আপনজন বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী আদর্শের ধারক ও বাহক বিএনপি। ২০১১ সালের প্রথম দিকে দলটির মহাসচিব নির্বাচনে বিভক্ত হয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। একটি গ্রুপ তৎকালীন মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, অন্যটি মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপরেও খন্দকার দেলোয়ার তার মহাসচিবের পদ থেকে সরতে রাজী না হওয়ায় মীর্জা ফখরুল ইসলামকে করা হয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। এর পর গত বছরের ১৬ মার্চ খোন্দকার দেলোয়ার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
খন্দকার দেলোয়ারের মারা যাওয়র পর মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পরখ করে দেখার জন্য বানানো হয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে ১ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে রাজনীতির অঙ্গণে পরীক্ষাও দিয়েছেন অসংখ্যবার। নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। সংকট ও সমস্যার মধ্যে নিজেকে সংযত রেখে সাহস যুগিয়েছেন দলের নেতাকর্মীদের।
দিন-রাতসহ সময় অসময়ে ছুটে গেছেন নেতাকর্মীদের কাছে। বিপদ-আপদে সব সময় তাকে কাছে পেয়েছে দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নিম্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও। এছাড়াও বিএনপি'র বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীতেও তিনি দিয়েছেন যোগ্যতার পরিচয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও তিনি ভারমুক্ত হতে পারছেন না। এক বছরের পরীক্ষার পরেও তার উপর থেকে সরছে না দায়িত্বের ভার।
হচ্ছেন না ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব থেকে সরাসরি মহাসচিব। তাই অনেকের কাছে এখন প্রশ্ন আর কত পরীক্ষা দিলে ভারমুক্ত হতে পারবেন বিএনপির এই নিবেদিত প্রাণ ও সংগঠন মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নাকি আদও কোন দিনও ভারমুক্ত হতে পারবেন না। নাকি স্বীকার হবেন কোন ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।