স্বাগতম সবাইকে একদম অল্প বয়সে বিয়ে হয় নাজমা'র। এতটাই কম বয়স ছিলো তখন যে বিয়ে জিনিসটি কি সেটাই বুঝেনি! কখনো মিল কখনো অমিল এভাবেই সংসার করেছে। নাজমা একটি ব্যাপার লক্ষ করেছে তআর প্রায় সব স্বপ্ন-ই বাস্তবে মিলে যায়। যেমন গল্প করার এক পর্যায়ে মেয়ের সাথে বলছিলো সেরকমই কিছু.....
"তোর ভাইয়ার জন্মের আগে একদিন স্বপ্নে দেখলাম নামাজ পড়ছি, এমন সময় কে যেনো দরজায় টোকা দিলো। খুলে দেখি লম্বা সাদা জোব্বা পড়া এক দরবেশ সাদা কাপড়ে মোড়া কিছু একটা আমার কোলে দিয়ে বললো "নে তোকে এটা দিলাম, যত্ন করে রাখিস।
একদিন দেখি পূর্ণিমার চাঁদ আমার হাতে! এর কিছু দিন পরেই তোর ভাইয়ার জন্ম!
তোর জন্মের আগে দেখতাম সোনা-দানা আর মুক্তোর গহনা। আবার দেখি অর্ধেক চাঁদ আমার হাতে!"
এপর্যায়ে এসে মেয়ে নুসাইবা বলে ওঠে, পূর্ণ চাঁদ হলো তোমার ছেলে। দেখোনা সব দিক দিয়ে ও কত ভাল। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠেই পড়ছে। আরো কত কি... আর আমি হলাম অর্ধ চাঁদ।
এই জন্যেই এক জীবনে ভাল হলেও এখন কেমন খারাপ। না পড়ি ভাল কোথাও...না ভাল...!
নাজমা আবার শুরু করে তার কথা; "একদিন দেখি আমি ক্ষেতে শাক তুলতে গিয়েছি। সেখানে একটি মুরগী কিছু ডিম আর বাচ্চা নিয়ে বসে আছে। আমি প্রথমে মুরগীটি পরে ডিম ও বাচ্চাটি কোলে নিয়ে চলে আসাতে উদ্যত হলাম। কিন্তু তখনই মনে হলো আমি এতগুলো কেন নিচ্ছি! এসব আমার লাগবে না।
মুরগীটি ছেড়ে ডিম ও বাচ্চাগুলো রেখে দুটো বাচ্চা ও একটি ডিম হাতে নিলাম। ডিমটি হাতে নিলাম পরে কিভাবে যেনো হাতের মধ্যেই ভেংগে গেলো। ভেতরের সব কিছু কেমন পঁচা। "
এপর্যন্ত বলে একটু দম নিলো নাজমা। নুসাইবা ভাবছিলো তাহলে কি মার কোন বাচ্চা নষ্ট হয়েছিলো.....
একটু দম নিয়ে আবার শুরু করলো নাজমা, "তুই তখন একদম ছোট, এক কি দেড় বছরের হবি।
তখন মনে হয়েছিলো একটি বাচ্চা নষ্ট হয়েছে। কি ভাবে কি হলো বুঝতেই পারিনি!"
নুসাইবা সব শুনে যায় মন দিয়ে। ভাবে কি করে এসব হয়। একবার নাকি মা স্বপ্নে দেখে তার হাতের সোনার চুড়ি দুটো বাঁকা হয়ে যায়। বাবকে বলে ঠিক করে এনে দিতে কিন্তু বাব বলেছিলো তোমার শখের জিনিস তুমিই ঠিক করে আনো আমি পারবো না।
এর কয়েকদিন পরেও বাবা গ্রামের বাড়ী গেলে ওর ভাইয়া খুব অসুস্থা হয়ে পড়ে এবং মা ওকে নিয়ে হসপিটালে দৌড়ায়!
কিভাবে এসব ফলে যায়। নুসাইবা মনে মনে বলে আামি যদি এরকম স্বপ্ন দেখতে পারতাম! আবার ভাবে নাহ, আমার বেলাতে হয় না, ভালই হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।