আমি তাই বলি যা আমি বিশ্বাস করি কি আর হবে ? কিচ্ছু হবে না। শুধু স্বপ্ন দেখা কিছু মানুষের প্রান যাবে। আজ আমাদের যারা নেতৃত্ব দেয় তারা বড় হারামি।
আজ দুইটা পক্ষ মুখোমুখি। দুইটা পক্ষই আবার নিজেদের নিরেপক্ষ দাবি করে যদিও এইটা স্পষ্ট যে দুই পক্ষের পিছনেই রাজনৈতিক শক্তি আছে।
দুই পক্ষই নিজেদের সপ্নকে ১০০ ভাগ ঠিক মনে করে এবং অপরের সপ্নকে ১০০ভাগ ভুল মনে করে। তাইতো আজ তাদের পুরোপুরি বিপরীতে অবস্থান। দুইটা পক্ষের সাধারন কর্মীরা খুবই আবেগি এবং তাদের দাবি আদায়ের জন্য তারা নিজেদের জীবন দিতেও প্রস্তুত। হ্যা , আমি লংমার্চের সাধারন কর্মী আর হরতাল দিয়ে লংমার্চ প্রতিহতকারী সাধারন কর্মীদের কথা বলছি। কাল যদি এই দুইটা পক্ষ মুখোমুখি হয় তবে কি হবে? ব্যাপক সংঘর্ষ হবে এবং দুই পক্ষের অনেক সাধারন সমর্থনকারী হতাহত হবে।
সাথে সাথে এই সংঘর্ষ সারাদেশে ছড়িয়ে ব্যাপক সাধারন মানুষ আর সমর্থনকারীদের মৃত্যুও হতে পারে। তখন দেশের অচলাবস্থান দূর করার জন্য সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিবে এবং ভোজবাজির মত সমস্ত দৃশ্যপটের পরিবর্তন হয়ে যাবে। হেফাজতে ইসলাম তার ১৩ দফা তখন বেমালুম ভুলে যাবে আর যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ট্রাইব্রুনাল আর্মি বন্ধ করে দিলেও এখনকার উচ্চকিত নেতাদের তখন খোজ পাওয়া যাবে না। সেনাবাহিনী দেশ চালাবে এর ভিতর বিএনপি নিজেদের গুছিয়ে নিবে আর আওয়ামীলীগের দুর্নীতিবাজরা দেশ ছেঁড়ে পালাবে। অনেক চরাই উতরাইয়ের পর আবার নির্বাচন হবে এবং আবার কোন ক্ষমতালোভী দল নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসবে।
আবার দেশে দুর্নীতি/অপশাসন/সন্ত্রাসি ইত্যাদি চলতে থাকবে। নির্বাচন আসলেই আবার ক্ষমতাসীন দল যেকোন মুল্যে ক্ষমতায় আসতে চাইবে এবং বিরোধী দলও যেকোন মুল্যে ক্ষমতায় আসতে চাইবে। এদের ক্ষমতার পালাবদলের খেলায় আবার অনেক মানুষ প্রান দিবে।
এই ভাবেই কি অনন্তকাল চলতে থাকবে? আমরা কবে পাবো একজন যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক নেতা?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।