আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“যখন কোনো মিত্রবাহিনী সাহায্য করে, তখন মিত্রবাহিনী সেখানেই থেকে যায়।” “বাংলাদেশ একমাত্র ব্যতিক্রম। ভারত ছিল মিত্রবাহিনী। তাদের সেনাবাহিনীর প্রায় ১৮ হাজার সদস্য মারা যায়। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে এসেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ধন্যবাদ জানিয়ে, মিত্র

... ... ... ...যারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের অর্থ নিয়েছে এবং যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলাম। যারা আমরা মা-বোনকে হত্যা করলো- তাদের কাছ থেকে টাকা নেবে? যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে টাকা নেবে?” পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আইএসআইয়ের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছিলেন- গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ খবরের প্রেক্ষিতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর শেখ হাসিনার তোলা ‘সূক্ষ্ম কারচুপির’ অভিযোগের যারা সমালোচনা করেছিলেন তাদের পাল্টা সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আইএসআইয়ের টাকা খেয়ে তারা ’৯১-এর নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল। তখন আমি বলেছিলাম, ‘সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে’।

যারা তখন আমার সমালোচনা করেছিল- তারাই এখন বুঝবে কতো সত্য বেরিয়ে এসেছে। ” জাতীয় সংসদের বুধবারের অধিবেশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। যারা ওই সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআইয়ের দায়িত্বে ছিলেন তারা কোর্টে হলফনামা দিয়ে এই তথ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই সংবাদ গত চার মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিকটি বিএনপির পছন্দের বলে এ সময় মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “যারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, স্বাধীনতার মাস মার্চে আন্দোলনের ডাক দেয় তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।

তারা ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী করেছে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা যুদ্ধ করব, যুদ্ধের পর অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করব- সব কিছুই তার এই ভাষণে ছিল। ” হা হা হা.......... স্বাধীনতাকামী সবাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের বক্তৃতার নির্দেশ মানলেও যারা শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাইনি তারাই তা মানেনি বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। “যারা রাজকার ও আল-বদর ছিলো তারাই তা মানেনি।

” ‘জিয়া জাতির পিতাকে হত্যা করেন’ যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানি বাহিনী যে হুকুম দিয়েছে সৈনিকরা তাই করেছে। কিন্তু, যারা এদেশের সন্তান, বাংলার মাটির সন্তান, যারা আমরা মা-বোনকে হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে- তারাই আসল যুদ্ধাপরাধী। ” শেখ হাসিনা বলেন, “জিয়াউর রহমান জাতির পিতাকে হত্যা করে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সমস্ত আইন বাতিল করে যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেন। ” “আজকে আমাদের তিনি (খালেদা জিয়া) যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে মাঠে নেমেছেন। একটা চেষ্টা করেছিল ডিসেম্বর মাসে।

তখন তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখন বেছে নিয়েছে মার্চ মাস। ” সেনাবাহিনীর একদল সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট গুলি করে হত্যা করে। এর দুবছরের মাথায় দেশের রাষ্ট্রপতি হন তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “একজন নেতা একদিনে তৈরি হয়নি।

একটা দেশ ও জাতি হঠাৎ করে তৈরি হয়নি। যে বয়সে বাচ্চারা বাবার হাত ধরে ঘুরত আমরা গেছি কেন্দ্রীয় কারাগারে আব্বার সঙ্গে দেখা করতে। আমরা ভাই-বোনকে ধারণা দেওয়া হতো- ওইটা আব্বার বাসা। ” “মানুষ দল ছাড়ে মন্ত্রিত্বের লোভে। আর, তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন দলকে সুসংঠিত করতে।

” বিজয়ের তিন মাসের মাথায় ভারতীয় বাহিনীর ফিরে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “যখন কোনো মিত্রবাহিনী সাহায্য করে, তখন মিত্রবাহিনী সেখানেই থেকে যায়। ” “বাংলাদেশ একমাত্র ব্যতিক্রম। ভারত ছিল মিত্রবাহিনী। তাদের সেনাবাহিনীর প্রায় ১৮ হাজার সদস্য মারা যায়। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে এসেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ধন্যবাদ জানিয়ে, মিত্রবাহিনী নিয়ে যেতে অনুরোধ করলেন।

” “ইন্দিরা গান্ধীর স্বাধীনচেতা মনোভাব আর বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় অবস্থানের জন্যই তা হয়েছিল। ” আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও লতিফ সিদ্দিকী প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। বিস্তারিত Click Here ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।