সাইফ শাহজাহান
শুচি সৈয়দ
‘বইমেলার সূচনা হয়েছিল মুক্তধারার চিত্তরঞ্জন সাহার একক উদ্যোগে। তার এ উদ্যোগ ছিল সৃজনশীল বইয়ের বিক্রয়, বিপণন ও প্রসারের লক্ষ্যে। কালক্রমে বইমেলা জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে কিন্তু সৃজনশীল বই বিপণনের সেই চেতনা কেবলই বিচ্যুত হচ্ছে। ’ বইমেলা প্রসঙ্গে এ কথা বলেন অনিন্দ্য প্রকাশের আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সৃজনশীল বই প্রকাশ করে এ রকম প্রকাশনার সংখ্যা মাত্র সত্তর-পঁচাত্তরটি কিন্তু মেলার সময় দেখা যায় হুটহাট গজিয়ে ওঠা প্রকাশনা সংস্থার দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়ে প্রকৃত সৃজনশীল প্রকাশনাগুলো।
এর ফলে সৃজনশীল বইয়ের প্রসারে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। ’ তার মতে, বইমেলা কেবল প্রকৃত প্রকাশকদের মেলা হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা দেখি বিভিন্ন এনজিও সংগঠনের জনসংযোগ বিভাগের পুস্তিকা, বুলেটিনের জন্যও তারা স্টল বরাদ্দ পায়। মেলায় এদর স্টলের সংখ্যা প্রকৃত প্রকাশকদের স্টলের চেয়ে বেশি। এতে মেলার পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, বইমেলায় গিয়ে পাইরেট বই কিনে পাঠকরা নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছে, ফলে মেলা সম্পর্কে তাদের মনে একটা বিরূপ ধারণার জš§ হচ্ছে। ফলে মেলায় প্রকৃত পাঠক ও ক্রেতার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এতে ক্ষতির শিকার হচ্ছে সৃজনশীল প্রকাশনা।
মেলা উপলক্ষে অনেক নবীন লেখক নিজের টাকায় বই ছেপে পাঠকের হাতে গছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এতেও বইয়ের বিপণনে বিরূপ পরিস্থিতির জš§ হচ্ছে।
মেলার পরিবেশ যদি ঘিঞ্জি না হয়ে যথেষ্ট খোলামেলা, প্রশস্ত পরিসরে হতো তবে লেখক-পাঠক-প্রকাশক সবারই উপকার হতো। স্টলের বরাদ্দ প্রকৃত সৃজনশীল প্রকাশকদের দিয়ে এর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। তিনি মনে করেন, ছুটির দিনগুলোতে অতিরিক্ত ভিড়ও বিড়ম্বনা তৈরি করে। বইমেলাকে আমরা মেলায় পরিণত করে ফেলেছি। ফলে বই কেনা নয়, মেলায় আসা ক্রেতারাও ঘোরা ফেরার দর্শকে পরিণত হচ্ছেন।
অথচ হওয়া প্রয়োজন ছিল মেলায় আসা দর্শকও ক্রেতায় পরিণত হবেনÑ মেলায় ঘুরতে এসে বই কিনে বাড়ি ফিরবেন। এই ব্যর্থতায় প্রকাশকদেরও দায়ভার রয়েছে। বই প্রকাশনা এবং বিপণনে আমরা প্রকাশকরাও বইমেলার ওপর বেশি নির্ভরতার পরিচয় দিচ্ছি।
সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থাগুলো বছরব্যাপী সারা দেশে পর্যায়ক্রমে বইমেলার আয়োজন করতে পারে। যেমন এবারের ঢাকা বইমেলাÑ যেটি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজন করত, সেটি রাজশাহীতে হয়েছে।
রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার বিশিষ্ট সংস্কৃতি অনুরাগী, কবি আসাদ মান্নান ঢাকার মেলাটিকে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন। এ বইমেলাকে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য বিভাগীয় শহরে করে বইকে পাঠকের নাগালে পৌঁছে দিতে হবে। যে কোন পণ্যকেই ক্রেতা দুয়ারে টোকা দিতে হয়Ñ বইও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু রূঢ় সত্যি এটাই, আমরা বইকে ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে পারছি না।
আফজাল হোসেন আরও বলেন, আমরা আমাদের প্রকাশনীর বই ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে সতত সচেষ্ট।
