আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নকল ফুড সাপ্লিমেন্ট বন্ধ করা খুবই জরুরী। এছাড়া বিদেশী ফুড সাপ্লিমেন্টের নামে চলছে রমরমা ব্যবসা। দেখার কেউ নেই।

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম। সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক। দেশে বিদেশী ওষুধের আলাদা ক্বদর রয়েছে। তেমনি ‘ফুড সাপ্লিমেন্ট' নামে বিদেশী বড়িও একশ্রেণীর মানুষের কাছে সমাদৃত।

ওষুধ আমদানিকারকদের মাধ্যমে এসব ‘ফুড সাপ্লিমেন্ট’ দেশে আমদানি হচ্ছে। তবে জানা গেছে, বিদেশী মোড়কে দেশে তৈরি ভেজাল ‘ফুড সাপ্লিমেন্ট’ই বিক্রি হচ্ছে বেশি। দেশে অর্ধশতাধিক কোম্পানি এ ভেজাল ব্যবসার রমরমা বাণিজ্য করে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের নজর এদিকে না থাকায় কিছু কোম্পানি বিদেশী ওষুধ আমদানি করে বাকিগুলো দেশে তৈরি করে বিদেশী মোড়কে বিক্রি করছে। ওষুধ বাজারে কিছু ভেজাল ওষুধ রয়েছে এটা প্রায় ওপেন সিক্রেট।

এমনকি জীবন রক্ষায় সহায়তাকারী জরুরী ইনজেকশনেও ভেজাল ধরা পড়ে মাঝে মাঝে। তবে যারা বিদেশী ওষুধ ও ফুড সাপ্লিমেন্টে আস্থাশীল তাদের জন্য এটি ভয়াবহ দুঃসংবাদ। টাকার টাকা যাচ্ছে যাদের, বিনিময়ে যা পাওয়া যাচ্ছে তা প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। এদিকে পুষ্টিপূরণের জন্য খাদ্যের সম্পূরক হিসেবে ব্যবহৃত এই ভিটামিন ও খনিজ পণ্যে এখন ওষুধের দোকান সয়লাব। ওষুধের নামে দেশজুড়ে চলছে ফুড সাপ্লিমেন্টের জমজমাট ব্যবসা।

অত্যাধুনিক মোড়কে প্লাস্টিক বোতলভর্তি বিদেশী ফুড সাপ্লিমেন্ট আসছে বৈধ ও অবৈধ পথে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে, কোনো প্রয়োজন না হলেও এসব ফুড সাপ্লিমেন্ট ব্যবহারের পরামর্শ করা হচ্ছে। এমনকি দেশের খ্যাতনামা চিকিৎসকরাও প্রেসক্রিপশনে লিখে দিচ্ছেন ওষুধ হিসেবে। ওষুধ বিক্রেতারা জানান, শতকরা ৬০ ভাগ ব্যবস্থাপত্রেই একাধিক ফুড সাপ্লিমেন্ট বা ডায়েটারি সাপ্লিমেন্টের নাম লেখা থাকে। এ অবস্থায় উচ্চমূল্য দিয়ে রোগীরা এগুলো কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভেজাল ও মানহীন পণ্যের কারণে স্বাস্থ্যহানিও ঘটছে। ফুড সাপ্লিমেন্ট প্রতারণা ও দেদারছে বাণিজ্য হলেও ওষুধ প্রশাসন ও বিএসটিআই আছে কেবলই দর্শকের ভূমিকায়। বিশেষজ্ঞরা একে ‘ব্যবসা’ ও ‘রোগীদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ’ বলে মন্তব্য করলেও এর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান দুটি কোনো ভূমিকাই রাখছে না। বিএসটিআই বলছে, ফুড সাপ্লিমেন্ট তাদের এখতিয়ারভুক্ত নয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০০ সাল থেকে আমদানি হচ্ছে ফুড সাপ্লিমেন্ট।

প্রথমদিকে কেবল ‘ভিটামিন’ ও ‘ক্যালসিয়াম’-এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরে এর পরিধি বাড়তে থাকে। এখন প্রতিবছর প্রায় ৫০ কোটি টাকার ফুড সাপ্লিমেন্ট দেশে বিক্রি হচ্ছে। এগুলো দখল করে রেখেছে দেশের ওষুধের বাজার। এ মুহূর্তে অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠান এগুলো বাজারজাত করছে।

