যেথায় পড়শী বসত করে, আমি একদিন ও না দেখিলাম তারে।
মিডিয়ার মানুষদের নিয়ে অনেক অরুচিকর, মুখরোচক খবরের কারণে এ মাধ্যমের মানুষগুলোর প্রতি এক ধরণের বিতৃষ্ণাবোধ কাজ করে অনেকের মনে। কিন্তু তারপর ও কিছু মিডিয়া, বিশেষ করে, টেলিভিশন মিডিয়ার কিছু মানুষের জন্য এখনো মানুষের মনে যথেষ্ট শ্রদ্ধাবোধ আছে। আবুল হায়াত আর তার পরিবার এই সামান্য কিছু মানুষদের প্রতিনিধি।
আবুল হায়াত, বিপাশা হায়াত, তৌকির আহমেদ, এরা তাদের ব্যক্তিত্ব, অভিনয়, আর আপাত-সুন্দর জীবনযাপনের মাধ্যমে, লাখো মানুষের হৃদয়ের আসনে প্রতিষ্ঠিত।
চারিদিকে আপাত শিক্ষিত মানুষদের নীচতা, শঠতা, লোভ আর স্বার্থপর কর্মকান্ড দেখে আমরা যখন বিহ্বল হয়ে পড়ি, তখন এই মানুষগুলো আমাদের প্রেরণা যোগায়। নিজের মেধা কে কাজে লাগিয়ে, পরিশ্রম দিয়ে যে সৎ ভাবে সুন্দর জীবন-যাপন করা যায়, এদের দেখে সেই প্রেরণা পাই।
কিন্তু যখন শুনি, এই মানুষগুলো বড় ধরণের প্রতারণার সাথে জড়িত, খুব কষ্ট পাই। হৃদয় ভেঙে পড়ে।
অতি সম্প্রতি, তৌকির আর বিপাশার বিরুদ্ধে তাদের বড় বোন (ননদ), যিনি বিদেশে উপার্জিত টাকা দিয়ে তৌকিরের লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছেন বলে দাবী করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে, বড় ধরণের অর্থ কারচুপির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
Click This Link
জানি, এটা তাদের পারিবারিক ব্যাপার। আর মামলা দায়ের মানেই যে তারা দোষী, এটা নয়, যতক্ষণ না ব্যাপার টার মীমাংসা হয়। তবুও এই ধরণের খবর পড়ে একটা বড় ধরণের ধাক্কা খেলাম।
পৃথিবীতে কোথাও কি বিশ্বাস-ভালোবাসার জায়গা নেই?
প্রসঙ্গতঃ আমার ও বড় ভাইয়া আমাকে পড়াশুনা করিয়েছেন, অনেক কষ্টে। তার জন্য আমি এখনো কিছু করতে পারি নাই।
আশঙ্কা হয়, কখন আমিও এই রকম হয়ে যাই। ভালোবাসার মানুষ দের সাথে স্বার্থপরের মত আচরণ করি। তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করে নিজের অর্থ-বিত্ত গড়ি। আল্লাহ যেন তা ঘটার আগেই আমার মৃত্যু দেন।
মনে-প্রাণে কামনা করি তৌকির-বিপাশা দের ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।