দেশের যে কোন স্থান থেকে অনিন্দ্যর বই কিনতে পারেন যে কোন পাঠক। আমাদের মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড করে বইটির মূল্য পাঠালেই আমরা কুরিয়ারযোগে পাঠকের ঠিকানায় বই পাঠিয়ে দিই।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, ঢাকার বাইরে শুধু বিভাগীয় শহরে নয়, জেলা, উপজেলাসহ দেশের প্রসিদ্ধ স্থানগুলোতে বইকে নিয়ে যেতে হবে। আর এ উদ্যোগ প্রকাশকদেরই নিতে হবেÑ যেমন উদ্যোগ নিয়ে একাকী শুরু করেছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। আমাদের সামনে তার উজ্জ্বল উদাহরণ রয়েছে, প্রয়োজন কেবল সদিচ্ছার।
তার দেখানো পথ অনুসরণের। বই যত গণমুখী হবে প্রকাশনা তত শক্ত ভিত্তি অর্জন করবে।
দেশের মানুষের পাঠাভ্যাস বেড়েছে, পাঠকেরা সচেতন
Ñফয়সল আরেফিন দীপন
প্রকাশক, জাগৃতি প্রকাশনী
শুচি সৈয়দ
আমাদের প্রকাশনা জগৎ সম্পর্কে তার সার্বিক ভাবনা এ শিল্পের সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িত থাকার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন জাগৃতি প্রকাশনীর ফয়সল আরেফিন দীপন।
২০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, ২০ বছর আগের চেয়ে এখন মানুষের পাঠাভ্যাস অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি কেবল সৃজনশীল বইভিত্তিক নয়, দৈনিক পত্রিকা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট পর্যন্তÑ নানা মাধ্যমে মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পড়ে।
প্রতি বছর অনেক সৃজনশীল বই প্রকাশিত হয় এখন। তবে যত বই প্রকাশিত হচ্ছে তার সবগুলো পাঠোপযোগী নয়। আমি বিশ্বাস করি পাঠক এখন যথেষ্ট সচেতন; তারা ভালো বইটিই সংগ্রহ করেন এবং পড়েন। সার্বিকভাবে বলতে পারি প্রকাশনা এখন অগ্রসরমান এবং বই পাঠের আনন্দ অন্য কোন মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব নয় বিধায়, যে মানুষ একবার বইপাঠের আনন্দ খুঁজে পেয়েছেÑ তাকে বইয়ের কাছে থাকতেই হবে।
তিনি প্রকাশনাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর জন্য লেখক-প্রকাশকদের পেশাদারিত্ব সর্বাগ্রে প্রয়োজন বলে মনে করেন।
তার মতে, বইয়ের প্রসারে করণীয়Ñ লাইব্রেরি আন্দোলন একটি বড় উদ্যোগ। একসময় পাড়ায় মহল্লায় পর্যন্ত লাইব্রেরি ছিল, যা আজ বিলুপ্তপ্রায়। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এ ব্যাপারে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাও এ ক্ষেত্রে কিছু লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এ উদ্যোগ অপ্রতুল।
জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র এবং গণগ্রন্থাগার অধিদফতরকে আরও বেশি সক্রিয় করা সম্ভব।
বইয়ের ভালো কিছু দোকান গড়ে তোলা প্রয়োজন। প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া কেবল বইমেলার সময় বই নিয়ে আলোচনায় থাকে, যেটা সারা বছরই প্রয়োজন। বইমেলার আগেই লেখকরা বই প্রকাশে মনোযোগী হয়, যেটা বছরের অন্যান্য সময়ও করা যেতে পারে। প্রকাশকরাও কেবল বইমেলার সময়ই বই প্রকাশ করে থাকেন।
যেটা আমাদের পুরো শিল্পের ওপর ঋণাÍক প্রভাব ফেলে বলে আমি মনে করি। এ বিষয়ে কাজ করার এবং সম্ভাবনা তৈরির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে ইন্টানেটভিত্তিক বই বিপণন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমি দেখেছি মানুষ হাতের নাগালে ভালো বই পেলে সংগ্রহ করে; সুতরাং বইকে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছানোর কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। বইকে সহজলভ্য করা গেলে এই সম্ভাব্য ক্রেতাকে প্রকৃত ক্রেতায় রূপান্তরিত করা সম্ভব।
