I am Bangladesh supporter শুধু কয়েকটি নিষ্পাপ স্মৃতিচারণ। ১. রাতের আঁধারে ছাত্র, শিক্ষক, আইনজীবি, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবিদের ধরে নিয়ে যাওয়া হত। তাদের কারও কাছ থেকে টাকা নেয়া হত, কারও কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেয়া হত, কারও কাছ থেকে বিবৃতি নেয়া হত। একটি পত্রিকা দিনের পর দিন সেগুলোর সমর্থনে প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ ও কৌশলগত সম্পাদকীয়, মন্তব্য প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ লিখছিল। ২. ঢাকার রাস্তায় যখন দিনে দুপুরে রাতে সন্ধ্যায় মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টির হাতে নিহত বাসিন্দা, এনএসআইয়ের পরিচালক থেকে শুরু করে সরকারের উপ সচিবের লাশ, পুলিশের এসআই থেকে নর্থ সাউথের প্রফেসরের লাশ পাওয়া যাচ্ছিল, তখন একটা পত্রিকায় রঙ্গিন গ্রাফচিত্র দিয়ে দেখানো হয়েছিল দেশে অপরাধ কী মারাত্মক হারে কমে যাচ্ছে।
৩. ভিকারুননিসা স্কুলের একজন ছাত্রীকে বাড়িতে কোচিং করানোর নাম করে পরিমল জয়ধর যখন হাত পা মুখ বেঁধে ঘরের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করল এবং সেই দৃশ্য অন্য সহকর্মীদেরকে দিয়ে রেকর্ড করালো ব্ল্যাকমেইলিং-এর উদ্দেশ্যে, তখন একটি পত্রিকা দিনের পর দিন সপ্তাহর পর সপ্তাহ সেই খবর ছাপলো না। বহুদিন পর যে খবরটা তারা ছাপল, সেখানে তারা বলল মেয়েটি স্কার্ট পরে পড়তে যেত। যেন বোঝালো, স্কার্ট পরা ছাত্রীদেরকে রেপ করে ভিডিও করা সামাজিক ভাবে গ্রহণযোগ্য। ৪. পারসোনা নামক বিউটি পার্লারে, সে মালিকের প্ররোচণাতেই হোক কিংবা বদমাইশ এমপ্লয়িদের বিকৃতকাম চেতনায়ই হোক, যখন মেয়েদের চেঞ্জরুমে হিডেন ক্যাম লাগিয়ে ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছিল এবং পারষ্পরিক মীমাংসায়, টাকার খেলায় আর পুলিশের যাদুতে যখন সেগুলো ডিলিট করা হয়েছিল, তখন একটি পত্রিকা ঘটনার তিন দিন পর রিপোর্ট করেছিল, কিছুই ঘটেনি, কিছুই পাওয়া যায়নি। ৫. মানুষের কাছে সত্য পৌঁছে দেয়ার তাগিদ নিয়ে যারা প্রমাণ খুঁজেন, তাদেরকে দমাবার লক্ষ্যে একটি পত্রিকা বছরের পর বছর তাদের আর্কাইভ বন্ধ করে রেখেছে।
অফিসে গিয়ে কোন কপি চাইলে তাদের সওয়াল জওয়াবের বহর দেখে মনে হয় অ্যামেরিকার ভিসা চেয়েছি। পত্রিকাটির নাম প্রথম আলো। এক গুচ্ছ সাবেক মস্কোপন্থী কমিউনিস্টদের দ্বারা পরিচালিত। একটি অত্যন্ত প্রগতিশীল পত্রিকা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।