১৩ দফা দাবির বিপরীতে আমার কয়েটি প্রশ্নঃ ১। যারা ১৩ দফা দাবি যারা তুলেছেন তারা কি এই সকল বিষয় সঠিক ভাবে পালন করেন তো? যদি পালন না করেন তাহলে কি জন্য এই সকল দাবি উপস্থাপন করেছেন? ২। বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল কলেজ এ যে ভাস্কর্য আছে এগুলো আপনাদের আবার কি ক্ষতি করলো? পৃথিবীর আর কোন দেশে কি এই ধরণের ভাস্কর্য নেই? সেখানে এই ধরণের দাবি নেই কেন? ৩। আপনাদের সন্তানেরা কি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে না? যদি পড়াশুনা করে থাকে তা হলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়ে বাড়িয়ে নিয়ে পড়াশুনা তাহলে নারী শিক্ষার কোন পরিবর্তন করা কোন দরকার নেই? ৪। উন্নত বিশ্বে নারীরা কি সমান অধিকার পায় না? আর যদি পেয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশে সকল নারীরা এই অধিকার পাবে না কেন? ৫। পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সকল এনিজও কাজ করে সকল এনজিও মনে হয় খ্রিস্টানদের নয় ! আর যে সকল এনজিও কাজ করে তারা মনে হয় এমন কাউকে বলেনি যে তাকে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করতে হবে? যদি থাকে প্রমাণ থাকে উপস্থাপন করুন? ৬। স্বাধীনতার ৪২ বছর ধরে আপনারা কোথায় ছিলেন? এত দিন পরে এসে আপনাদের মাথায় কিভাবে সু-বুদ্ধির উদয় হলো? সমাবেশের ঘোষণা: মহাসমাবেশ শেষে ১৩ দফা ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ঘোষণার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ‘মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন; ইসলাম বিদ্বেষের গুরুতর অপরাধে শাহবাগ আন্দোলনের সংগঠক ও নেতৃত্বদানকারী চিহ্নিত নাস্তিক মুরতাদদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তিদান; আল্লাহ, রাসুল, কোরআন ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়ন; চলমান আন্দোলনে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের পক্ষের সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের গুলিবর্ষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের কঠোর বিচার; ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্দোলন-বিক্ষোভে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার মুক্তিদান এবং তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার; মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা; ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও ইসলামবিরোধী নারীনীতি বাতিলের পাশাপাশি শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলামি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা; সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম ও খতিবকে হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধের পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে পরিচালিত ষড়যন্ত্র বন্ধ করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিওগুলোর অপতৎপরতা এবং খ্রিষ্টান মিশনারিদের ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।