মনফুলের বাগানে স্বাগতম... ১/ কুরআন শরীফের সুরা ‘আল ফজর’ এর ৭ নম্বর আয়াতে ‘ইরাম’ নামক একটি গোত্র বা শহরের কথা বলা হয়েছে কিন্তু ইরাম এর নাম কোন ইতিহাসে পাওয়া যায় নি। তাই কুরআন শরীফের তাফসীরকাররাও সুস্পষ্টভাবে এ শব্দটির অর্থ বলতে পারেননি।
১৯৭৩ সালে সিরিয়ার ‘এরলুস’ নামক একটি পুরানো শহরে খনন কার্যের সময় কিছু পুরানো লিখন পাওয়া যায়। এসব লিখন পরীক্ষা করে সেখানে ৪ হাজার বছরের একটি পুরানো সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে। এ লিখনগুলোর মধ্যে ‘ইরাম’ শহরের উল্লেখ আছে।
এক সময় এরলুস অঞ্চলের লোকজন ইরাম শহরের লোকজনের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করত। এ সত্যটা আবিষ্কার হল মাত্র সেদিন অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে।
প্রশ্ন হল দেড় হাজার বছর আগে নাযিলকৃত কুরআনে এ শহরের নাম এলো কী করে? মুহাম্মদ (সঃ) যদি নিজেই এ কুরআন রচনা করবেন তবে তিনি এ শহরের নাম কী করে জানলেন? একমাত্র সর্বজ্ঞাত আল্লাহর পক্ষেই তা জানা সম্ভব। সুতরাং নিঃসন্দেহে কুরআন আল্লাহর বাণী।
২/ সুরা ‘আর রোম’ এ ‘ফী আদনাল আরদ’ বলে আল্লাহ গোটা ভূ-মন্ডলের যে স্থানটিকে ‘সর্বনিম্ন অঞ্চল’ বলেছেন তা ছিলো সিরিয়া, ফিলিস্তিন ও জর্ডানের পতিত ডেড সী এলাকা।
মাত্র কিছুদিন আগে আবিষ্কৃত ভূ-জরিপ অনুযায়ী প্রমাণিত হয়েছে এটা সারা দুনিয়ার মধ্যে আসলেই নিম্নতম ভূমি।
সী লেবেল থেকে এটা ৩৯৫ মিটার নীচে। এটা যে গোটা ভূ-খন্ডের সবচেয়ে নীচু জায়গা তা ১৪০০ বছর আগের মানুষরা কী করে জানবে? কী করে জানবেন অক্ষরজ্ঞানহীন নবী মুহাম্মদ (সঃ), যিনি ভূ-তত্ত্ব প্রাণী তত্ত্ব কোন তত্ত্বেরই ছাত্র ছিলেন না । একমাত্র সর্বজ্ঞাত আল্লাহর পক্ষেই তা জানা সম্ভব। সুতরাং নিঃসন্দেহে কুরআন আল্লাহর বাণী।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।