস সার্ভিস নিষ্ক্রিয় রাখুন ব্লু-টুথ বা ওয়াই-ফাই স্মার্টফোনের একটি অত্যাবশ্যক ফিচার। সকলেই ব্লু-টুথ এবং ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে থাকেন। তবে সবসময়ে এবং সব জায়গায় ব্লু-টুথ এবং ওয়াই-ফাই চালু রাখাটা হুমকির কারণ হতে পারে। পাবলিক ওয়াই-ফাইয়ে আপনার নিজের প্রয়োজনের সময়টুকু ছাড়া ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখাই নিরাপদ।

ব্লু-টুথের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কেননা ব্লুটুথের মাধ্যমেও আপনার ফোনে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস। আর তা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে আপনার ফোনকে এবং আপনার ফোনের নানান ধরনের তথ্যকে। হটস্পটে সতর্ক থাকুন পাবলিক ওয়াই-ফাই বা বিভিন্ন হটস্পটে ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। যেসব হটস্পটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল, সেখানে পারতপক্ষে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন না।

যেসব নেটওয়ার্ক ডাব্লিউপিএ ২ (WAP2) এর বদলে ডাব্লিউপিএ (WPA) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, সেখানেও সেই নেটওয়ার্ক ব্যবহার না করাই ভালো। যেসব নেটওয়ার্কে হালনাগাদ এনস্ক্রিপশন প্রযুক্তির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, সেই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করুন। জিপিএস চালু রাখুন প্রয়োজনে আপনার বর্তমান অবস্থানটি সকলের কাছে প্রকাশ না করতে চাইলে জিপিএস বন্ধ রাখুন। কেবল প্রয়োজনেই জিপিএস ব্যবহার করুন। যেসব অ্যাপ্লিকেশনে আপনার অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়, সেগুলোও পরিহার করার চেষ্টা করুন।

বিশ্বস্ত অ্যাপ্লিকেশন না হলে অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করবেন না। কারণ আপনার অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য ব্যবহার করে অনেকেই আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে সতর্ক থাকুন স্মার্টফোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে নানান ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুবিধা। সময়টাও হয়ে উঠেছে অ্যাপ্লিকেশন নির্ভর। প্রায় সব ধরনের কাজের জন্যই আপনি প্রচুর অ্যাপ্লিকেশন পাবেন।

লক্ষাধিক অ্যাপ্লিকেশনের ভিড়ে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। কারণ, এই অ্যাপ্লিকেশনের ছদ্মবেশে অনেকেই আপনার ফোনের গোপন সব তথ্যে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। অনেক অ্যাপ্লিকেশন চালু করার সময়ই নানান ধরনের তথ্য চেয়ে বসে। তবে আপনার যদি মনে হয় সব তথ্য এই অ্যাপ্লিকেশনটির জন্য সংশ্লিষ্ট নয়, তাহলে অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। নিতান্তই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে চাইলে স্পর্শকাতর তথ্যগুলো ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করবেন না।

এতে অ্যাপ্লিকেশনটি চালু না হলে বুঝবেন সেটি আসলে অ্যাপ্লিকেশনের বেশে কোনো ক্ষতিকর প্রোগ্রাম। কোনো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের আগে ডাউনলোড সেন্টার থেকে এর পূর্বের ব্যবহারকারীর মন্তব্যগুলো পড়ে নেবেন। পাশাপাশি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জেনে নেওয়াটাও জরুরি। প্রতিষ্ঠান নির্ভরযোগ্য হলে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায় নিশ্চিন্তে। সিকিউরিটি আপডেট আপনার স্মার্টফোনের নানান ধরনের অ্যাপ্লিকেশন আপডেট রাখুন।

অনলাইন সিকিউরিটি অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যারও ইন্সটল করুন এবং সবসময় হালনাগাদ রাখুন। পাশাপাশি ফোনের অপারেটিং সিস্টেমও আপডেট রাখুন নিয়মিত। আপডেট অপারেটিং সিস্টেম এবং সিকিউরিটি সফটওয়্যার আপনার ফোনকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করবে। আপডেট অপারেটিং সিস্টেমে এবং আপডেট সিকিউরিটি সফটওয়্যারে ক্ষতিগ্রস্ত উপাদানের মাধ্যমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। ফোন হারালে বা চুরি হলে আপনার ফোনটি কোনো কারণে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার সিমটি লক করে দিন আপনার মোবাইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে।

খুব দ্রুতই এই কাজটি করা উচিত। অনেক সময় ফোন নির্মাতাদের থেকে ফোন লক করার সুবিধাও পাওয়া যায়। সুবিধাটি থাকলে দ্রুত ফোনটিও লক করে দিন। অনেক সময় ফোনে রক্ষিত তথ্যগুলো দূর থেকে সংরক্ষণ করা এবং ফোন থেকে মুছে ফেলা যায়। এসব সুবিধা গ্রহণ করেও আপনার তথ্যগুলো সুরক্ষিত রাখতে পারেন।

লেখক: ইত্তেফাক | বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ ২০১২, ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.