প
শরীয়তপুর, মার্চ ২২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- শিক্ষকের পছন্দসই ইংরেজি গাইড বই না রাখা এবং এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ফাইনালে ওঠার আনন্দে পতাকার রং মেখে ক্লাসে আসায় পিটিয়ে ৩০ ছাত্রছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন এক শিক্ষক।
বুধবার শরিয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার সামন্তসার উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজির শিক্ষক মো. আব্দুস ছালাম সরদার এই ঘটনা ঘটান।
প্রধান শিক্ষক আবুল হাসেম মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ জয়ী হওয়ায় নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা রঙ মেখে ক্লাসে আনন্দ করেছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক তাদের মারধর করেন। ”
আহত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আল আমিন, মুরসালিন ও আসমা আক্তারকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া আবু বকর, শাহিন, আলম, ইস্রাফিল, মিজান, আছিয়া, উর্মি, খালেদা, সুমাইয়া, মনোয়ারা, মুন্নি, সিথি, নিশিসহ কয়েকজনকে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক বলেন, “ওই সময় শিক্ষার্থীরা ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করছিল। এ কারণেই শিক্ষক তাদের পিটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ”
তবে আহত ছাত্র ইমরান বলেন, “ছালাম স্যার ক্লাশে এসে ইংরেজি প্রথম পত্রের পপি গাইড চান। দিতে না পারায় বাইরে থেকে বাঁশের কঞ্চি এনে সবাইকে পিটাতে থাকেন।
”
আহত ছাত্র আল আমিন ও শাহিনের দাবি, তারা কাউকে বিরক্ত করেনি।
গোসাইরহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইংরেজি শিক্ষক আব্দুস ছালাম ক্লাশে গিয়ে গাইড বই না পাওয়ায় এবং ছাত্র-ছাত্রীরা রং মেখে ক্লাশে আসায় মারধর করেছেন বলে অভিভাবকরা তার কাছে অভিযোগ করেছেন।
“স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছি। ”
আল আমিনের মা পারুল বেগম বলেন, পপি গাইড বই দিতে না পারায় তার ছেলেকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলেন শিক্ষক ছালাম।
মুরসালিনের মা শিরিন আক্তার বলেন, “ঘটনাটি আমরা সাংবাদিকদের জানিয়েছি বলে স্কুলের লোকজন এখন হুমকি দিচ্ছে। ”
“হেডমাস্টর এখন ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ করছেন। কিন্তু ছালাম মাস্টর তো ছাত্রীদেরও পিটিয়েছে। তাহলে ছাত্রীরাও কি ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেছে”, প্রশ্ন রাখেন এই অভিভাবক।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শিক্ষক আব্দুস ছালাম সরদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
গোসাইরহাট থানার ওসি একরাম আলী মোল্লা জানান, ঘটনাটি শুনে তদন্তের জন্য স্কুলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
সামন্তসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমির হোসেন পঞ্চায়েত জানান, তিনি বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।