বাংলাবার্তা ২৪ ডটনেটঃ বিটিআরসির নোটিশের বিপরীতে একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ আজ দুপুরে তাদের নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন,সরকারের একজন মন্ত্রী এবং একটি মহল একুশে টিভির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে চক্রান্ত করছে। আদালতের রুল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিটিআরসি এই রকম কোন চিঠি দিতে পারেনা। বিষয়টি আদালতে এখনো বিচারাধীন আছে।
উল্লেখ্য গত ১১ মার্চ বিটিআরসি দুটি বিষয় উল্লেখ করে ইটিভিকে চিঠি দিয়ে ১৮ মার্চের মধ্যে উত্তর দিতে বলে। প্রথমটিতে বিটিআরসি দাবি করে একুশে টিভির তরঙ্গ স্থগিতের পরে কিভাবে সম্প্রচার চালানো হচ্ছে? দ্বিতীয়ত একুশে টিভির রেডিও এ্যাপাটারস লাইসেন্স নেই এবং একুশে টেলিভিশন এই লাইসেন্সর জন্য আবেদনও করেনি। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান,আদালতের নির্দেশেই ২০০৭ এর ২৯ মার্চ বিটিআরসি একুশে টিভিকে তার তরঙ্গ সহ সবকিছু ফিরিয়ে দিলে একুশে টিভি পূনরায় সম্প্রচারে যায়।
একই সালের ২২ এপ্রিল অন্য এক চিঠির মাধ্যমে ইটিভির কাছে ৩০ কেটি ৯ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধের দাবি করে। অন্যথায় তরঙ্গ স্থগিতের কথা বলে।
এর প্রতিবাদে ইটিভি আদালতে রিট করলে আদালত বিটিআরসির ২২ এপ্রিলের চিঠির কার্যকারিতা রিট পিটিশন নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করে। যা আজ অবধি অ-মিমাংসিত অবস্থায় রয়েছে।
তরঙ্গ এবং লাইসেন্সের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০১২ সাল পর্যন্ত বিটিআরসির ডিমান্ড নোট মোতাবেক সমুদয় টাকা পরিশোদ করা হয়েছে। এবং আমরা লাইসেন্স এর জন্য আবেদনও করেছি। সেই মোতাবেক বিগত ৫ বছর যাবৎ নির্ধারিত চার্জ পরিশোধ করে আসছি।
সরকারের হেনস্থা করা ব্যাপারে তিনি আরো জানান, বিটিআরসির সাথে এবার এনবিআরও যুক্ত হয়েছে। ২০০১-২০০২-২০০৩ এর আয়কর এনবিআর রি-এসেসমেন্ট করলে ১২ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে।
উপস্থিত সাংবাদিকরা এব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমরা স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী। ইটিভির বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি জানেন না।
১২ মার্চে সম্প্রচার বন্ধের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বিষযটি তদন্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাবার্তা ২৪ ডটনেট/ d41d8-/15 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।