"মাসুদ পারভেজ মিঠু" দ্যা "পেক পেক পেক" বয়!!!
আমি এতো দূর আসব কখনো কল্পনা করতে পারি নি! এতো বড় অফিস, দামী গাড়ি, দামী বাড়ি, সম্মান অনেক কিছুই আমার কল্পনার বাইরে ছিল। শুধু একটা জিনিস পাই নি সেটা হচ্ছে শান্তি!
আমি এতো অশান্তি কখনোই চাই নি। চাইনি আমার অফিসের বসের সাথে এইগুলা করতে! চেয়েছিলাম তাঁর সাথে মায়ের কাছে দেয়া কথা মত মিলে কাজ করতে। তাকে সম্মান করতে। কিন্তু পারলাম না মাকে দেয়া কথাটা রাখতে।
কিভাবেই বা রাখব।
অফিসের বস, খারাপ একটা লোক। নিজের ঘরে বউ রেখেও অন্যদের দিকে কুনজরে তাকাতো। কোন, প্রোগ্রামের সময় আগত প্রতিটি অতিথি মহিলার দিকে তার দানব সদৃশ হাতকে এগিয়ে দিত, অনেক সন্তর্পনে ওই মহিলার হাতটিতে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ একে দিত। একদিন এক পার্টিতে আমার স্ত্রী’র দিকে ওর নজর যায়।
শালা বদ তার দিকে হাত বাড়ায়। নীরবে পেয়ে আমাকে হুমকি দেয় যদি আমার বউ তাকে না দেই তাহলে আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দিবে যেকোন কারনে। সেইদিন অনেক শান্ত ছিলাম। কিচ্ছু বলিনি। কয়েকদিন পর অফিসের কাজের নাম করে আমাকে চট্টগ্রাম পাঠায়।
অনেক ইচ্ছা ছিল বউকে নিয়ে যাব, কাজের কাজ ও হবে ছোটখাট একটা হানিমুন ও হবে। কিন্তু কিসের কি। বসের মানার কারনে আর যেতে পারলাম না।
চট্টগ্রাম যাবার পর থেকে ব্যাস্ততার কারনে খুব কম কথা হত মিলির সাথে। একদিন বিকেল বেলা ওকে বারবার ফোন দিচ্ছিলাম কিন্তু বারবারই সে কেটে দিচ্ছিল।
কারন উদঘাটনের চেষ্টাও করলাম না। বেশ কিছুক্ষন পর ওর ফোন পেলাম কিন্তু কোন কথা শুনার বদলে শুনলাম একটা চিৎকার। আরে এতো মিলির আওয়াজ। ওর আবার কি হলো! কিন্তু কিছুক্ষন পর আমাকে অবাক করে দেয়া শব্দটি হলো আমার বসের! তার মানে বস…! আমার পায়ের নিচে মাটি সরে যাচ্ছিল। যত দ্রুত সম্ভব আমার ঢাকা পৌছানোটা জরুরী ছিল।
আবহাওয়ার কারনে বিমান চলাচল বন্ধ, শেষ কোন উপায় না দেখে বাসে রওনা দিলাম। ঢাকায় আসতে আট ঘন্টা লেগে গেল। বাসায় এসে যা দেখলাম তাতে জ্ঞান হারানোই বাকী ছিল আমার। মিলি আমার আত্মহত্যা করেছে! ও পারেনি সমাজের সামনে দাঁড়ানোর সাহস করতে। সঠিক হিসেবে বেঁচে নিল তার চলে যাওয়াটাকেই।
আমার মথায় তখন একটা জিনিসই কাজ করছিল।
অফিসের সামনে দাড়িয়ে থাকলাম। বস যখন অফিস শেষে ওর বাসায় যাবার জন্য রওয়ানা হয় তখনই ওকে জোর করে আবার অফিসে নিয়ে আসি। বেসবল বেট দিয়ে তার মাথায় আস্তে করে বাড়ি দেই। সে অজ্ঞান হয়ে যায়।
তার হাত পা বেঁধে তার গলার দিকে চকচক করা ছুরিটা আগাই। নাহ, এতো তাড়াতাড়ি ওকে মারা যাবে না। অনেক কষ্ট দিয়ে মারতে হবে। হঠাৎ করে চোখ পড়ল টেবিলে রাখা আলপিনের বক্সের দিখে জলমল করে উঠলো। আস্তে আস্তে করে প্রতিটা পিন ওর শরীরে ঢুকালাম।
