নব্বই দশকে যখন বাংলা ব্যান্ড জগতের স্বর্ণযুগ চলছিল তখন সেই স্বর্ণযুগের পুরোধার দলে ছিল আইয়ুব বাচ্চুর নেতৃত্বে এলআরবি। শুরুতে ডাবল অ্যালবামের চমক-ই শুধু ছিল না; ছিল সময়ের আগে চলে আসা হার্ড রক ঘরানার গান। বাংলা ব্যান্ডে হার্ড রক গানের যাত্রা এলআরবি-কে দিয়েই শুরু হয়েছিল। মাধবী, হকার, ফেরারী মন, ঢাকার সন্ধ্যা সহ আরো অনেক মুগ্ধতা ছড়ানো গান দিয়ে এলআরবি জানান দিয়েছিল তারা থাকতেই এসেছে। দিনের বেলা অফিস আর রাতের বেলা মিউজিক না করে আইয়ুব বাচ্চু মিউজিক-টাকেই প্রফেশন হিসেবে নিয়েছেন।
নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশের সেরা গিটারিস্ট হিসেবে। শুধু দেশ বলি কেন- আমার মতে আইয়ুব বাচ্চু এই উপমহাদেশের অন্যতম সেরা গিটারিস্ট। প্রথম ডাবল অ্যালবামের পর সুখ, তবুও,ঘুমন্ত শহরে, ফেরারী মন, স্বপ্ন, আমাদের বিষ্ময়, মন চাইলে মন পাবে, মনে আছি নাকি নাই, স্পর্শ এবং সর্বশেষ অ্যালবাম যুদ্ধ। ‘সেই তুমি’, ‘রুপালী গিটার’, ‘ঘুমন্ত শহরে’, ‘সুখী ছেলে’, ‘রাতের তারা’, ‘চাঁদ মামা’, ‘সাড়ে তিন হাত মাটি’, ‘ভালো লাগে না’, ‘মন চাইলে মন পাবে’, ‘বান্দা’ ইত্যাদি অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছে এলআরবি। মেইন স্ট্রিম ব্যান্ডগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র এলআরবি-ই এই অডিও জগতের দুঃসময়ে অ্যালবাম বের করার সাহস রাখে।
‘আমাদের বিষ্ময়’ এলআরবি-র ২য় ডাবল অ্যালবাম এবং ‘ফেরারী মন’ অ্যালবামটা হলো বাংলাদেশের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র লাইভ অ্যালবাম। এলআরবি শুরু থেকেই গান নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে এসেছে। মাত্র ১৩ দিনের চেষ্টায় তারা বের করেছিল ‘তবুও’ নামের অ্যালবামটি। এলআরবি-র অন্য সব অ্যালবামের মত এই অ্যালবাম-টা এত হিট না হলেও সমজদার শ্রোতাদের ঠিকই মুগ্ধ করতে পেরেছে। ১৯৯১ সালের এই দিনে এলআরবি-র যে যাত্রা শুরু হয়েছিল ওই যাত্রা আজো থামেনি।
শুভেচ্ছাসহ আশা রইলো এই যাত্রা যেন অচিরেই না থামে। মুগ্ধতা ছড়ানো গান দিয়ে যেন এলআরবি যেন আমাদের মুগ্ধ করে যায়। শুভ জন্মদিন এলআরবি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।