thinking অফিসের পাশে সমাবেশ স্থল হওয়াতে না যাওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। অবশেষে ৪ টার পর অফিস থেকে বের হলাম। ঠিক কখন সময়টা বলতে পারবোনা। তবে গিয়ে প্রথমে আন্দালিব রহমান পার্থর বক্তৃতা শুনলাম। এর পর অলী আহমেদ, জামাতের মকবুল আহমেদ, সাদেক হোসেন খোকা এবং সর্বশেষ খালেদা জিয়া।
ভেবেছিলাম এত কিছুর পরও যেহেতু সমাবেশ হয়েছে তাই খুব গরম গরম বক্তৃতা শুনতে পারব। যদিও আন্দালিব রহমানের বক্তৃতায় কিছুটা স্মার্টনেস ছিল। ছিল কিছু উদ্দিপক কথাবার্তা, সরকারের সমালোচনা। আন্দালিব যেহেতু রাজনীতিতে নতুন মুখ তাই তার বক্তৃতা তুলনামূলক কম জ্বালাময়ী হবে এটাই স্বাভাবিক। তার যে কথাটি সবচেয়ে ভাল লেগেছে সেটি হলো আওয়ামীলীগ ধর্মীয় প্রিতির কারনে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর রাখলো তবে কেন এর ভিতর দিয়ে মদ পাচার হয়।
এরপর কর্নেল অলী আহমেদ যিনি একজন বিদগ্ধ রাজনীতিবিদ। বক্তৃতায় ও তিনি যথেষ্ট পটু বলে যানি। কিন্তু আজ ছিল তা একেবারেই অনুপস্থিত যা আলেচনা বা সমালোচনার কিছু নেই।
মকবুল আহমেদ। জামাতের আমীর।
কিন্তু তার বক্তৃতা শুনে মনে হলো পাড়াগায়ের সাধারন কোন লোক ও এর চেয়ে ভাল বক্তৃতা দিতে পারে। একেবারেই সাদামাটা এবং সকল কিছুর ভার তিনি আল্লাহর উপর দিয়েই ক্ষান্ত থেকেছেন। এমন একজন লোক কিভাবে একটি দলের প্রধান নেতা হয় এবং সেই দল কিভাবে চলে তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ হয়।
সাদেক হোসেন খোকা তার চিরাচরিত নিয়মে নিজশ্ব কিছু কথা বলে শেষ করেছেন।
এরপর বেগম খালেদা জিয়া।
তার নাম ২ বার প্রচারিত হলো। ২ বার প্রচার মানে দ্বিতীয় দফা তেলবাজী। আমার মনে হয় এই তেলবাজীর চেয়ে ও কম সময় পেয়েছেন অনেক বক্তা বক্তৃতা দেওয়ার জন্য। বক্তা হিসেবে খালেদা জিয়া সবসময়ই অনন্য। স্পষ্টভাষী, শ্রুতিমধুর শব্দবিন্যাস, মাত্রাযুক্ত কথা, কথার প্রঞ্জলতা সবকিছু মিলিয়ে তার বক্তৃতা সর্বদাই আমার প্রিয়।
কিন্তু আজকের বক্তৃতায় অনেক কিছুরই অভাব দেখলাম। যদিও তার বক্তৃতা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল এ জন্য যে তিনি সরকারের ব্যাক্তি আক্রোশের খুব সুন্দর জবাব দিয়েছেন। অনেক সময় ভদ্রভাবেও অভদ্র কথা বলা যায়। কিন্তু আমি তাকে নূণ্যতম অভদ্র বা অশোভন উক্তি করতে দেখিনি। কিন্তু মনে হচ্ছিল তার কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছিল।
থেমে থেমে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। লিখিত বক্তৃতার কারনে অনেক লিখা হয়তবা ঠিকভাবে বুঝতেও কষ্ট হচ্ছে। কয়েকবারই খেয়াল করলাম তিনি কথা গুলিয়ে ফেলছেন। বক্তৃতায় ক্রম ধারাবাহিকতার যথেষ্ট অবাব পরিলক্ষিত হয় যা হয়তবা তার বার্ধক্যের প্রমান বহন করছে।
তবুও তার বক্তৃতা ছিল যথেষ্ট শোভন, প্রঞ্জল এবং অন্তত আওয়ামীলীগের নেতাদের জন্য শিখনীয়।
সবাই যদি এভাবে ভদ্র ভাষা ব্যবহার করে তবেই হয়তবা এদেশ একদিন শুশিল হবে এবং আমরা হবো ভদ্র জাতি।
তবে যেটি একেবারেই মেনে নিতে পারছিনা সেটি হলো হরতাল। হরতাল দেওয়ার বিষয়টি আমি কোন কিছুতেই মিলাতে পারছিনা। এটি একটি রাজনৈতিক দৈনতা। জানিনা ঠিক কবে আমরা এই দৈনতা থেকে মুক্তি পাবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।