দেখিয়া শুনিয়া চরম বিরক্ত
অপ্রিয় কথাঃ
দায়িত্ব নিতে কেউ কাউকে জোর করে না। যে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে না পারে সে যেন দায়িত্ব না নেয়। দায়িত্ব নিয়ে অবহেলা করা যাবে না। খুউব খিয়াল কইরা।
মূল খবরঃ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর দপ্তরে বসে অকস্মাৎ ফোন করেন কুমিল্লার চান্দিনা ও শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিনি কয়েক দফা টেলিফোন করে কমপ্লেক্সের উপস্থিত-অনুপস্থিত চিকিৎসক-কর্মচারীদের ব্যাপারে খোঁজ নেন। তিনি জানতে পারেন, দুই কর্মস্থলে আট চিকিৎসক অনুপস্থিত।
একপর্যায়ে মন্ত্রী অনুপস্থিত চিকিৎসক নাসের ইকবালের মোবাইল ফোনে কল করেন। ডা. নাসের মন্ত্রীকে বলেন, 'স্যার আমি বাথরুমে'। তৎক্ষণাৎ মন্ত্রী কৌশলে ফের যাচাই করে জানতে পারেন, ওই চিকিৎসক আসলেই দপ্তরে নেই, তাঁকে মিথ্যা কথা বলেছেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী অনুপস্থিত আট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত এবং বিধি অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রী যে আট চিকিৎসককে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পেয়েছেন তাঁরা হলেন জাজিরার আবাসিক সার্জন ডা. নাসের ইকবাল, জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এ কে আজাদ, ডেন্টাল সার্জন ডা. মাহফুজুর রাহমান, সহকারী সার্জন আসাদুজ্জামান তালুকদার ও মেডিক্যাল অফিসার কানিজ ফাতেমা তানিয়া, চান্দিনার জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. রোকন বিনতে হোসাইন, সহকারী সার্জন ডা. নাসরীন আক্তার ও ডা. সিফাত তাসনীম।
ডা. এ কে আজাদ ও নাসের ইকবালের মোবাইলে ফোন করে তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান মন্ত্রী। আজাদ জানান, তিনি পারিবারিক জরুরি কাজে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। মন্ত্রী অফিস চলাকালে কর্মস্থল ত্যাগের কারণ ও ছুটির আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে চিকিৎসক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
নবনিযুক্ত জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রহিম বঙ্ বুধবার কাজে যোগ দিলেও ওই দিনই কর্মস্থল ত্যাগ করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. রোমান বাদশার সঙ্গে ফোনে কথা বলে সার্বিক বিষয়াদি জেনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
এ ব্যাপারে মন্ত্রী জেলা সিভিল সার্জন ডা. ওয়াহাব হাওলাদারকে ফোন করলে সিভিল সার্জন পুরো বিষয় সম্পর্কে অবহিত নন বলে জানান। উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মনিটরিং জোরদার করার জন্য মন্ত্রী তাঁকে নির্দেশ দেন।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।