এই সরকার আমার নিরপরাধ ছেলেকে খুন করেছে। তাদের কাছে কি আর বিচার চাইব? আমরা জানি, এই সরকার ন্যায়বিচার করবে না। দুই বছরেও বিচার পেল না গুপ্তহত্যার শিকার চবি’র মেধাবী ছাত্র হারুন অর রশিদ কায়সারের (২২) পরিবার। তারা এখন বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। নিহত হারুনের মা কামরুন নাহার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এই বিচার আমরা আল্লাহর আদালতে ছেড়ে দিয়েছি।
যারা অভিযুক্ত, শুনেছি তারা সবাই এখন মুক্ত। আমরা থানা-আদালতে লড়তে পারব না। আমাদের অত অর্থসম্পদ নেই, ক্ষমতাও নেই। তিনি বলেন, ছেলের কথা মনে পড়লে ঘুমাতে পারি না। শরীর নিস্তেজ হয়ে আসে।
কামরুন নাহার, কেঁদে কেঁদে বলেন, দুই বছর পার হলো, এমন একটি হত্যা মামলা পুলিশ তদন্ত করে আসামিদের শাস্তি দিতে পারেনি।
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র কেবল হারুনই গুম হত্যার শিকার নন, এরকম বহু গুম হত্যার ঘটনা দেশে ঘটেছে। কোনটি মিডিয়ায় এসেছে কোনটি আসেনি। বিষয়টি নিয়ে দেশে বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা ও প্র্রশ্নের ঝড় উঠছে। কিন্তু এ সমস্যার সমধান কার হাতে, দেশের সরকারের কি এই দায়িত্ব নয় দেশের মানুষের নিরাপত্তার বিধান করা।
সরকারের তিন বছরে বহু গুম হত্যার কেন কুল কিনারা হচ্ছে না। অথচ সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার ও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফাসীতে ঝুলালেন। কিন্তু এদেশে কেবল কি প্রধানমন্ত্রী হলে তার বাবার হত্যার বিচার আর দলের স্বার্থের হানিকর লোকদের বিচার করার দায়িত্ব! সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, মানবিক অধিকার দেয়ার দায়িত্ব সরকারের নেই ! আদালতে গুম হত্যা সম্পর্কিত বিচারগুলো হিমঘরে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন গুম হত্যা নেই, আবার বলেন আছে-= আমি নির্দেশ দিয়েছি। একি কোন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য।
তিনি এও বলেন দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে। এসবের সমালোচনার ভাষা দেশের জনগণের নেই। আপনারা যদি না পারেন কারুন নাহারের মতো শত মায়ের সন্তানের গুম হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে তাহলে কেন ক্ষমতায় আছেন ? ধিক আপনাদের। যদি ব্যর্থ হয়ে থাকেন - তাহলে তা স্বীকার করুন যে আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু কেন ভণ্ডামী মিথ্যে আশ্বাস ! আজ যদি আপনাদের ছেলে মেয়ে বা কেউ গুম হতো তাহলে কি করতেন ।
আমরা দেশবাসী এসব প্রশ্নের জবাবচাই, প্রতিটি গুম হত্যার বিচার চাই। আমাদের নিরাপত্তা চাই- নইলে আপনাদেরকে দেশের জনগণ কোনদিনই ক্ষমা করবে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।