আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাগ একটি মন্দ অভ্যাসঃ এই মন্দ অভ্যাসটি ত্যাগ করার কয়েকটি সহজ পদ্ধতি

সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি সব সময় রেগে থাকেন এমন লোকের দেখা প্রায়ই পাওয়া যায়। আবার হুট করেই রেগে যান এমন লোকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। রাগ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টাও মানুষ কম করেনা। নানা রকম ধ্যান করার মাধ্যমেও অনেকে রাগ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালান। রাগ প্রশমনের বেশ কিছু নিয়ম আছে তবে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বার্ড বুশম্যান রাগের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন চিনি রাগ উপশমে সাহায্য করে| সম্প্রতি তাঁর এ গবেষণার ফল এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে| তিনি বলেছেন, চিনি রক্তপ্রবাহকে ঠিক রেখে মসত্মিষ্কে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে| কেউ রাগ করলে আগের অবস্থায় তার মনকে স্বাভাবিক করার কাজে মসত্মিষ্কের অনেক শক্তি ব্যয় হয়| গস্নুকোজ ও মিষ্টিদ্রব্য অতিদ্রম্নত মস্তিষ্ককে সেই শক্তি যোগান দিতে পারে| লেবু দেয়া কোন মিষ্ট পানীয় পান করলেও বেশ খানিকটা উপকার পাওয়া যায়; তাতেও খানিকটা মস্তিস্কের শক্তি পাওয়া যায়| গবেষক জানিয়েছেন, তাঁরা বেশকিছু কলেজ ছাত্রের মেজাজ পরীৰা করেছেন| তাতে এই চিনি বা গস্নুকোজের সুফলের অকাট্য প্রমাণ পেয়েছেন| এই মন্দ অভ্যাসটি ত্যাগ করতে চান তাদের জন্য আমার পরামর্শ আপনারা রেগে গেলে মিষ্টি খাবার অভ্যাস করুন।

হাতের কাছে রাখুন মিষ্টি নিদেন পক্ষে একমুঠো চিনি। তিনি যদি চিনি-গস্নুকোজ বা মিষ্টি কোন খাবার রাগের সময় খানিকটা খেয়ে নেন তাহলে দ্রুত সেই মিষ্টি তাঁর মেজাজ স্বাভাবিক করতে মস্তিস্কে সাহায্য করবে অর্থাৎ সেখানে শক্তি যোগাবে| রাগে অগ্নিশর্মাদের জন্য যে ভাল দাওয়াই পাওয়া গেছে এতে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই| রাগ হলে মেজাজ হয় গরম, সঙ্গে সঙ্গে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় কিছু খেলে মিষ্টি মিষ্টি হয়ে গলে যাবে মেজাজটাও, রাগ পালাবে, চমৎকার ওষুধ ! তবে এবার একটু ভিন্ন ধরনের একটা পদ্ধতি বাতলে দিয়েছেন নিউ সাউথ ওয়েলসের অধ্যাপক টমাস ডেনসন। ডানহাতি মানুষ যদি টানা দুই সপ্তাহ বা হাত দিয়ে কম্পিউটারের মাউস ব্যবহার করেন কিংবা চায়ের কাপে চিনি মেশানো বা দরজা খোলার অভ্যাস করেন তা হলে তারা অনেক সফলভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং বিনয়ী হয়ে উঠতে পারবেন বলে এক গবেষণায় দাবী করেছেন। আর বাঁ হাতি মানুষের ব্যবহার করতে হবে ডান হাত। সম্প্রতি অধ্যাপক ডেনসনের এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স জার্নালে।

তার মতে আত্ম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই মানুষ নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তিনি বলেছেন, মানুষের সাধারণ অভ্যাস হলো নিজেদেও শক্তিশালী হাতটার ব্যবহার করা। কিন্তু অপর হাতটা দিয়ে মাউস ব্যবহার, কফিতে চিনি মেশঅনো বা দরজা খোলা ইত্যাদি কাজ করার মাধ্যমে মানুষ আত্মনিয়ন্তণের অনুশীলন করতে পারে। ডেইলী মেইলের খবরে বলা হয়, অপরাধবিজ্ঞাণীও সামাজিক-বিজ্ঞানীরা অনেক দিন থেকেই বিশ্বাস করেন যে, যাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কম, তারা সুযোগ পেলে সহিংস অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন। এই তথ্য জানিয়ে ডেনসন বলেছেন, একধরণের ঝোঁকের বশে এ রকম কাজগুলো করা হয়।

১০ বছর ধরে মনোবিজ্ঞানীর আত্মনিয়ন্্রণে করার নতুন উপায় খোঁজার জন্য গবেষণা করেছেন। তাঁরা দেখেছেন যে, আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে না পারা ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁদের আগ্রাসী মনোভাব খুবই গভীরভাবে সম্পর্কিত। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, কাউকে কিছু সময়ের জন্য নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাধ্য করলে পর তারা আরও বেশি আগ্রাসী আচরণ করেন। ডেনসন বলেছেন, আমার কাছে এই গবেষণার সবচেয়ে আকর্ষণীয় তথ্য হচ্ছে, আপনি যদি রাগী মানুষকে আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা উন্নয়নের সুযোগ দেন, তা হলে তাদের আগ্রাসী মনোভাব অনেক কমে আসে। তবে ব্যাপারটা এ রকমও নয় যে, রাগী মানুষ নিজেদের রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা একেবারেই করেন না।

মুশকিলটা হলো, তাদেও অনেকেই এটা ভালোমতো করার উপায়টা শনাক্ত করতে পারেন না। ফলে যারা নিজেদের রাগ বা সহিংস আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তারা এই নতুন কৌশলগুলো অনুসরণ করলে ফল পেতেও পারেন বলে বিশ্বাস ডেনসন ও তাঁর গবেষক সহকর্মীদের। সূত্র ডেইলী মেইল অনলাইন Click This Link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।