বিবর্ণ জীবনে কয়েক ফোটা রং......
মাত্র ১৫ টাকায় আমার কাছে প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড বেচতে চায় ইস্টার্ণ ব্যাংক ( EBL)। এজন্য EBL এর একজন সেলসম্যান গত ২ সপ্তাহ যাবত ঘুরছে আমার অফিসে। আমাকে প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড দিতে চায়, কারন, আমার কাছে আরও ২টি ব্যাংকের গোল্ড ক্রেডিট কার্ড আছে, তাই । এত সাধাসাধির পরও নেই নাই। বরং আজকে স্পস্ট করে আর অফিসে না আসতে বলে দিয়েছি।
ব্যাপারটা হল, EBL লোক এসে বলল, তারা নাকি দেশের বিশেষ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ গুটিকয়েক লোককে (আমিও তাইলে সেই কাতারে ) তাদের প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড ফ্রী তে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম বছর কোন চার্জ নাই। ১৮বার কেনাকাটা করলে পরের বছরেরটাও ফ্রী। কার্ড তৈরীর খরচ (প্লাস্টিক ফী) ১০০ টাকা। সেই টাকাও আবার ব্যাংকই দিয়ে দেবে (আমার দাম কত তাইলে বুঝেন .. )।
আমাকে শুধু ঐ ১০০ টাকার ভ্যাট ১৫ টাকা দিতে হবে (এতকিছু মাফ করল, আর এই ১৫ টাকা ছাড় দিল না .. )
যাইহোক, এত প্রলোভনেরর পরও কার্ড নিলাম না। কারন এমনিতেই ২খান গোল্ড কার্ড ম্যানেজ করতেই হিমসিম খাই। আর প্লাটিনাম, টাইটেনিয়ামের দরকার নাই । তাছাড়া, বাংলাদেশের ইস্যু করা বেশিরভাগ কার্ডেই ইলেকট্রনিক চিপ বসানো না থাকায় তা দেশের বাইরের মার্চেন্ট গুলোতে একসেপ্ট করতে চায় না। এটা একটা সমস্যা।
আর EBL এর কার্ডে চিপ বসানো নেই।
আমার বাকি দুইটা ক্রডিট কার্ড কিভাবে পেলাম (মানে কিভাবে আমারে ধরায়ে দিল) তা আরেকদিন বলব।
আপনাদের কারও প্লাটিনাম কার্ডের দরকার হলে EBL এ যোগাযোগ করেন। এরা মনে হয় কার্ড বেচতে পারলেই বাচে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।