আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোট-প্রবন্ধ (ছোটগল্প হতে পারলে ছোট-প্রবন্ধ হতে পারবে না কেন ?)

জানি প্রতিবাদ করে কোন লাভ নেই। তারপরও আমি প্রতিবাদী। আহবান আমাদের তরুণ সমাজের কী হয়েছে? আমরা আজ ইতস্তত করি নৈতিকতার কথা বলতে। অন্যায়ের বিরোধীতা করতে দ্বিধান্বিত হই। কোন জুজুর ভয় করি আমরা? এ দেশটাতো কতিপয় অন্যায়প্রবণ লোকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।

এ দেশটা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ১৬ কোটি শান্তিকামী মানুষের বিস্ময়কর মিলনমেলা। কই, আমাদের তরুণ সমাজ তো এমন ছিল না। ৫২’র ভাষা আন্দোলনের বিস্ময়কর ঘটনাটি ঘটিয়েছিল আমাদের তরুণরাই। তারাই তো ৭১’এ আমাদের এ ছোট্ট মানচিত্রটির জন্য আপন রক্তে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছিল। তাহলে আজ কেন আমরা অন্যায়-দূর্নীতির সাথে আপোষ করে স্রোতের অনুকূলে গা ভাসিয়ে দিয়ে দেশটাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছি? একটি জাতির টিকে থাকার পূর্বশর্ত কী? জাতির মধ্যে থাকতে হবে ন্যায়বোধ, অন্যায়ের প্রতি চরম বিরাগ।

জাতি অন্যায়কে ঘৃণা করবে সম্মিলিতভাবে। আমাদের জাতির অবস্থাটা চিন্তা করি। আমরা আজ শিখছি অন্যায়কে মেনে নিতে। আমরা অভিযোজিত হচ্ছি অন্যায়যুক্ত পরিবেশে বেঁচে থাকতে। ভাবটা এমন - অন্যায়-দূর্নীতি তো হবেই।

আমরা নিজেদেরকে যতটুকু রক্ষা করে থাকতে পারি‍‍! কি অদ্ভূত! এ ধরণের দায়িত্বহীন চিন্তাতো তাদের জন্য যারা এ জাতির দায়িত্ব নেয়ার যোগ্যতাই রাখে না। এ চিন্তা সেই তরুণরা কেন করবে যারা এ জাতির ভাগ্যোন্নয়নে সবচেয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে পারে? এ চিন্তা তারা কেন করবে যাদের আছে শক্তি, যাদের আছে সাহস এ অন্যায়প্রবণ জাতিকে ন্যায়পথ দেখানোর? তারা কেন তাদের এ তারুণ্যের শক্তিকে ধীরে ধীরে নি:শেষ করে দিবে? তারা কেন তাদের চিন্তাশক্তিকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করবে না? তারা কেন এ অন্যায়প্রবণ সমাজে অন্যায়ের সহযোগিতাকারী হিসেবে বাস করতে চাইবে? তারাতো চাইবে তাদের অসীম প্রাণশক্তির আলো ছড়িয়ে দিতে সমাজের প্রতিটি অন্ধকার কোণে। তারা চাইবে শোষণহীন সে সমাজের প্রতিনিধিত্ব করতে যেখানে মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে। যেখানে ধনী-দরিদ্রের আকাশসম দূরত্ব থাকবে না। যেখানে রাষ্ট্র কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি হবে না – রাষ্ট্র হবে সকল নাগরিকের কল্যাণকামী।

আমাদের তরুণদের সে ন্যায়বোধ ছিল। আমাদের ন্যায়বোধ কী আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে? অবিচার-অনাচার আর অন্যায়-দূর্নীতির সাধারণীকরণের কারণে আমাদের বোধশক্তি কী আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে? নৈতিক ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে নতুন করে চিন্তার সময় কি আমাদের এখনো আসে নি? আসুন না আমরা আমাদের হাজারো চিন্তার মাঝে একটু জায়গা দেই আমাদের এই হতভাগা ছোট্ট মানচিত্রটিকে। আসুন না আমরা নিজেদেরকে প্রস্তুত করি দূর্নীতিমুক্ত, অন্যায়-অবিচারহীন আর সুন্দরের পৃষ্ঠপোষকতাকারী সেই অবশ্যম্ভাবী সমাজের যোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে। আমরা কি পারব না? আমার বিশ্বাস – পারব। আমাদের পারতেই হবে!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।