আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি আছে সম্ভাবনাময় এ দেশ-মাতার ললাটে!!

এ জগতে তাই যত কিছু পায় তৃপ্তি আমার নাই অন্যের ধন দেখে কেন আমি করি শুধু হায়হায়! উন্নত প্রযুক্তি ও ইমেলের ব্যবহার জনপ্রিয়তা লাভ করলেও ডাক বিভাগের প্রয়োজনিয়তা কমেনি বরং বেড়েছে সহস্রগুন। তাই প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে কুরিয়ার ও পার্শেল সার্ভিসের ব্যবসা। সারা দেশ ব্যপি শাখা প্রশাখা না থাকার ফলে ও বর্তমানে কুরিয়ার সার্ভিস বাংলাদেশে চমৎকার সেবা দিয়ে ও অত্যান্ত লাভজনক ব্যবসা করছে। অথচ সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌছে দেবার ব্যবস্থা থাকলে ও সরকারী ডাক-বিভাগের প্রতি মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না, এর একমাত্র কারন দায়বদ্ধতা কিম্বা জবাবদিহিতা নেই। একটুখানি দায়বদ্ধতা থাকলে এ খাত থেকে সরকারের চমৎকার আয়ের সুযোগ রয়েছে।

কেননা- ব্যাংক, বীমা, মোবাইল কোম্পানী সহ আরো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তাদের নিত্য দিনের কাজে তাদের গ্রাহক ও অফিসিয়াল কাজে অসংখ্য চিঠি পত্রের আদান-প্রদান করেন। অনিয়মের আরেক আস্থানা বাংলাদেশের রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা। বিলাশবহুল গাড়ি থাকার সত্বেও মানুষ এখনো নিরাপদ ভ্রমন হিসাবে সড়ক পথের এই বাহনকে পছন্দ করে। কিন্তু নিয়ম মাফিক রেইলের টিকিট যেন অমাবশ্যার চাঁদ। এখন নতুন নিয়ম করেছে তিনদিন আগে ছাড়া অগ্রীম টিকিট বিক্রি বন্ধ।

কিন্তু টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা জিরো! তথাকথিত মামাদের ( দালাল ) কাছে আপনি একঘন্টা আগেও টিকিট সম্ভব! এটা গোপন কিছু নয়! যারা নিয়মিত ট্রেনের যাত্রী তাদের কাছে এ সকল মামাদের নাম্বার আছে, ফোন করলেই টিকিট মিলে শুধু বাড়তি কিছু টাকা দিতে হয়। বাড়তি টাকা দেওয়া ও নেওয়া আমাদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে! এ সকল পাপবোধের চেয়ে আমাদের প্রয়োজন ও সময়ের মূল্য অনেক বেশী। কেননা আপনি মিটার যুক্ত ট্যাক্সি অথবা সিএনজিতে উঠলেই আপনাকে বলছে মিটারে যে বিল উঠবে আর চেয়ে দশ-বিশ টাকা বাড়িয়ে দিতে হবে। আপনি আমি সানন্দে রাজী যাক বাবা তাও একটা ব্যবস্থা হলো। ডাক্তারের চেম্বারে সিরিয়াল দিয়ে বসে আছেন লাইন কমে না অথচ আপনার পরে এসে পিএসকে কিছু ধরিয়ে দিয়ে কাজ সেরে ফেলছে।

সরকারী চাকরী পেতে, এমনকি লাভজনক জায়গাতে বদলী হতে কোয়ার্টার পেতে হলে তো টাকা পয়সার সাথে আরও অনেক ফন্দী করতে হয়। ভাল স্কুল কলেজে ভর্তি হতে হলে অনেক টাকা ডোনেশন দিতেও যাদের পয়সা আছে তারা পিছ পা হয়না। পরিস্থিতির কাছে আমরা যেন দিন দিন ভীষন ভাবে জিম্মী হয়ে যাচ্ছি। তবে কিছু শ্রেনী যে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে তা কম বেশী কারোরই অজানা নেই। আর ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না এটাতো কালের প্রবাদ !! আমরা পরিবর্তন চায় মনে প্রানে।

সামান্য কিছু স্বার্থন্বেশী মানুষ ছাড়া সবাই এবং ১৬ বাঙালীর মধ্যে তার সংখ্যা অতি নগন্য কিন্তু সর্বত্র তাদের অবাধ বিচরন। এ অবস্থা থেকে এ দেশ সমাজ কি কোনদিনই মুক্তি পাবেন!! এদেশে তৃতীয় কোন শক্তির আবির্ভাবের সম্ভবনা আছে বলে মনে হয়না। সরকারী দল অথবা প্রধান বিরোধী দলের পালা বদলেই আমাদের বাঙালী জাতীর সুখ-দুঃখের স্বপ্ন। তাই আপনাদের কাছে একটি চমৎকার নেতৃত্ব আশা করছি একটি সুন্দর দেশ তথা মা ও মাটির জন্য আর একটি বার একটি সুন্দর স্বপ্ন বাস্তাবায়নের স্বপ্ন দেখা যায় না! একাত্ততার স্বপ্নের বিনিময় কি সম্ভব নয়! কেননা সঠিক নেতৃত্ব পেলে এ দেশ এখনো অনেক সম্ভাবনাময়। এ দেশের সাধারন মানুষকে খারাপ বলার কোনন সুযোগ নেই।

শুধু মাত্র আইনের শাসন সঠিক ভাবে চালু করুন, আইনকে তার নিজেস্ব গতিতে চলতে দিন দেখুন এ দেশের মানুষ ও ভীষন শ্রদ্ধাশীল হবে আইনের প্রতি। যে দেশের মানুষ নিজ দায়িত্বে লাইনে দাড়িয়ে থাকে শুধু এতটুকু ভাল সার্ভসের জন্য গাড়িতে টিকিট নেবার জন্য, ব্যাংক ও বিভন্ন কষ্টমার সার্ভিসে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে কখনো টোকেন নিয়ে শ্রদ্ধাভরে ও সানন্দে সেবা গ্রহন করছে। তাদের সম্পর্কে অভিযোগ না করে আপনারা যারা দেশ চালাতে অতি উৎসাহি- সুন্দর প্রত্যয় নিয়ে একটি সুন্দর দেশ উপহার দেবার সত্যিকারে চেষ্টা করুন। অনেক ভালবাসা, সহযোগীতা ও সহমর্মিতা পাবেন সকলের কাছ থেকে কারন এ দেশ সবাই কতটা ভালবাসে তা শুধু একটি ক্রিকেট জিতলে অথবা সীমান্তে একটি লাশ পড়লেই টের পান।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।