মানুষ নিদ্রিত এবং মৃত্যুর পরপরই সে জেগে উঠবে। প্রথম পর্বের লিংক
Click This Link
হাদীছে এসেছে এসময় সার্বিকভাবে সম্ভাবনায় তরুণ / যুব সম্প্রদায় (YOUTH) অবাধ্য ও উশৃংখল হয়ে উঠবে। বাস্তবেও দেখা যায় যে পরিবার/সমাজ/রাষ্ট্রের নিয়ম কানুন না-মানা, দুর্বিনীত হওয়া ইত্যাদির জন্য অভিভাবকশ্রেণী সন্তানদের বড় করতে অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে।
হঠাৎ মৃত্যু একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠবে। বাস্তবেও দেখা যায় বিমারি বা অসুস্থতা না-থাকা সত্ত্বেও সুস্থ সবল মানুষ হঠাৎ মারা যাচ্ছে।
এক শ্রেণীর মানুষ শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করা শুরু করবে। ছেলে মেয়ে হবে, মেয়ে ছেলে হবে।
মানুষ শুধু তার পরিচিত জনকেই শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানাবে। কিন্তু সাধারণভাবে একে অপরের প্রতি অনির্ভরযোগ্য ও অবিশ্বস্ত হয়ে উঠবে। মানুষ নৈতিক গুণ হারিয়ে ফেলবে।
অর্থাৎ প্রতারণা, অপরের অধিকারের প্রতি উদাসীনতা ইত্যাদি সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠবে।
বাস্তবে এক সময় নিষিদ্ধ থাকা জিনিষগুলো শুধুমাত্র নাম পরিবর্তন করে বৈধ ও সমাজে স্বীকৃতি লাভ করবে। যেমনঃ মহিলা-মহিলা বিবাহ (Lesbian Marriage), পুরুষ-পুরুষ বিবাহ (Gay Marriage)। নাম পরিবর্তন করে এগুলোর এখন আইনী নাম দেয়া হয়েছে Civil Partnership. অনুরূপভাবে, যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য মানুষ Assisted Suicide চালু করেছে, যা’ হত্যাকান্ডের সামিল।
এ সময় ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকাংশই নিজেদের সমুদ্রে ভেসে থাকা ফেনা/ময়লা আবর্জনা সদৃশ অপ্রয়োজনীয় ও অবদমিত দেখতে পাবে।
তারা বিধর্মীদের সব কাজের অনুকরণ/অনুসরণ করবে। এমনকি তারা যদি গুই সাপের গর্তে হাত ঢুকায়, মুসলমানেরাও তাই করবে। তারা যদি নিজের মায়ের উপর উপগত হয়, তারা তা-ও করতে দ্বিধাবোধ করবে না। মুসলমানেরা মৃত্যুকে ভয় পাবে ও উগ্র জাতীয়তাবাদ বা জাত্যাভিমান ইত্যাদি রোগে পেয়ে বসবে। এ রকম নজির পাকিস্তানে ও তুরস্কে দেখা যায়।
ইহুদিরা নেপথ্যে বিশ্ব নেতৃত্বে অবস্থান করে শান্তির আহবান করবে। উপরে উপরে শান্তির জন্য মধ্যস্থতা করবে। কিন্তু তলে তলে ষড়যন্ত্র পাকাবে এবং অশান্তির বীজ বুনে যাবে। মুসলমানরা বাধ্যতামূলক জিহাদ পরিত্যাগ করবে। সুদভিত্তিক অর্থনৈতিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়বে।
কৃপণতা অবলম্বন করবে। বাধ্যতামূলক ফরজ যাকাত ও অন্যান্য দান এড়িয়ে চলবে, যা’ কোরান-হাদীছে বিশেষ নির্দেশ/গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ সমগ্র বিশ্ববাজারকে গ্রাস করে ফেলবে। অসহায় নির্যাতিত দলিত মথিত মানুষেরা এ সময় এ অসহনীয় অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজের মৃত্যু কামনা করবে। তারা গোরস্তানের পাশে অতিক্রম করা কালীন বিড়বিড় করে বলবে হায়! আমি যদি এদের মতো হতে পারতাম! বোঝাই যায়, মৃত্যুই তখন জীবিত থাকার চাইতে স্বস্তিদায়ক হবে।
মীর্জা মোহাম্মদ কাদিয়ানি
৩০ জন ভন্ড নবীর আবির্ভাব হবে। ধর্ম বিশ্বাসী, পালনকারী, চর্চাকারীরা এ সময় পদে পদে অপদস্ত হবে, বিদ্রুপের শিকার হবে। প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্র এক একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হবে। নিত্যনতুন ধর্মীয় মতবাদের আবির্ভাব হবে। হাদীছে উল্লেখ আছে - এ সময় প্রায় ৭৩ টি ধর্মীয় গ্রুপ সৃষ্টি হবে।
একটি দল মুক্তি পাবে, বাকী ৭২টি ধ্বংস হবে। জাহান্নামী হবে। এ সব ধর্মীয় গ্রুপ বা গোষ্টি একে অপরের সাথে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত হবে। মারামারি হানাহানিতে লিপ্ত হবে। যেটি বাস্তবের একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
উল্লেখ্য বনি ইসরাইলীরা প্রায় ৭২ দল/গোষ্টিতে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। তারাও মারামারি হানাহানিতে লিপ্ত ছিল। এভাবে তারা তাদের ধর্মকে ধ্বংস করেছে। এ সময়ের আরেকটি দুঃখজনক খবর হচ্ছে যে - এসময় ইসলামের খাটিঁ, নির্ভরযোগ্য ও নির্ভেজাল আলেমগণ / পন্ডিতবর্গ একে একে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে থাকবে। তাদের স্থান পূরণকারী আর সৃষ্টি হবে না।
স্বল্পশিক্ষিত মূর্খ নামধারী আলেম এসময় ধর্মের বিধান, ফতোয়া ইত্যাদি প্রচার করবে। নিজেরা তো জাহান্নামী হবেই, তদুপরি তাদের অনুসারীদেরও জাহান্নামী বানাবে।
চলবে ……….
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।