YOU'RE LOOKING AT ME BUT I'M LOOKING THROUGH YOU
কয়েকদিন আগে, জুন ২১ এ সিদ্ধান্ত নিলাম রুজেভেল্ট আইল্যান্ডে ঘু্রতে যাব। ঘুম থেকে উঠে গুগলে দেখি সেদিন Summer Solstice , বছরের সবচেয়ে বড় দিন ও সামারের প্রথম দিন। একটু এক্সাইটেড ফিল করলাম, একটা বিশেষ দিনে ঘু্রতে যাচ্ছি কিন্তু গিয়ে দেখি প্রচন্ড গরম, অনেক রোদ। এবছরের মনে হয় সবচেয়ে বেশি রোদ ছিল ওই দিন। আমি বার্নড, হিটস্ট্রোকের অবস্থা।
যাই হোক, ক্রেজিনেস তো কমে না পুরোদিন ওখানে ঘুরলাম ও তারপর আরো ক্রেজি হয়ে আরো ২/৩ টা জায়গায় গেলাম। তার উপর সানগ্লাস, আম্ব্রেলা কিছুই নেইনি সাথে তাড়াহুড়ো করে। আগে থেকে সার্চ করে রেখেছিলাম আইল্যান্ডে কি কি দেখব New York City’s Roosevelt Island: 6 things to do
★ট্রাম★
ওখানে একটা ট্রাম আছে শুনে খুবই খুশি। আগে কখনও ট্রামে উঠিনি, আরেকটা নতুন এক্সপেরিয়েন্স ট্রেনে করে গেলাম ফিফটি নাইন স্ট্রিটে। ফিফটি নাইন স্ট্রিট অ্যান্ড সেকেন্ড অ্যাভিনিউ স্টেশানে ট্রামওয়ে কার।
বাসে, ট্রেনে উঠার রেগুলার মেট্রোকার্ড (বাসে, ট্রেনে উঠার পাস) দিয়েই উঠা যায়। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়ত অনেক্ষণের রাইড, কিন্তু পরে দেখি মাত্র ৪/৫ মিনিটের রাইড। ট্রাম ধীরে ধীরে ইস্ট রিভারের উপর দিয়ে এপার থেকে ওপারে যায়। যারা ভিডিও দেখতে চান NYC's Roosevelt Island Tram
আর যারা ট্রামে উঠতে চায় না তারা ট্রেনে যেতে পারবে। আইল্যান্ডের ভিতরে ট্রেইন স্টেশান আছে, সেখানে 'এফ ট্রেইন' যায়।
ট্রেইন একেবারে আইল্যান্ডের ভিতরে নিয়ে যায়। এছাড়া কিছু বাসও যায়। আইল্যান্ডের ভিতরে ভ্রমণের জন্য Roosevelt Island Red Bus আছে।
১। স্টেশানের সামনে পার্কে একটা স্ট্রাকচার।
২। স্টেশানে ঢুকালাম। উপর থেকে পুরো পার্কের ছবি।
৩। উপরে ট্রাম আসছে।
৪। ট্রাম এসে পড়েছে, উঠব।
৫। ট্রামের ভিতরে।
★চেরী ওয়াক★
এটা আরেকটা আকর্ষণীয় বিষয়।
এখানে গাছগুলোতে যখন চেরী ব্লসম ফুল ফোঁটে, তখন অসাধারণ লাগে। এখন নেই, তারপরেও ভালই লাগল, যদিও অনেক রোদ ছিল। ট্রাম থেকে নেমে 'চেরী ওয়াক' এর দিকে রওনা দিলাম।
Roosevelt Island Cherry Blossom Festival Walk
৬। প্রথমেই ভিজিটর সেন্টার।
৭। ভিজিটর সেন্টার বন্ধ
৮। ইস্ট রিভার ও কুইন্সবোরো ব্রিজ।
৯। আকাংক্ষিত চেরী ওয়াক।
★সাউথপয়েন্ট পার্ক★
কোনটা সাউথ, কোনটা নর্থ জানি না সামনে হাঁটা শুরু করলাম। এই সাউথপয়েন্ট পার্কেই আর্কিটেক্ট লুই ক্যান এর ডিজাইনে ফ্রাঙ্কলিন রুজেভেল্টের স্মরণে বানানো হচ্ছে মেমোরিয়াল, সেটার কাজ এ বছরই শেষ হওয়ার কথা।
১০। এই মেমোরিয়ালের কাজই এখনও চলছে।
১১।
একটা অনেক পুরাতন বিল্ডিং।
১২। ফোর ফ্রিডমস পার্ক।
১৩। পার্কে এসে পড়েছি।
১৪। সিঁড়ি দিয়ে এখানে এসে পড়লাম।
১৫।
১৬। সবুজ প্রান্তর।
১৭। রুজেভেল্টের স্ট্যাচ্যু।
১৮। রুজেভেল্টের বলা কিছু কথা।
১৯।
রুজেভেল্ট আইল্যান্ড থেকে জাতিসংঘের সদরদপ্তরের ছবি।
২০। রক।
★নর্থ পয়েন্ট পার্ক★
এবার নর্থ পয়েন্ট পার্কের দিকে রওনা দিলাম। গুগলে ২০ মিনিটের রাস্তা বললেও যেতে লাগল ৪০ মিনিট।
