আমি একজন ছাএ তারেক রহমান এই নামটি শুনলে এদেশের প্রতিটি মানুষের গা শিউরে উঠে। বাংলাদেশের ইতিহাসে তারেক রহমান একটি খুবই পরিচিত নাম। তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে হাওয়া ভবন সরকারের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছে। মিঃ ১০% নামে তার ছিল ব্যাপক পরিচিতি। কোটি কোটি ডলারের সরকারি অর্থ চুরি এই মডারেট মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত করেছে।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি এবং খাম্বা বাণিজ্যের অভিযোগ আছে। এক সরকারি ডিফেন্স কর্মকর্তার ড্রাইভার দিয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুতফুজ্জামান বাবর এবং তারেকের চোরাচালানের ট্রাক পরিবহণের কথাও সর্বজনবিদিত। সাড়াজাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিক্স বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের এমব্যাসির গোপন তারবার্তা ফাঁস করে। এতে তারেককে "দুর্নীতি ও চুরির মানসিকতা সম্পন্ন" বলে আখ্যায়িত করে। ২১শে অগাস্ট তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামীলীগের সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলায় তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উচ্চ আদালতে এখনো বিচারাধীন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। ১২ জানুয়ারী উপদেষ্টা পরিষদ নাম্নী একটি মন্ত্রীসভা গঠিত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগে প্রচুর মামলা দায়ের করা হয়। ৭ মার্চ, ২০০৭ তারিখে একটি দূর্নীতি মামলার আসামী হিসেবে তারেক রহমানকে তার ঢাকা ক্যান্টমেন্টস্থ মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও ১৩টি দূর্নীতির মামলা দায়ের করা হয় ও তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়। দুর্নীতি, দুঃশাসন, দলীয়করণ, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, সাম্রাজ্যবাদ রুখে ধনীক শ্রেণীর আদর্শহীন চার দলীয় জোট এর বৃত্ত ভেঙ্গে দেশবাসী আজ ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগকে ক্ষমতার মসনদে আসীন করেছে।
এরপরও তারেক রহমান পুনরায় ওমরার নামে সৌদি আরবে নতুন ফর্মুলায় চাঁদাবাজি শুরু করেছেন। একটা কথা আছে, “ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙ্গে”। সুতরাং তারেক জিয়া ওমরা করতে গেলে কি হবে, তার স্বভাব কিন্তু পরিবর্তন হয়নি, কারন দোসররা তার সাথেই রয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।