রাতে কমপক্ষে ৬ ঘণ্টার কম ঘুম আপনার অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ব্রিটেন ও ইতালির গবেষকরা এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। বলেছেন, যারা ৬ ঘণ্টার কম ঘুমায়, ২৫ বছর বয়সের পর তাদের মৃত্যুর হার ৬ ঘণ্টা বা তার বেশি যারা ঘুমায়, তাদের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। তাদের মতে, ৬ ঘণ্টা বা তার বেশি ঘুমই হলো ‘আদর্শ’ বা ‘পরিমিত’ ঘুম।
অবশ্য ৬-৭ ঘণ্টার চেয়ে বেশি ঘুমও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি হতে পারে।
যেমন কেউ যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটানা ৯ ঘণ্টাই ঘুমিয়ে কাটায় তবে তার অকাল মৃত্যুর আশঙ্কাও গবেষকরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। দেড় কোটি লোকের ওপর ১৬টি জরিপ চালিয়ে তার ফলাফল জানানো হয়েছে ঘুমবিষয়ক একটি জার্নালে। বর্তমানের এ রিপোর্টটি অবশ্য এর আগে ব্রিটেন, আমেরিকা, এশিয়ার দেশগুলোতে পরিচালিত ঘুম ও মৃত্যুর সম্পর্কবিষয়ক জরিপের দিকে লক্ষ্য রেখেই পরিচালিত হয়েছে। দুটো জরিপেই অকাল মৃত্যুর সঙ্গে কম ও বেশি ঘুমের যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে। তবে দুটোর মধ্যে কম ঘুমকেই বেশি দায়ী করেছেন ব্রিটেন ও ইতালির গবেষকরা।
তাদের মতে, বেশি ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর হতে পারে। কিন্তু প্রয়োজনের চেয়ে কম ঘুম অকাল মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইকের ঘুম, স্বাস্থ্য ও সমাজ প্রোগ্রামের প্রধান প্রফেসর ফ্রান্সিসকো কাপ্পুক্কিও বলেছেন, ‘আধুনিক সমাজে মানুষের ঘুমের গড় পরিমাণ কমে যাচ্ছে। যারা সার্বক্ষণিকভাবে কায়িক শ্রমে নিযুক্ত, তাদের ক্ষেত্রে এটা খুব ক্ষতিকর একটা ব্যাপার। শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে ঘুমটা খুবই জরুরি।
’
তিনি অবশ্য মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় ঘুম কেন এত বেশি জরুরি তা বুঝতে হলে আরও গবেষণার দরকার বলে মনে করেন।
ওদিকে লফবোরাফ স্লিপ রিসার্চ সেন্টারের প্রফেসর জিম হোর্ন মনে করেন, বেশিরভাগ মানুষের জন্য ৫ ঘণ্টা ঘুম মোটেই পর্যাপ্ত নয়। তিনি বলেন, ‘ঘুম হলো লিটমাস পেপারের মতো। এটা শরীর থেকে সবরকমের ক্লান্তি শুষে নেয়। ’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।