আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চীন গবেষণা [ফান পোস্ট ]

একজন সাদাসিদে মানুষ চীনের প্রতি আমার অকৃত্তিম ভালোবাসা জন্ম নেয় সেই ছোটবেলাতেই । নতুন নতুন স্কুলে ভর্তি হয়েছি,আলাদা একটা ভাব, কচি বয়স । সবেধন নীলমণি বিটিভি তে কোন এক অলিম্পিক খেলার হাইলাইট দেখাচ্ছিল । খেলা বুঝি আর নাই বুঝি, খুব আগ্রহ নিয়ে দেখছিলাম খেলাগুলোর হাইলাইট । এক সময় অবাক হতবাক নির্বাক হয়ে খেয়াল করে দেখলাম চায়না নামের দেশটি থেকে শুধুমাত্র একজন পুরুষ খেলোয়াড় পাঠানো হয়েছে এবং সে প্রায় প্রতিটি খেলাতেই পারদর্শীতা দেখিয়ে কোন না কোন পদক পাচ্ছে ।

এই অবাক ব্যাপারটা আমার কচি মনে সাথে সাথেই গভীরভাবে দাগ কাটতে সক্ষম হয় । আরেকটা ব্যাপার আমাকে সমানভাবে অবাক করে । ঐ খেলোয়াড়টি একেক খেলায় একেক নাম ব্যবহার করছিল এবং সেই নাম আমার পক্ষে উচ্চারণ করে পড়া সম্ভব ছিল না । এরপর দিন যায়,মাস যায়,বছর যায় । একসময় বুঝতে পারি চীনের কোন মহাপুরুষের খেলা আমি দেখিনি ।

তাদের সবার চেহারা এক হবার কারনে আমার ছোট মস্তিস্ক এই ভুলটি করে। আমি বুঝতে পারি একজন চীনা কে চিনলে বাকি সব চীনাকেই আপনার চিনা চিনা লাগবে । তাদের সবাইকে এই চেনা চেনা লাগার কারনেই হয়ত তাদের দেশের নাম চায়না । চায়না,চীনা এই নামগুলির উৎপত্তি বাংলা চেনা,চিনা শব্দ গুলো থেকে । এই কারনে আমার দৃঢ় বিশ্বাস চীনের আবিস্কার এবং নামকরন করেন কোন এক প্রচারবিমুখ বাঙ্গালী,আমাদের পূর্ব-পুরুষ।

অভাগা চীনা রা অতীতে এতই বোকা,অশিক্ষিত ছিল যে,নিজেদের জাতিগত একটা নাম দেয়ার প্রয়োজনীয়তা পর্যন্ত বুঝতে পারে নি। অবশ্য কোন কিছুর বা কোন মানুষের নাম দেয়ার প্রয়োজনীয়তা টাও চীনারা বুঝতে পারে অনেক দেরীতে । ততদিনে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের মানুষেরা নিজস্ব স্টাইলের নাম নির্বাচন করে ফেলেহে । চীনারা তাদের নিজস্ব একটা স্বকীয় স্টাইলের নামের ধরন খুঁজতে গিয়ে ভালো বিপাকে পড়ে । পরবর্তীতে তারা মানুষের নাম রাখার আধুনিক এক পদ্ধতি উদ্ভাবন করে ।

চীনাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রথম উদাহরণ তাদের নাম রাখার পদ্ধতি। তারা সিদ্ধান্ত নেয় কোন নবজাতকের জন্মের পর শিশুটির বাবা কাঁসা-পিতল বা স্রেফ কোন টিনের পাত্রে ফোঁটা ফোঁটা পানি ফেলবে । সে পানি পড়ার টুং টাং তুং তাং চুং চাং শব্দ থেকে ঠিক করা হবে শিশুটির নাম । যার শব্দ যত বিচিত্র,নাম ও তত বিচিত্র। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।