দিনের শেষে আমরা সবাই একা... কিন্তু এরই মাঝে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ইমরান এইচ সরকার কেন এই লংমার্চ প্রতিহত করার ঘোষণা দিলেন তা বোধগম্য নয়। যেখানে সরকারসহ বিরোধীদল সবাই চাইছে ওদের লংমার্চ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়ে আপাতত রাজনৈতিক এই সংকট কেটে যাক সেখানে ইমরান এইচ সরকার হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ ঠেকাতে ২২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি কেন ঘোষণা করলেন? একইভাবে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ব্যতিক্রমী হরতাল ডেকেছে ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। কেন শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শনিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত দেশব্যাপী অবরোধ চলবে? হরতালই বা কেন? কেন প্রাণ ও দেশের সম্পদ নাশের সমূহ সম্ভাবনা আছে জেনেও সব পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হচ্ছে এই অবরোধ কর্মসূচি সফল করার? কেন সব বাস মালিক-শ্রমিক, রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, লঞ্চের মালিক-শ্রমিকদের প্রতি বিনীত আহ্বান জানিয়ে সব বন্ধ থাকার অনুরোধ করা হচ্ছে? গণজাগরণ মঞ্চ তো কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। তবে কেন তারা অবরোধ দিয়ে দেশকে অচল করার কর্মসূচি দিচ্ছে? ২২ ঘন্টার এই অবরোধে শুধু লংমার্চ ঠেকানোর জন্য দেয়া হলেও সাধারণ জনগণ কি এই ২২ ঘন্টায় অতি প্রয়োজনীয় কাজেও ঢাকা অভিমুখে আসতে পারবে না? হেফাজতে ইসলাম ছাড়াও তো দেশের খেটেখাওয়া মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিত্সা, প্লেনের ফ্লাইট কতরকম কাজই তো থাকতে পারে। তারা কেন অবরুদ্ধ হয়ে ঘরে বসে থাকবে? ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিসহ অন্যদের ডাকা হরতাল আর গণজাগরণ মঞ্চের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা না হলে রোববার থেকে হেফাজতে ইসলাম লাগাতার হরতাল শুরু করবে বলে এরই মধ্যে হুমকি দিয়েছে। আমরা তো এই প্রিয় দেশ অচল হয়ে যাক চাইনা। হেফাজতের আপাত লক্ষ্য তো ইসলামকে হেফাজত করা বলেই তারা দাবি করছে, তবে কেন আমরা আগ বাড়িয়ে সন্দেহের বেড়াজালে ওদেরকে ক্ষিপ্ত করে সহিংসতার পথে এগুচ্ছি? সূত্রঃ
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।