এডিটেড একটা কথা প্রচলিত আছে যে ভারতে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী গরু পাওয়া যায়। আর এই ভারতবর্ষের সবচেয়ে বেশী গরু পাওয়া যায় বিহারে। বিহার হল ভারতের সবচেয়ে গরীব রাজ্যগুলোর একটি। আবার পুরো ভারতজুড়েই আছে তীব্র বিহারভীতি। এককথায় আমরা যেমন আমাদের চেয়ে আলাদা কোন কিছুকে চিড়িয়া বলি তেমনি ভারতে বিহার হল আলাদা জিনিস।
আমাদের অনেকেই যেমন নোয়াখালীর নাম শুনলেই হেসে উঠি(নোয়াখালীরব্লগারদের কাছ থেকে ক্ষমাপ্রার্থনাপূর্বক) তেমনি বিহারকে আলাদা নজরে দেখা হয়।
প্রথমে একটি কৌতুক শোনা যাক। একবার পাকিস্তান ভারতের কাছে কাশ্মীর চেয়ে বসল। ভারত রাজী হল। তবে সেই সাথে প্রস্তাব দিল তোমরা বিহারকেও নিয়ে নাও।
পাকিস্তান উত্তরে বলে দিল চাই না আমাদের কাশ্মীর।
বিহারের রাজধানী হল পাটনা। বিহার হল সেই জায়গা যেখানকার কুখ্যাত বিহারীরা একাত্তরে বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল।
বিহারীদের অপছন্দ করে না এমন লোক ভারতে কমই আছে। কারণ হল বিহারীদের একগুয়ে আগ্রাসী অযৌক্তিক স্বেচ্ছাচারী মনোভাব।
সেইসূত্রে বলা যায় ভারতজুড়ে বিহারীরা একরকম বুক ফুলিয়েই স্বগর্বের সাথে চলে। একজন বিহারীকে যে কোন ভারতীয়ই সমীহ করে চলে।
বিহারের লালুপ্রসাদযাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন বিহারের লোকদের স্বেচ্চাচারিতা রেলগমনকারী অন্য রাজ্যের লোকদের জন্য ছিল অস্বস্তিকর বিশেষকরে রেল(ভারতে পরিবহণ ব্যবস্হার মেরুদন্ড হল রেলখাত) যখন বিহারের উপর দিয়ে যায়।
আপনি রেলে কোন সিট রিজার্ভ করে যাচ্ছেন। যাত্রাপথে বিহারের উপর দিয়ে যদি যেতে হয় তাহলে আপনাকে বিচিত্র সব এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে যেতে হবে।
ট্রেন বিহারে কোন স্টেশনে এসে থামলো। তখন নতুন বিহারী যাত্রীরা এসে আপনার কাছ থেকে জায়গা চাইবে যে সিটটি শুরু থেকেই আপনার ছিল। তারা আপনার জায়গায় বসতে চাইবে যদি না দেন তাহলে তর্ক করে হুমকি দিয়ে হলেও সিট দখল করে নেবে।
এখনও বিহারের অনেক জায়গা আছে যেখানকার লোকেরা রেলে ভাড়া পরিশোধ করেনা। কারণ হিসেবে তারা দেখায় রেল তো আমাদেরই(লালু মন্ত্রী) আমাদের গাড়িতে চড়তে আমরা কেন ভাড়া দেব?
তবে বিহারী সংস্কৃতি সমৃদ্ধ।
কথিত আছে বিহারী মেয়েদের বিয়ে করলে অনেক লাভ। নগদ ১৫-২০ লক্ষ রূপীসহ বাইক,ফার্নিচার,টিভি সব কিছুই পাওয়া যায়। এছাড়াও একজন আদর্শ গৃহিনী বলতে যা বোঝায় সবকিছুই তাদের ভেতর আছে। বিহারী মেয়ে যে স্বভাবেরই হোক না কেন একটি কমন সবার মধ্যে হল স্বামীর জন্য অফিস থেকে ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে থাকা এবং টেবিলে খাবার সাজিয়ে রাখা। একারণে বিহারীমেয়েদের ভারতজুড়ে রক্ষণশীল পরিবারগুলোতে খুবই কদর।
বিহারীরা প্রধানত ভাতের বদলে রুটি খায়। এখানকার প্রধান খাবারগুলো হল লিট্টি(ময়দায় তৈরী),ছাত্তু,খাজা,আনারস,টিলকুট।
বিহারী লিট্টি
বুদ্ধগয়ায় গৌতম বুদ্ধ
একবার জাপান থেকে কেউ এসে বলল তোমাদের বিহারে কি আছে?সব গরীব,অশিক্ষিত,উন্নতির নাম-গন্ধ নেই। আমাদের হাতে বিহারকে দিয়ে দাও আমরা ৩ বছরের ভেতর বিহারকে জাপান বানিয়ে দেব। তখন তৎকালীন বিহারী প্রধানমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব বললেন আমাকে জাপান দিয়ে দিন আমি ৩ মাসে বিহার বানিয়ে দেব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।