জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই।
১. আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগের ঘটনা। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দরিদ্র পরিবারের ছাত্ররা আমাদের এলাকার কলেজের আশে পাশের বিভিন্ন বাড়ীর ধনী পরিবারে লজিং থেকে পড়াশুনা করত। এইএসসি ও ডিগ্রী পড়ুয়া এই ছাত্ররা পড়ালেখা করতে এসে অনেক সময় বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ত।
পাড়ার একটি মেয়ের সাথে হাউজ টিউটরের প্রেমের ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে হাউজ টিউটরের বাড়ীতে খোজ খবর নিতে গিয়ে দেখতে পেল যে, বিয়ে করে বউকে রাখার মত ঘর নেই।
অতি দরীদ্র পরিবারের ছেলে। তাই মেয়ের বাবা-মা মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। আর প্রেম করার অপধাধে হাউজ টিউটরকে লজিং ছাড়তে হয়।
আমাদের দেশে লজিং মাস্টারের সাথে প্রেম-পিরিতির ঘটনা নতুন কোন বিষয় নয়।
২. কিছু কিছু পরিবারে ছেলে-মেয়েদেরকে পড়ানোর জন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়।
এই ছাত্ররা পড়াতে এসে পরিবারের বড় মেয়ে অথবা বউদের সাথে খাতির করার চেষ্টা করে। অনেক সময় তারা সফল ও হয়।
কিছু দিন আগে চট্টগ্রামে গৃহশিক্ষকের হাতে মা-ছেলে-মেয়েসহ একসাথে তিনজন নির্মম ভাবে খুন হয়। হাজব্যান্ড বিদেশ থাকার কারনে ঘর ফাঁকা পেয়ে গৃহ শিক্ষক এই হত্যাকান্ড ঘটায়।
পত্রিকার পাতা উল্টালে গৃহ শিক্ষকের হাত ধরে ছাত্রী/ছাত্রীর মার পলায়ন ও শিক্ষকের খপ্পরে পড়ে অনেক ছাত্রী তাদের সব কিছু হারানোর সংবাদও দেখছি।
বাবা-মাদের সচেতনতার অভাবে এই রকম ঘটনা ঘটছে। নিজের পরিবারকে, পরিবারের উঠতি বয়সী মেয়েকে রক্ষা করতে হলে কিছু কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে বিপদমুক্ত থাকা যেতে পারে-----------যেমন---------------
১. গৃহে হাউজ টিউটর না রাখায় ভাল। রাখলেও তার চরিত্র ভাল কিনা ভাল করে দেখতে হবে। দুশ্চরিত্র হলে সাথে সাথে বিদায় করতে হবে।
২. যুবতী মেয়েকে বাসায় এসে পড়ানোর জন্য কোন কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিয়োগ দেয়ার আগে তার সম্পর্কে ভাল করে জেনে নিন।
৩. যৌথ পরিবারে বসবাস করলে হাউজ টিউটর বা টিচার দিয়ে পড়াতে চাইলে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু একক পরিবারে বিশেষ করে প্রবাসীর পরিবারে হাউজ টিউটর না রাখা ভাল। কারন পরিবারের কর্তার অনুপস্থিতিতে যে কোন সময় অঘটন ঘটার সম্ভাবনা আছে।
৪. টিচারের বাসায়/কোচিং সেন্টারে গিয়ে পড়তে চাইলে আপনার সন্তানের সাথে কয়জন পড়বে, ছেলে-মেয়ে একসাথে পড়বে কিনা জেনে নেয়া ভাল। টিচারের বাসায় একা একা পড়তে দেয়া উচিত নয়।
৫. আজকাল ছেলে-মেয়েরা বাসার বাইরে প্রাইভেট পড়ার নাম দিয়ে বিভিন্ন পার্কে/সাইবার ক্যাফেতে আড্ডা দেয়।
সন্তান কোথায় যায়, কি করছে, না করছে গার্ডিয়ানদেরকে খেয়াল রাখতে হবে---------------
আমরা সচেতন হলে আমাদের পরিবার নিরাপদ থাকবে। আমাদের সন্তানেরা নিরাপদ থাকবে। আমরা অবহেলা করলে পত্রিকায় শিরোনাম হতে পারে-------------------তাই সাবধান-------------------------- ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।