দুঃসাহসিকতার বহিঃপ্রকাশ: নগ্ন বিয়ে
আমরা দিনে দিনে পাগল হয়ে যাচ্ছি এবং ক্রমেই বানরের রূপ ধারণ করছি আর সেই অন্ধকারের যুগ আসতে মনেহয় আর বেশি দেরী নেই...
সভ্য (!) দেশের অসভ্য মানুষের কীর্তি দেখে হতবাক হওয়ার কিছু নেই। বিয়ে করার জন্য দলবেঁধে (বর-কনে উভয়ে) সম্পূর্ণ বিবস্ত্র বা বিবসনা হওয়ার কথা আগে কখনো শোনা যায়নি। চরম দুঃসাহসিকতার বহিঃপ্রকাশ, এমন দৃশ্য কল্পনা করা কষ্টকর হলেও এরকমই ঘটেছে সত্যি! সম্প্রতি ৯ জোড়া উদ্ভট রুচির নগ্ন বর-কনে জ্যামাইকার একটি সমুদ্র সৈকতে অংশ নিয়েছেন দুঃসাহসিক ‘নগ্ন বিয়ে’ অনুষ্ঠানে। তবে তাদের ‘নির্লজ্জ’ নগ্নতাকে কিছুটা হলেও আড়াল করেছিল কনেদের হাতের লাল, সাদা আর হলুদ রঙের বাহারি ফুলগুলো। পরে দিনের ঝলমলে সূর্যের আলোয় তারা নিজেদের মধ্যে বিয়ের শপথবাক্য পাঠ করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এসময় কারো পায়ে দামী জুতা, হাতে রিস্টব্যান্ড এমনকি গলায় বো-টাই আর নেকলেসের দেখা মিললেও দেখা মেলেনি কোনো পোশাকের! শরীরে পোশাকের বালাই না থাকলে ও যথারীতি কনেদের অনেকের মাথায়ই ছিলো ঘোমটা বা অবগুণ্ঠন! দুই-একজন পরেছিলেন মুকুট বা হ্যাট। অন্যদিকে তাদের দৈহিক বাড়তি সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে শরীরে ব্যবহার করা হয় উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পেইন্ট! ৯টি নগ্ন জুটির আলোচিত-সমালোচিত এই গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জ্যামাইকার নেগ্রিল সমুদ্র সৈকতে উন্মুক্ত আকাশের নিচে। এমন উদ্ভট নগ্ন বিয়ের আয়োজক ছিলো ‘দ্য হেডোনিজম-২ রিসোর্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আয়োজনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি একইসঙ্গে বহন করেছে এই ৯ জুটির নগ্ন হয়ে বিয়ে করার যাবতীয় খরচ! প্রতিষ্ঠানটি জানায়, নগ্ন বিয়ের ইভেন্টকে সামনে রেখে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ‘কেন তোমরা নগ্নতার মধ্য দিয়ে দাম্পত্য জীবন শুরু করতে চাও’- এ প্রশ্নটিসহ তৈরি করা হয় অসংখ্য প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয় ১০০ জুটিকে।
পরে এদের মধ্য থেকে ভাগ্যবান ১০ জুটিকে দেয়া হয় ‘নগ্ন বিয়ের’ বিশেষ সুযোগ; কিন্তু দুঃখের বিষয়, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে মোট ৯টি জুটি। একেবারে শেষ সময়ে এসে একটি জুটি ওই গণবিয়েতে অংশগ্রহণ করেনি। এক জুটি তাদের অনুভূতি সম্পর্কে বলেন, আমরা একে অপরকে নগ্নভাবেই ভালোবাসি। সুতরাং আমাদের যৌথ জীবন কেন নগ্নতার মধ্যদিয়ে শুরু করবো না?’ এর জবাবে কী বলতে পারি আমরা? যেমন উদ্ভট-বিচিত্র কা- তেমনি এর সাফাই! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।