শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর। বেতারে স্বাধীনতার ঘোষনা (যাদের ইচ্ছে "ঘোষনার" জায়গায় "পাঠ" পড়ার জন্যে সবিনয়ে অনুরোধ করছি)
আশিকুল ভাই (ওয়াপদার ইনজিনিয়ার, ২৬ শে মার্চই তাকে শেষ দেখি) এর সাথে আমার দেখা হয়েছিল আমার স্নাইপটাকে খাবার দেবার পর পরই। উনি যাচ্ছিলেন কালুর ঘাট। ওঁর সাথে ডাঃ আনোয়ার আর ডাঃ মন্জুলা আনোয়ার(সরকারক) আর রেখা আপা (কাজী হোসনে আরা, রেডিও পাকিস্তান চট্টগ্রামের ঘোষিকা)কেও দেখেছি। এব্যাপারে আমি পরে আলাদাভাবে লিখছি।
২৬ তারিখ দুপুর থেকেই রেডিও পাকিস্তান চট্টগ্রাম খুলে রাখা হয়েছিল বাসার রেডিওগ্রামে ফুল ভল্যুমে। সারাদিন কিছু শুনেছি বলে মনে পড়ছেনা। সন্ধ্যার পর শুনতে পাই "স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র...."। কিছুক্ষন পর একটা ভারী গমগমে গলা সকালে দেখা আমার ইংরেজী টেলিগ্রামটির বাংলা অনুবাদ পড়ে শোনায়। কে পড়েছিল মনে নেই।
পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কখনো মিহি সুরে, কখনো কাঁপা কাঁপা গলায় আবার কখনো বা "ভাইয়েরা আমার স্টাইলে" স্বাধীনতা ঘোষনার বাংলা অনুবাদ শুনে যেতে থাকি। ২৭ তারিখ সন্ধ্যার পর প্রথম শুনি " I, Major Ziaur Rahman, on behalf of Bangabondhu Sheikh Mujibur Rahman..............." সবাই সেটা শুনেছেন, আগে আর পরে। আমার কাছে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে শোনা ৮/১০টি স্বাধীনতা ঘোষনার মধ্যে সেটাই সবচে' ইমপ্রেসিভ লেগেছিল। মেজর জিয়াউর রহমানের ঘোষনা শেষ হবার কিছুক্ষন পর এশার আজান শুনেছিলাম বলে স্পষ্ট মনে পড়ে।
অস্ত্র নিয়ে সমবেত হবার আহবান
২৭শে মার্চ (তারিখ একদিন এদিক ওদিক হতে পারে) রেডিওতে সবাইকে আহবান জানানো হয় যার কাছে যে অস্ত্র আছে তাই নিয়ে লাল দিঘি/নেয়াজ স্টেডিয়ামে হাজির হ'তে।
কিছুক্ষন পর সে আহবান বাতিল করা হয়।
-ঊনসত্তর থেকে পঁচাত্তর, পৃষ্ঠা-৫১, ত্রিশোনক্ শব্দশৈলী, ৩৮/৪, বাংলাবাজার, ঢাকা।
পাঠশালা, আজিজ সুপার মার্কেট, ঢাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।