আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাচ বাংলা ব্যাংকের আরো কিছু অকেজো এটিএম বুথ চাই।

ও আচ্ছা এই বিষয়! খারাপ না কিন্তু শপিং করার মতো দুরুহ কাজ আমার কাছে আর একটি ও আছে কিনা সন্দেহ । তবে এই দুরুহ কাজটি নারীকুল কতোটা সহজে যে করছেন তা মার্কেটে না গেলে বোঝাই যাবে না । আমি নারীকুলের এই অসীম ধৈর্য ও সাহসিকতার গুনগান গাই। তারা নরের চাইতে অনেক কর্মঠ। আর অনেক ধৈর্যশীল ।

নইলে ওমন ভীড়ের মধ্যে গাজাগাজি করে কিভাবে শপিং করে তাই বা বলুন। আজ আমিও শপিং করতে গিয়েছিলাম তাই একটি ঘটনার কথা বলছি। আমারই সামনে এক ভদ্র লোক বিকট শব্দে হাচি দিল,তাও সেটা আরেক ভদ্রমহিলার গায়ের উপর। হাচি দিয়ে লোকটি ভয় পেয়ে গেলেও ভদ্রমহিলা কিন্তু কিছুই মনে করলেন না। আলতো ভাবে সর্দিটুকু মুছে নিলেন।

যাচ্ছি এটিএম বুথের প্রসঙ্গে । শপিং শেষে অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে যখন রিকশা খোজ করছিলাম তখন কোন রিকশার ই খোজ মিলছিল না। তাই ভাবলাম গরম গরম জিলাপী খেয়ে নেই । ঠিক তখনই এক রিকশাওয়ালা পাশে এসে নিঃশব্দে রিকশা দাড় করাল্ হয়তো সেও জিলাপী খাবে। আমিও জিলাপী খেতে খেতে রিকশা ওয়ালার সাথে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে তাকে ভাড়া করে ফেললাম।

রিকশায় উঠার আগে আরো দুটো জিলাপী নিয়ে নিলাম রিকশায় বসে খাবো বলে। লক্ষ্য করলাম জিলাপীর টাকা দেয়ার পর আমার কাছে আর কোন ভাংতি টাকা নেই। পরবর্তীতে ভাবলাম -আগে তো উঠি ,রাস্তায় কোন এটিএম বুথ পড়লে সেখান থেকে ভাংতি টাকা নেয়া যাবে। এটিএম বুথের সামনে রিকশাওয়ালাকে রিকশাসহ দাড় করিয়ে আমি বুথে প্রবেশ করলাম। বুথের দরজাটা ঠেলা দিয়ে সরাতেই এক রাশ গরম ভাপ বেরিয়ে এলো।

ভাপা পিঠার ঢাকনা খুললে যেমন টা হয় আরকি। আমি পাচ সেকেন্ডের মধ্যেই ভিজে চুপচুপে হয়ে গেলাম। দুই মিনিট হয়ে যাচ্ছে টাকা বের হবার খবর নেই। তাই ভাবলাম জিলাপী গুলো খেয়ে সময পার করা যাক। তাই জিলাপী বের করে তাতে এক রাম কামড় বসালাম।

ততক্ষণে আমার কার্ডটি আপনাআপনি বেরিয়ে এসেছে। আমি কার্ডটি আবার প্রবেশ করিয়ে অবশিষ্ট জিলাপী সাবাড়ে ধ্যান দিলাম। এইবারেও টাকা এলো না। একটা কাগজ বেরিয়ে এলো। আমি সেটা দিয়ে হাত মুছে নিলাম।

টাকা যে পেলাম না এখন রিকশাওয়ালাকে কিভাবে ভাড়া দিব সে চিন্তায় আমি আরো ঘামতে শুরু করলাম। তখনই মাথায় একটা চরম বুদ্ধি উকি দিল। আমি দ্রুত হাতে আমার শপিং ব্যাগ খুলে আমার সদ্য কেনা জামা কাপড় পড়তে শুরু করলাম । আর পুরনো জামা কাপড় গুলো শপিং ব্যাগে ভরতে লাগলাম । আমি জানিনা ডাচ বাংলার সিসি ক্যামেরায় সেদিন কি দৃশ্য তারা অবলোকন করেছিল।

আমি নতুন রুপে বুথ থেকে বের হলাম। ঘড়ি দেখলাম । দশ মিনিট হয়েছে। রিকশাওয়ালা আমাকে দেখে ইতস্তত বোধ করল। আমার ধারনা সে আমাকে চিনতে পারেনি।

অথবা চিনলেও দুয়ে দুয়ে চার মিলাতে পারেনি। অথবা দুয়ে দুয়ে পাচ মিলাচ্ছিল। । তবে একটা কথা সত্যি সেদিন রিকশাওয়ালা আমায় যদি চিনেও থাকে আমি কিন্তু তাকে একদমই চিনতে পারিনি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।