ওর অবশ শরীর কি কারনে জানি মাঝে মাঝে নাড়া দিয়ে উঠছিল। অনেক মজা পাচ্ছিলাম। তার শরীরটা দেখতেও সুন্দর লাগছে বৈকি! শেষ দুইটা পিন বাকী ছিল। এইগুলা পরে ব্যবহারের জন্য রেখে দিলাম। সাথে একটা ছুরি ছিল।
দুই দিন আগেই চট্টগ্রামে কিনেছি এইটা। কিনেছিলাম ফল কাটার জন্য। কিন্তু ফল কাটার বদলে যে তাকে কাটব আমি বুঝতেও পারিনি। ওর হাত গুলো চেয়ারের সাথে বাধলাম। প্রতিটা আঙ্গুল ছুরি দিয়ে কেটে ছুড়িটার ধার পরীক্ষা করলাম।
তার এই পিশাচ স্বরুপ আঙ্গুল গুলো আমার মিলির উপর অত্যাচার করেছে। ১০ টা আঙ্গুল একত্র করে আগুল জ্বালালাম। মনে হচ্ছে আগুনের সাথে আমার সব কষ্টগুলো উড়ে যাচ্ছে। ওর গলায় যখন ছুড়িটা স্পর্শ করি তখন আমাকে অবাক করে দিয়ে যে জেগে উঠতে থাকে। পুরোপুরি জেগে উঠার আগেই ছুড়িটার ঠোট বসের গলার গভীর দিয়ে চলে যায়।
ধীরে ধীরে মেঝেটা লাল হতে লাগলো। লাল রঙ আমি কখনো পছন্দ করতাম না। কিন্তু আজ কেন এতো ভাল লাগছে জানি না। গরু জবাই করার পর যেমন শব্দ করতে থাকে ঠিক তেমনি বসের গলা দিয়ে এই রকমের শব্দ বের হতে লাগলো। আসাধারন সে শব্দ।
আমি ভাবতেও পারি নাই মানুষ এইরকম শব্দ করতে পারবে। আমার মাথায় আর কিছু কাজ করছিল না। আমার ব্রেন ঠিকভাবে কাজ করছে না। শুধু একটা জিনিস বুঝতে পারছি ওকে অনেক শাস্তি দিতে হবে। অনেক শাস্তি।
পকেট থেকে মোবাইল বের করে শব্দটা রেকর্ড করে রাখলাম। রিংটোন হিসেবে দেয়া যাবে। থেকে যাওয়া দুইটা আলপিন বসের চোখের মধ্যে সুন্দর করে সেট করে দিলাম।
আমি কখনোই এইরকম ছিলাম না। অনেক শান্ত ছিলাম।
কিন্তু আজ নিজেকে একটা পশু মনে হচ্ছে। মনে কোন মায়া নেই। নেই চোখের মধ্যে কারো জন্য জল, আছে শুধু প্রতিশোধ পরণায়তা, আর জলের বদলে রক্ত। । মেঝেতে লেগে থাকা বসের রক্তগুলো দুই হাত দিয়ে তোলে মাথার উপর দিতে লাগলাম।
কেমন লাগছিল জানিনা শুধু এতটুকুই মনে হচ্ছিল যে আমি অনেক বড় পাপীকে সরিয়ে দিয়েছি। মিলির আত্মাকে শান্তি দিয়েছি। সব কিছুর পর মারাত্মক জোরে একটা চিৎকার দিলাম। সব কষ্টকে মন থেকে সরিয়ে দেয়ার চিৎকার।
নিজেকে আবিষ্কার করলাম বিছানায়।
অনুভব করলাম শরীরে কিঞ্চিত ব্যাথা। পাশে দেখলাম কুংফু স্টাইলে আমার বোন দাঁড়িয়ে! বদটা লাথি মেরে আমাকে নিচে ফেলে দিল! “কি রে, অফিসে যাবি না? নতুন নতুন জয়েন করে ফাইজলামি শুরু করে দিলি? জলদি উঠ! আর শোন, এইসব হরর মুভি দেখা বন্ধ কর! প্রতিদিন তোর এই চিল্লানী শুনে ঘুম থেকে উঠতে ভালো লাগে না!”
হায় হায়! বলে কি? তার মানে আমি এতক্ষন ................... !!
সবাই ভালো থাকবেন
পেক পেক পেক
ডর না লাগলে লুল দেখেন। আমার প্রিয় লুল পশু সমাজ!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।