আমদানির এই সুযোগে ফুড সাপ্লিমেন্টের পাশাপাশি একান্ত বাস উত্তেজক, এ্যামিনো এসিড, ওমেগা-৩, পেইন কিলারসহ প্রায় ৩ ডজনের মতো পণ্য আমদানি হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে ড্রাম অথবা বস্তাভর্তি খাদ্য হিসেবে ফুড সাপ্লিমেন্ট আমদানি করা হচ্ছে। এর জন্য বিএসটিআই কিংবা ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন নিতে হয় না। দেশে এনে এগুলো ওষুধ হিসেবে চালিয়ে দেয়া হয়। আমদানি হয় কানাডা, ফিনল্যান্ড, চীন, কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান ও ভারত থেকে।

চিকিৎসকরা যে মানহীন ওষুধ রোগীদের প্রেসক্রিপশনে লিখছেন, শুধু তাই নয়; অজ্ঞাতেও অনেকে লিখছেন আবার অনেকে জেনেও কোম্পানির স্বার্থরক্ষার জন্য এসব ওষুধ লেখেন। অবশ্য তারা এই সুযোগ পেতেন না, যদি ওষুধের মান পূর্ণাঙ্গভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হতো। মান নিয়ন্ত্রণে এখনো অনেক দুর্বলতা আছে। ওষুধ নীতিমালা আছে কিন্তু তা মানা হচ্ছে কম। আবার অনেক দুর্বলতাও আছে নীতিমালায়।

ফলে একা কাউকে দোষারোপ করার বেশি সুযোগ নেই। আমদানি করা ওষুধের যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ হয় না বলেই মূলত এটা হচ্ছে। বেশির ভাগ ভেজাল ওষুধ তৈরি হয় নিম্নমানের উপাদানের সঙ্গে আটা-ময়দার মিশ্রণ দিয়ে, যা আগেও পত্র-পত্রিকায় লেখা হয়েছে। আবার এতে যে বিষাক্ত উপাদান থাকে না- তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। ভেজাল ওষুধ খেয়ে এদেশে বহু মানুষ মারা গেছে; এমনকি আরো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছে বা হচ্ছে।

আটা-ময়দার গোলা খেয়ে আবার রোগও সারেনি। এ নিয়ে হইচই হয়েছে। কখনো ভেজাল ওষুধ প্রস্তুতকারীদের শাস্তি হয়েছে কী? হয়তো কখনো কোনো অখ্যাত কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়েছে অথবা কারখানার কর্মচারীদের ধরপাকড় হয়েছে, তাদের জেল হয়েছে, কারখানা সিল করে দেয়া হয়েছে; ওই পর্যন্তই। তারপরও কিন্তু ওষুধ নকল ভেজালকারীরা বেপরোয়া। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা ১৫৬ ধরনের পণ্যের নকল ভেজাল দেখার দায়িত্ব পালন করছে।

একটি সংবাদসূত্রে জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য তালিকা অনুযায়ী কাজ করে। এর মধ্যে ফুড সাপ্লিমেন্টের কোনো উল্লেখ নেই। কাজেই এ পণ্যের নকল ভেজাল দেখার দায়িত্ব তাদের নয়। এক তথ্যে জানা গেছে, আমাদের দেশে তৈরি নামিদামি কোম্পানির ফুড সাপ্লিমেন্টের দাম যেখানে প্রতি পিস ছয় থেকে সাত টাকা সেখানে ওইসব বিদেশী ফুড সাপ্লিমেন্টের প্রতি পিস দাম পড়ে ১৬ থেকে ৪০ টাকা। আমাদের দেশী অনেক ডাক্তার ওইসব ভিটামিন তাদের প্রেসক্রিপশনেও উল্লেখ করেন আর ক্রেতারা তা উচ্চমূল্যে কিনে থাকেন।

এভাবে তারা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। আবার দেখা যায়, রাস্তার ধারে টেবিল পেতেও বিক্রি হচ্ছে নানা ধরনের বিদেশী ফুড সাপ্লিমেন্ট। যেহেতু এ বিষয়ে আইন নেই, দেখার কোনো প্রতিষ্ঠান নেই; সুতরাং জনগণকে গিনিপিগ বানিয়ে একশ্রেণীর মানুষ লুটেপুটে নিচ্ছে অর্থ। আর প্রতারিত হয়েও যেন জনগণের কারো কাছে বিচার চাইবার নেই। মূলত, সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা তথা সততা।

কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন নেক ছোহবত মুবারক, নেক সংস্পর্শ মুবারক তথা রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা পাওয়া সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।