আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১২ মার্চ কেন্দ্র করে ঢাকা ও আশপাশের হোটেলে পুলিশের অলিখিত নির্দেশনা

আমি কথা কম কাজ বেশী তে বিশ্বাসী। বিএনপির ১২ মার্চের ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচীর প্রেক্ষাপটে রাজধানীর আবাসিক হোটেলগুলোতে অলিখিত নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শুধু ডিএমপির আওতাধীন থানাই নয় এর বাইরে সাভার আমিনবাজার, কেরানীগঞ্জ, নারায়নগঞ্জের আবাসিক, হোটেলগুলোতেও সংশ্লিষ্ট থানা থেকে একইভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশের এই নির্দেশনার ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইছেন না হোটেল কর্তৃপক্ষ। শুধু এটুকু বলছেন, যে ৮ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত এক এলাকা থেকে আসা ৩ জনের বেশি এক হোটেলে থাকতে দেয়া যাবে না।

সূত্র জানায়, হোটেলে হোটেলে অবস্থানকারীদের সব তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করতে হবে। এ ক’দিন থানায় ইনফর্ম না করে হোটেলে কোন অভ্যগতদের উঠতে দেয়া যাবে না বলে হোটেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে। এব্যাপারে ১২ তারিখের আগে হোটেল মালিক ও ম্যানেজারদের নিয়ে পৃথক ভাবে মিটিং করা হবে বলে জানা গেছে। শাহবাগ থানা এলাকার হোটেল গুলোর মালিক ও ম্যানেজারদের আগামী ৬ মার্চ বিকেল ৫ টায় থানা যেতে বলা হয়েছে। অন্য থানা গুলোও এই মিটিংয়ের জন্য পৃথক সময় নির্ধারন করে দিয়েছে।

এব্যপারে ডিএমপি’ গণযোগাযোগ শাখার কর্মকর্তারা কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন। তবে কয়েকটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্দেশনার ব্যপারে স্বিকার করলেও তারা দাবী করেছেন, অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের জন্য কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলের মালিক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এরা কেউ নিজেদের ও প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে রাজি নন। শাহবাগ থানা এলাকার এক হোটেল কর্মচারী জানান, তাদেরসহ আশপাশের প্রায় সবকটি আবাসিক হোটেলে থানা থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

ওই চিঠিতে আগামী ৬ মার্চ বিকেল ৫ টায় হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারকে জরুরি ভিত্তিতে থানায় গিয়ে পুলিশের সাথে মিটিং করতে বলা হয়েছে। তোপখানা রোডের একটি হোটেল ম্যানেজার বলেন, ৮ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত লোক না রাখার জন্য তাদের নির্দেশন দেয়া হয়েছে। তবে যদি বিশেষ কোনো কারনে লোক রাখা হয় তাহলে তা অবশ্যই থানাকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। তবে অপর একটি হোটেলের ম্যানেজার বলেছেন, নির্দেশনা কিছু একটা আসবে। তবে পুলিশের সাথে মিটিং না করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসা করে বাঁচতে হলে পুলিশের কথা শুনতেই হবে। বনানীর এক হোটেল ম্যানেজার বলেন, এ ব্যপারে কিছু বলা যাচ্ছে না। টেলিফোনে তিনি বলেন, ‘কি কারনে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে তা আপনারা সবাই যানেন। এ ব্যপারে মুখ খুললে চাকুরী আপনার নয় আমার যাবে’। কারওয়ান বাজারের এক হোটেল ম্যানেজার ফোনে জানান, থানার লাইনম্যান এসে কিছু একটা বলে গেছে।

তার কথা বুঝতে পেরেছি কোন একটা নির্দেশনা আসছে। তবে সেটা কি তা স্পষ্ট নয়। শাহবাগ থানার ওসি সাংবাদিকদের বলেন, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতি ও অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ করতে হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে মিটিং করার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। ১২ মার্চকে সামনে রেখে রাজধানীর সব হোটেল গুলো এ ধরনের চিঠি কেন দেয়া হলে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে পারেননি। এ ব্যপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকা নয়া বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ঢাকার বাইরে থেকে আসা লোকজনের উপর পুলিশ কড়াকড়ি করছে।

এটা সরকারের দমন নীতির অংশ। মহাসমাবেশ যাতে সুষ্ঠুভাবে সফল হতে না পেরে সে জন্য তারা স্বৈরাতান্ত্রিক আচারন করছে। মিছিল সমাবেশ করা সবার গনতান্ত্রিক অধিকার। হোটেলে থাকাও এসব মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার। তিনি সরকারের এ ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করায় তীব্র নিন্দা জানান।

পাশাপাশি এধরনের প্রতিবন্ধকতা তুলে নেয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন View this link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।