হাঁটতে হাঁটতে অনেক কিছু দেখে পৌছালাম নর্থ পয়েন্ট পার্কের বিখ্যাত 'অক্টাগন পার্ক' ও 'লাইট হাউজ' এ।
২১। রেড হাউস (আমার দেয়া নাম)। একটা ল্যাব। ওরা প্রত্নতাত্ত্বিক কি যেন গবেষণা করে।
২২। একটা হাঁস। প্রথমে বুঝতে পারিনি, ভেবেছিলাম হয়ত ঘুঘু জাতীয় কিছু
২৩। রিভারওয়াকে আবার এসে পড়লাম। এখান দিয়ে নর্থ পয়েন্ট পার্ক খুঁজছি।
২৪। হাঁটতে হাঁটতে একটা সুন্দর বাগানে এসে পড়লাম। বাচ্চারা নিজের হাতে ফল, সবজি ও ফুলের গাছ লাগাচ্ছে।
২৫। কাকতাড়ুয়া।
২৬। বাগানটা কার নামে যেন বানানো।
★অক্টাগন★
নাম শুনে ভেবেছিলাম জিউমেট্রিক শেপড কোন বিল্ডিং হয়ত। পরে দেখি একটা পার্ক আর একটা বিল্ডিং। বিল্ডিং এর ভিতর সুন্দর আর্টস।
কিন্তু আর্টসের ছবি তুলতে দেয়নি। অনেক ঘুরে খুঁজে পেলাম, অক্টাগন।
২৭। খোঁজার পথে পেলাম।
২৮।
একটা মহিলা দেখিয়ে দিল রাস্তা। এখান দিয়ে যাওয়া শুরু করলাম।
২৯। খুঁজে পেয়েছি 'অক্টাগন পার্ক'। সুন্দর একটা গার্ডেন আছে পার্কে।
৩০। দূর থেকে একটা হসপিটাল ও পাশে অক্টাগন।
৩১। অক্টাগনে এসে পড়েছি।
৩২।
অক্টাগন বিল্ডিং। ভিতরে সুন্দর আর্টস আছে।
৩৩। বিল্ডিং এর সামনে সান ডায়াল। আগের যুগে ছায়ার সাথে মিলিয়ে সময় গণনা করার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র।
৩৪। ছায়ার সাথে মিলিয়ে দেখলাম ১ টা বাজে। ঘড়িতেও দেখি ১ টা বাজে।
★লাইটহাউজ★
১৮৭২ সাথে এই লাইট হাউজ বানানো হয়েছিল পার্শ্ববর্তী একটা ইনসেন অ্যাসাইলামে আলো দেয়ার জন্য। এখন ওটা না থাকলেও লাইট হাউজ আছে।
প্রথমে ভেবেছিলাম খুব সুন্দর কিছু হয়ত এবং ভিতরে যাওয়ার যাবে। কিন্তু আসলে ভিতরেও যাওয়া যায় না ও দূর থেকে দেখতে হয়।
৩৫। হাঁটতে হাঁটতে লাইট হাউজ খুঁজে পেলাম।
৩৬।
এই সেই লাইট হাউজ।
এখন ফিরে আসার পালা। ফেরার পথেও বিভিন্ন কিছু দেখলাম।
৩৭। জাহাজের শেপে একটা স্ট্রাকচার।
৩৮। ক্রুজ।
৩৯। একটা চার্চ, নাম 'ডে স্প্রিং'।
৪০।
চার্চের ভিতরে।
৪১। ফিরে যাচ্ছি, আবার ট্রামে।
ভ্রমণের সময় খাওয়া দাওয়ার জন্য আছে স্টার বাকস, রুজেভেল্ট বার অ্যান্ড গ্রিল, ডুয়েনরিড, বাইরে ফলের দোকানসহ আরো রেস্টুর্যান্ট আছে।
ফিরে এসে গেলাম ফোরটি সেকেন্ড স্ট্রীটে।
সেখানে গেলাম পাবলিক লাইব্রেরিতে- আমেরিকার সেকেন্ড লার্জেস্ট লাইব্রেরি ও পৃথিবীর মধ্যেও অনেক বড় লাইব্রেরি। তারপর গেলাম ব্রায়ান্ট পার্ক ও পরে থার্টি ফোর স্ট্রীটে। সেকথা আরেকদিন।
অনেকগুলো ছবি দিয়েছি, মনে হচ্ছে একটু পরই কতগুলো হারিয়ে যাবে। সামুতে তো আবার ছবি হারিয়ে যায়।
এই পোষ্ট আরজুপনি ও আরমিন২৯দের পোষ্ট থেকে ইন্সপায়ার্ড। উনাদের অনেক ধন্যবাদ। আর যার পোষ্ট দেখে এই জায়গা সম্পর্কে জানতে পারলাম, সায়েদা সোহেলী। উনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ, নাহলে এ সম্পের্কে জানতে দেরি হত। আরেকজন যে আমাকে এই জায়গার কথা বলেছেন, তার জন্য এই পোষ্ট দেয়া।
তাকেও অনেক ধন্যবাদ।
অনেক কষ্ট করে পোষ্ট লিখেছি। এখন ঘুমাতে গেলাম। সবাই ভাল থাকুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।