আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
সময় কাল ১৯৪২ সাল যখন জাপানীরা ফিলিপাইন দখল করে নেয়। এতে বহু আমেরিকান সৈন্য যুদ্ধবন্দী হয়। তখন দখলদার জাপানী সৈন্যরা সারা ফিলিপাইনে ঘোষণা দেয় এই দেশ এখন জাপান সম্রাজ্যের অধীনে তাই কোন ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র ও আমেরিকান সৈন্যদের সহায়তা গুরুতর অপরাধ। এই অপরাধ করলে মারাত্নক পরিণতি ভোগ করতে হবে। এই যখন অবস্থা তখন হাজারো ফিলিপিনো ও বেশ কিছু আমেরিকান বন্দীদের মধ্য হতে পালাতে সক্ষম হয় Cpl. Steve Bennett চরিত্রে অভিনেতা Doug McClure।
পরে নদীর ধারে এক জাপানী সৈন্যকে হত্যা করে ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে সুমুদ্রের একটি দ্বীপে চলে আসে। এটি যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি গ্রাম। যার গীর্জার Father Sanchez এর এখানে ষ্টীভ প্রাথমিক আশ্রয় নেয়। এই গীর্জাটি বেশ কিছু ফিলিপিনো এতিম ছেলেমেয়েদের আশ্রয় কেন্দ্রও বটে। ফাদার সাঞ্চেজ তাকে অভয় দিয়ে বলেন আপাতত তোমার ভয় নেই এবং আরেক আশ্রয় নেওয়া মার্কিন নারী লেফটেন্যান্ট Laura এর সাথে পরিচয় ঘটিয়ে দেন।
তখনই Laura বলে ৩ দিন পর ১০০ মাইল দূরে সাঙ্গো পয়েন্টে একটি মার্কিন বিমান অবতরণ করবে যাতে আমরা এই দেশ হতে পালাতে পারব। তখন ষ্টীভ বলে তুমি কি পাগল মহিলা যে ৩ দিনে হেটে শত মাইল পাড়ি দিবে? ফাদার সাঞ্চেজ একমত হলেও বলেন যে তোমাদের জন্য এই গীর্জার তরফ থেকে একটি বাস দেওয়া হবে। বাসটি ছিল ভগ্ন দশা যার ইঞ্জিন গীর্জার বিদ্যুতের জেনারেটর হিসেবে দীর্ঘদিন চলছে। পরে যখন বাসটিকে ইঞ্জিন পুনরায় বসিয়ে এটাকে সচল করা হচ্ছিল তখন নায়ক ষ্টীভের সাগর সৈকতে ফেলে আসা ডিঙ্গি নৌকা দেখে চার জনের ছোট্ট একটি ইঞ্জিনের নৌকা দ্বীপে ভিড়ে। প্রাথমকি ভাবে গীর্জার গোপন বেসমেন্টে দুই মার্কিন সেনা লুকালেও ছোট ছেলেমেয়েদের ভয়ে তারা এই বেসমেন্টের যাওয়ার ঢাকনার দিকে বার বার তাকালে তিন জন জাপানী সৈন্যের দল সেখানে প্রবেশ করে।
তবে তারা সবাই নায়কের হাতে মারা পরলেও ৪র্থ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তখন সিদ্ধান্ত হয় গীর্জার ফাদার সহ সবাইকে(৯ জন সহ মোট ১১জন) এখান থেকে পালিয়ে সেই সাঙ্গো পয়েন্টে যেতে হবে। ঠিকই পরের দিন জাপানীরা একটি বড় ট্রলারে একটি ট্রাক সহ ডজনের উপর সৈন্যরা আসে। তার কিছু আগেই সবাই বাস নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু জাপানীরা টায়ারের দাগ দেখে তাদের পিছু নেয়।
শুরু হয় কাহিনী যা বাকীটা ছবি দেখেই জেনে নিবেন।
http://www.imdb.com/title/tt0061917/
এখানে একটা জিনিস খুব চমৎকার লেগেছে জ্বালানি তথা ডিজেল বা পেট্রলের বিকল্প হিসেবে নারিকেলে ছাবড়াকে গ্যাসোলিন বানিয়ে বাসের ইঞ্জিন চালানো হয়। ছবিটা প্রথম দেখেছিলাম বিটিভিতে সেই ১৯৮৯ সালে। অনেক খুজে শেষমেশ এমন এক সাইট হতে পাই যা বৃটেনে উচ্চগতির ইন্টারনেট হওয়া সত্ত্বেও তারা ৪৯-৬০কেবির বেশী স্পীড দেয়না ফ্রি ইউজারদের
মূভিটি মিডিয়াফায়ারে ৬ ভাগে বিভক্ত করে আপলোড করতে হয়েছে;
http://www.mediafire.com/?srhqw2ass3se9m2
http://www.mediafire.com/?c4izj6wgzf3dzjj
http://www.mediafire.com/?r7rirkhrs9j2sjj
http://www.mediafire.com/?6r8tc8fvbpzcqrs
http://www.mediafire.com/?6n1ll4p9vhic62w
http://www.mediafire.com/?lddmctaf6364uu7
আর মিডিয়াফায়ারেও আপলোড করতে যেয়ে মোট ৯-১০ ঘন্টা সময় লেগেছে। আশা করি ছবিটি সবার ভাল লাগবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।