আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কে এই মান্নান ?

অধ্যাপক এম এ মান্নান । বর্তমানে গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যাপক এম এ ম্যন্নান, পিতা মৃত কছিম উদ্দিন, গ্রাম+পোঃ সালনা, থানাঃ জয়দেবপুর, জেলাঃ গাজীপুর, ১৯৯১ সনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর ও টঙ্গী) আসনে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং শেষে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। জাতীয় নির্বাচনে আসার পুর্বে তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার কাউলতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ২০০১ সনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচনে পরাজিত হন এবং ২০০৪ এর আগষ্ট মাসে উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন।

১৯৯১ সালের পূর্বে তিনি গাজীপুর শহরে কাজী আজিমুদ্দিন কলেজের শিক ( রসায়ন বিষয়) ছিলেন। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ও তাঁর আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল । ব্যক্তির বর্তমান রাজনৈতিক জীবনে সংকীর্ণতাবোধ রয়েছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে হাজীদের সৌদি আরবে বাসা ভাড়া করে দেয়ার কর্মকান্ডে তাঁর বিরুদ্ধে কয়েক ল টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। নিুমানের বাসা ও কম সুযোগ সুবিধায় বাড়ী ভাড়া করে দেওয়ার কারণে হজ্জ শেষে সংশ্লিষ্ট হাজীগণ দেশে ফিরে তাদের টাকা দাবী করেন এবং বিষয়ে ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলনও করা হয় বলে জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট অভিযোগে তিনি তখন মন্ত্রীত্ব হারান বলে জনশ্র“তি রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মমন্ত্রী থাকাকালে এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসাসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে আর্থিক সাহায্য/অনুদানের টাকা থেকে প্রচুর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ শুনা যায় । তাছাড়া সূত্রমতে সদর উপজেলার কোনাবড়ীতে বিরোধপূর্ন জনৈকা মহিলার আধা বিঘা জমি তিনি কৌশলে নিজ নামে কাওলা করে নিয়ে নায্য মূল্য না দিয়ে সেখানে নিজ মাহিলকানাধীন ’’ কোনাবাড়ী প্লাজা’’ নামে পাকা মার্কেট নির্মাণ করেছেন বলে দুনীর্িিতর অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি নিজ স্ত্রীকে গাজীপুর শহরে জকি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চাকুরী দেওয়ার ব্যবস্থা করেন এবং স্ত্রী স্কুলে নিয়মিত উপস্থিত না থেকে নিজ নামে বেতন ও ভাতা গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি স্থায়ী এলাকার বাসিন্দা এবং ঢাকায় অবস্থান করলেও এলাকায় প্রায়শই এসে থাকেন।

দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচী পালনসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও জনসংযোগ মাঝে মধ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন। গাজীপুর জেলা বিএনপিতে ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে অধ্যাপক এম এ মান্নোনের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করাকে কেন্দ্র করে তিনি দল থেকে বহিস্কৃত হন এবং তখন থেকেই অপর স্থানীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকারের সাথে তার তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয় । ফলে স্থানীয়ভাবে বিএনপি মান্নান গ্র“প ও হাসান সরকার গ্র“প নামে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে। বছর খানেক আগে অধ্যাপক মান্নানকে পুনরায় দলভুক্ত করা হলেও এখনও উভয় গ্র“পের পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।