আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ৬ষ্ট ইমাম জাফর সাদিকের(আঃ) কিছু মহান বানী

আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি। রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ৬ষ্ট ইমাম জাফর সাদিকের(আঃ) কিছু মহান বানী যা আমাদের অন্তরকে নুরানী ও ঈমানকে দৃঢ় করবে। আমরা যেন তাঁর দেয়া উপদেশকে মেনে চলতে পারি ইনশাল্লাহঃ প্রতিটি মুসলমানের উচিত তার অন্য মুসলমান ভায়ের সাথে সাক্ষাত করার সময়য় ঐ মুসলমানের চাওয়া পাওয়ার দিকে নজর রাখা। যেহেতু এমন কেউ আছে যে আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করবে(কাফি,খন্ড-২,পৃঃ১৯৯)। আল্লাহ বলেছেন মানুষ আমার পরিবারের ন্যায়।

আমার কাছে সেই ব্যক্তি অতি প্রিয় যে মানুষের প্রতি দয়াশীল এবং তাদের অভাব মিটানোর জন্য চিন্তাভাবনা করে(এরশাদ-শেখ মুফিদ,পৃঃ২৬৫)। মানুষের সমস্ত জ্ঞানগর্ভকে ৪টি বিষয়ের মধ্যে উপলব্দ্বি করেছিঃ প্রথমতঃ তোমার সৃষ্টিকর্তার সম্পরকে জ্ঞান অর্জন কর,দ্বিতীয়তঃআল্লাহ যে নেয়ামতগুলো দিয়ে তোমাকে বানিয়েছেন সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন কর,তৃতীয়তঃ আল্লাহ তোমার কাছে কি চান এবং তোমার দায়িত্ব কি, চতুর্থতঃযে বিষয়গুলো তোমার দ্বীন থেকে তোমাকে দূরে সরিয়ে নেয় তা সম্পর্কে জানা(তাহাফুল উকুল,পৃঃ৩৭৫)। নবীগনের নৈ্তিক চরিত্রের ৪টি বৈশিষ্ট হচ্ছেঃ অনুগ্রহ করা,বদান্যতা দেখানো,সমস্যার বিপরীতে ধৈ্র্যধারন করা,মু’মিনদের অধিকার রক্ষা করা (তাহাফুল উকুল,পৃঃ৩৭৭)। মু’মিন ব্যক্তি দুইটি ভয়ের মধ্যে থাকেঃ অতীতের গুনাহের ব্যাপারে,সে জানে না যে ঐ গুনাহের কারনে আল্লাহ তাকে কি সাজা দেবেন। আর যতদিন বেচে আছে জানে না যে আরও কতগুলি গুনাহ তার হবে বা কোনধরনের ধ্বংশস্থলে সে পতিত হবে।

এ কারনেই তার ভয়ের মধ্যে থাকা ছাড়া রাত পোহায় না এবং ভয়ের মধ্যে থাকা ছাড়া দিনও শেষ হয় না। আর আল্লাহর প্রতি ভয় থাকা ছাড়া অন্য কিছু তাকে সংশোধনও করবে না (তাহাফুল উকুল,পৃঃ৩৭৭)। কোন বান্দাই পরিপুর্নভাবে প্রকৃত ঈমানে পৌছতে পারবে না যতক্ষন পরযন্ত না তাদের মধ্যে এই ৩টি বৈশিষ্ট্য অরজিত হবেঃপরিপুর্নভাবে দ্বীনকে বুঝতে পারা,সঠিক প্রক্রিয়ায় জীবনযাপন করা,দুঃখ-কষ্টে ধৈ্রয ধারন করা(তাহাফুল উকুল,পৃঃ৩২৪)। ৩টি বিষয়ের প্রতি এই ৩টি ক্ষেত্র ছাড়া পরিচয় পাওয়া যাবে নাঃ রাগের মুহুর্তে ধৈ্র্যের পরিচয়,যুদ্বের সময় বীরত্বের পরিচয়,অভাবের সময় ভাইয়ের পরিচয়(তাহাফুল উকুল,পৃঃ৩১৬)। প্রতিটি এলাকার লোকেরা তাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কাজের ব্যাপারে যাদের কাছে আশ্রয় গ্রহন করতে পারে,এজন্য তিন ধরনের লোকের প্রয়োজন আছেঃউচ্চ জ্ঞান বিশিষ্ট আলেম,মানুষের মঙ্গল কামনাকারী শাসক যার কাছে তারা অনুগত থাকে,বিশ্বাসী ও অভিজ্ঞ চিকিতসক( তাহফুল উকুল, পৃঃ২৩৭ )।

প্রতিটি ভাল ও উত্তম কাজের সুত্র আমরাই এবং সমস্ত কল্যানও আমাদের শাখা-প্রশাখা থেকেইঃ তাওহীদ,রোজা,রাগ সংযম,যে মানুষের ক্ষতি করেছে তার খারাপ দিকগুলো ভুলে যাওয়া,দরিদ্রদের সাহায্য করা,পড়শীদের খবর নেয়া এবং ফযিলাত সম্পন্ন ব্যক্তিদের ফযিলাতকে স্বীকার করা ইত্যাদি সমস্ত কল্যানই আছে। আর আমাদের শত্রুরাই হচ্ছে প্রতিটি খারাপ কাজের সুত্র এবং প্রতিটি অন্যায় কাজ তাদের শাখা-প্রশাখার মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়, প্রধানতঃ মিথ্যা,কৃপনতা,অপরের অনিষ্ট সাধনের জন্য মিথ্যা কাহিনী বা গুজব রটানো, দয়া-দাক্ষিন্যহীনতা,সুদ খাওয়া,ইয়াতীমদের সম্পদ আত্নসাৎ করা,আল্লাহর দেয়া আইন অমান্য করা বা তার সীমালংঘন করা,প্রকাশ্যে ও গোপনে পাপ কাজে লিপ্ত হওয়া,জ্বেনা,চুরি,ডাকাতি করা ইত্যাদি। তারা মিথ্যা বলে যারা আমাদের শত্রুদের শাখা-প্রশাখার সাথে জড়িয়ে থেকে আমাদের সাথে আছে বা আমাদের অনুসারী বলে দাবী করছে(আল ইমামুস সাদিক,খন্ড-৩,পৃঃ১৩৮) । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।