আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশ যদি ক্রমশ কট্টরবাদীদের হাতে চলে যায়........

একটা কথা প্রথমেই বলে নেয়া ভালো, দেশ যদি ক্রমশ কট্টরবাদীদের হাতে চলে যায়, সেটা ধর্মীয় চরমপন্হা কিংবা বাম চরমপন্হা যেই হোক না কেন সেটা কারো জন্যই মংগলজনক হবে না যতই মংগল প্রদীপ কিংবা আগরবাতি জ্বালানো হোক না কেন। বিএনপি, আওয়ামী লীগকে আমরা যতই সমালোচনা করি তাদেরকে শুধরে যাওয়ার জন্য, কোনভাবেই তাদেরকে রাজনীতির মাঠ থেকে বিতারিত করার জন্য নয়, করলে সেটা হবে দেশের জন্য মারাত্নক ক্ষতি যতক্ষণ না পর্যন্ত গনতান্ত্রিক কোন তৃতীয় শক্তিকে তাদের বিকল্প হিসেবে পাওয়া যায়। বিএনপি হেফাজতে ইসলামের লং মার্চকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে, এর আগে একবার জামাতের হরতালে দিয়েছিল। আমার মতে নৈতিক সমর্থন খুব বিপদজনক একটা খেলা। সোজা কথায় বলা যায় উস্কানি দেয়া, কিন্তু কোন দায়িত্ব না নেয়া।

আরো খাস বাংলায় বললে বলা যায়, ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতির নোংরা খেলা। হুজুরদেরকে আওয়ামি লীগের মাথামোটা এক মন্ত্রীর পেটোয়া বাহিনীর হিংস্রতার মুখে ঠেলে দিয়ে মুসলিম সেন্টিমেটকে ভোটের বাক্সে কাজে লাগানোর বিপদজনক কৌশল। নিজেরা হরতাল ডেকে নাকে তেল দিয়ে, সারাদিন টিভিতে হিন্দি সিরিয়াল দেখে সময় কাটিয়ে যখন সরকারের কোন ক্ষতি করতে পারছেন না, তখন এগিয়ে দিচ্ছেন তাদেরকেই যারা একসময় আপনাদের ঘাড় মটকে নিজেরাই ক্ষমতা দখল করে নিলে দেশের ভাবমুর্তি, গনতন্ত্র কোথায় গিয়ে দাড়াবে একবারো কি ভেবে দেখেছেন? তার মানে হলো, হয় পুরো সমর্থন দিন, দায়িত্ব নিন, নিয়ন্ত্রন নিন যাতে এ ধরনের আন্দোলন অন্যকোন বিপদজনক দিকে মোড় না নিতে পারে, নইলে বিরত থাকুন, দেশবিরোধী হলে প্রতিহত করুন। এক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য, আওয়ামি লীগ সমানভাবেই দায়ী। কারন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তাদের একমাত্র কাজ হলো তাদেরই বিকল্প গনতান্ত্রিক আর একটি দল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা।

সারাদিন শুধু চিন্তা কিভাবে বিএনপিকে ধ্বংস করা যায়। একবারো চিন্তা করেন না, বিএনপি ধ্বংস হলে লাভবান কে হবে? আপনাদের ব্যর্থতার কারনে জনগন কাকে ভোট দিবে? বিএনপি কিংবা আওয়ামি লীগের ব্যর্থতায় জনগন যাতে কোন অগনতান্ত্রিক শক্তির দিকে ঝুকে না পড়ে সে ব্যবস্হাটা বজায় রাখার দায়িত্ব কি উভয় দলের উপরই বর্তায় না? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।