তবে তাই হোক, ক্লান্তিহীন তিল তিল আরোহনে সত্য হোক বিক্খুব্ধ এই জীবন _____ বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধুমাত্র বাংলাদেশের নয়, সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে ইউনিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়। আবেগের কথা নয়; এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি বলে নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্বও নয়- কথাটা প্রমাণিত সত্য। শুনিলেও না হয় প্রত্যয়?আচ্ছা, তাহলে আপনিই বলুন: পৃথিবীতে এমন কোন বিশ্ববিদ্যালয় আছে যার ছাত্রদের অবদান আছে সে দেশের মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছিল? আজীবন স্বৈরাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে আপোষহীন আন্দোলন করে গেছে, এমন ছাত্র পৃথিবীর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভয় পায়না জলপাই রঙাদের চোখরাঙানি? জাতির দু:সময়ে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আশার মন্ত্র নিয়ে পাশে এসে দাঁড়ায়? যে কোন উৎসবের দিন আপনি কোথায় উদযাপন করতে চান? আনন্দের কোন উপলক্ষে (যেমন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জয়) কোথায় এসে আপনার নাচতে ইচ্ছে করে? জাতির এতসব আবেগের সাথে, দ্রোহের সাথে পৃথিবীর আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী জড়িয়ে আছে? টাইম মেশিনে চড়ে অতীতে গিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা হওয়া যদি কোন ভাবে থামিয়ে দেয়া যেতো, জেনে রাখুন - পুরো পাল্টে যেতো বাংলাদেশের ইতিহাস। কে জানে, বাংলাদেশ বলে হয়তো কোন দেশই থাকতো না তখন ! রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়েটি চেয়েছিল কী চায়নি সেই তর্কে যাচ্ছি না, এর প্রতিষ্ঠার পেছনে ইংরেজদের কী রাজনীতি ছিল তা'ও জানা নিষ্প্রয়োজন। ছাত্ররাজনীতি, টেন্ডারবাজি,গণরুম, উচ্চশিক্ষার মান এইসব বিষয় আজকের মত নাহয় শিকেয় তুলে রাখলাম। কারণ, এত প্রতিকূলতার পরেও এখনো পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিই দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ।এই বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আজ একটি বিশেষ দিন । আজ বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্মদিন । শুভ জন্মদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ! যুগ যুগ বাঁচো !
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।