আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

না খেয়ে মরে যাব কিন্তু বাড়ির ভাত খাব না: গো. আজম

ভালোবাসি ফুল, চাঁদ, শিশু আর বাংলাদেশ। রাজাকার-মৌলবাদীরা ১০০ হাত দূরে থাকুন। কারাগার মতিবেদক বাড়ি থেকে খাবার সরবরাহের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হাংগার স্ট্রাইক বা অনশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক খানকির পোলায়ে আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম। কারাগারে তার সংগে দেখা করতে গেলে তিনি মতিবেদককে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কেদে ওঠেন। ৮৯ বৎসর বয়সী যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজম কাদতে কাদতে বলেন, ‘ওরা আমার মুখের পোলাও কাইড়া নিতে চায়।

’ ১০ মিনিট অঝোর ধারায় ক্রন্দনের পর বসুন্ধরা টিসু পেপারে মুখ মুছে অধ্যাপক গোলাম আজম বলেন, ‘আমি শেষ বয়সে এসে একটু সুখ করতে পারছি, তা আমার স্ত্রী-পুত্র ও কারাগারে বন্দী জামায়াতে ইসলামীর অপর খানকির পোলায়ে আমীরদের পছন্দ হচ্ছে না। তারা পদে পদে আমার আরামে বিঘ্ন ঘটাতে চায়। ’ তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, এই কারাগারে আমি দুটো ভাল মন্দ খেতে পাই। কিন্তু আমার স্ত্রী আফিফা আজম একটি অভিশাপ। গত ছয় দশকেরও বেশী সময় ধরে তার জঘন্য রান্না আমাকে খেতে হয়েছে।

আজ আমি জীবনের এশার ওয়াক্তে এসে এই কারাগারের অপুর্ব সুস্বাদু সব খানা খেতে পাই, এটি তার পছন্দ হচ্ছে না। সে পুনরায় আমাকে তার বিস্বাদ রান্না খাওয়ানর জন্য আদালতের সাথে চক্রান্ত করেছে। আদালত রায় দিয়াছেন, আমাকে এখন থেকে আর কারাগারের সুস্বাদু খাবার সরবরাহ করা হবে না। আমাকে বাড়ি থেকে খাবার দেয়া হবে। আর বাড়ির খাবার মানেই আফিফার জঘন্য রান্না।

তিনি আরও বলেন, আফিফা আজমের রান্না খেয়ে জেনারেল টিক্কা খান পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে পুর্ব পাকিস্তান ছেড়ে পালিয়ে বেচেছিলেন। আর তিনি তো সামান্য গোলামের গোলাম গোলাম আজম। গোলাম আজম দৃপ্ত কণ্ঠে বলেন, আমি মতিকণ্ঠের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়ে দিতে চাই, মুমিন মউতকে ভয় পায় না। আমি হাংগার স্ট্রাইক করব। না খেয়ে তিলে তিলে মরে যাব কিন্তু আফিফার রান্না আর মুখে দিব না।

আই হেভ ইনাফ অফ দিশ শিট। নিজ পুত্র আবদুল্লাহিল আমান আজমীও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে জানান অধ্যাপক গোলাম আজম। তিনি বলেন, আমান আজমী একটি অভিশাপ। আমি দুটো ভাল মন্দ খাই, তা সে সহ্য করতে পারছে না। আমি তাকে তেজ্য পুত্র করব।

জ্যেষ্ঠ পুত্র মতিচুর রহমান আজমী সম্পর্কে অভিযোগ করে গোলাম আজম বলেন, সে একটি হারামজাদা। কোন কুক্ষনে আমি তাকে জন্ম দিয়েছিলাম কে জানে। আল্লাহ আমার এই পাপ মাফ করে দিন। সে আমাকে একটি বারও কারাগারে দেখতে আসেনি। সে কারওয়ানবাজারের সর্দার অথচ বাড়ির খাওয়া নিয়ে দুই কলম লিখে সে কোন প্রতিবাদ করেনি।

সে একটি অভিশাপ। এ প্রসংগে গোলাম আজমের পুত্র সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত বিগ্রেডিয়ার আবদুল্লাহিল আমান আজমীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালত বাড়ির খাওয়া মনজুর করেছেন। এখন বাড়িতে শৌচকর্ম মনজুর করার জন্য আমরা আবেদন করব। অধ্যাপক গোলাম আজম বাড়ির খানা খাবেন আর কারাগারে পাইখানা করবেন তা হবে না। বাড়ির খানা খেলে বাড়িতে এসে পাইখানা করে যেতে হবে।

সূত্র:মতিকণ্ঠ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।