দেশের বেশিরভাগ লেখকেরই অভিযোগ রয়্যালিটি প্রদানের বিষয়ে আপনারা উদাসীন। এ অভিযোগের জবাবে বলেন, যে লেখকের বই বিক্রি হয়, তারা লেখক সম্মানী পেয়ে থাকেন। প্রকাশক যখন লেখকের দ্বারস্থ হয়ে পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করেন তখন অগ্রিম সম্মানী ছাড়া যদি তারা পাণ্ডুলিপি না দেন, তাহলে এ অভিযোগ থাকবে না বলে মনে করি। প্রকাশকও এ ক্ষেত্রে সেই বইয়ের ব্যাপারেই আগ্রহী হবে যেটা প্রকাশ করে তারা মুনাফা করতে পারবে। সম্মানী না দিলে পরবর্তী বইটি তারা আর প্রকাশ করতে পারবে না।
সুতরাং নিজস্বার্থেই প্রকাশক সম্মানী প্রদান করবে।
আরেকটি কথা; লেখকরা প্রকাশকের দ্বারস্থ না হয়ে লেখক হিসেবে দাঁড়ানোর মাধ্যমগুলোতে নিজের লেখকসত্তার স্বীকৃতি আদায় করতে পারে। প্রকাশকরাই তখন লেখকদের খোঁজ করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বই প্রকাশে উদ্যোগী হবেন।
যারা লেখক সম্মানী নিয়ে অভিযোগ করেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বইয়ের বিক্রি নিতান্তই কম হয়। লেখকরা বার্গেনিং পয়েন্টে থেকে সমস্যার সমাধান করতে পারে বলে মনে করি।
প্রকাশকের নির্ভরশীলতা লেখকের ওপর, লেখক ছাড়া প্রকাশনা অচল; আর প্রকাশক যদি কোন লেখকের বই প্রকাশে আগ্রহী না হন তা হলে সেটা পাণ্ডুলিপি আকারেই পড়ে তেলাপোকার খাদ্য হবে। সুতরাং বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার ভিত্তিতেই হওয়া উচিত। বর্তমানে অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আমাদের বইমেলার অসম্পূর্ণতাগুলো কি কি বলে আপনি বোধ করেন? এ প্রশ্নের উত্তরে জানান, আমাদের বইমেলার পরিসর এ ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা। যেখানে বইমেলায় ৫ হাজার ক্রেতা-পাঠককে ঠাঁই দেয়ার জায়গা নেই, সেখানে আমরা প্রতিদিন জোর করে ৫০ হাজার মানুষকে প্রবেশ করাচ্ছি।
এতে বঞ্চিত হচ্ছে পাঠক-ক্রেতা-প্রকাশনা সংস্থাগুলো। বইমেলাকে বড় পরিসরে করাটা এখন সময়ের দাবি। বইমেলায় স্টলের আকার বই প্রদর্শনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এসব বিবেচনায় রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
এজন্য প্রকৃত প্রকাশকদের চিহ্নিত করে স্টল বরাদ্দ করা যেতে পারে।
ভালো বই প্রকাশ করার ব্রত নিয়েই এই পেশায় আÍনিয়োগ। আমি মনে করি সম্ভাবনাময় এই সেক্টর আরও পেশাদারি হয়ে উঠবে। জাগৃতি থেকে ভালো বই পাঠকের হাতে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।
বইবান্ধব সরকারের সময় বাংলা একাডেমীর
কাছে আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল
-ওসমান গনি
প্রকাশক, আগামী প্রকাশনী
শুচি সৈয়দ
আগামী প্রকাশনীর ওসমান গনি এবারের বইমেলা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রকাশনায় অমর একুশের গ্রন্থমেলা বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আর এ মেলা জমিয়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে মিডিয়া।
প্রথমে প্রিন্ট মিডিয়া, এখন যুক্ত হয়েছে ইলেকট্রনিক মিডিয়া। সব মিলিয়ে বইমেলা এখন বাঙালির উৎসবে পরিণত হয়েছে। তার মতে, প্রকাশক-অপ্রকাশক, সংগঠন-অসংগঠন সবাই এতে যোগ দিতে চায়। বাংলা একাডেমীর জায়গা তো আর বাড়ানো যাবে না। যে জায়গাÑ গ্রন্থমেলার নীতিমালা কঠোর ভাবে অনুসরণ করা গেলে এখানেই আরও পাঁচ বছর মেলা অনুষ্ঠান সম্ভব।
কারণ এত প্রকাশক কোথায়? অনেক মৌসুমি প্রকাশক, নেট-পাইরেট বইয়ের প্রকাশকরা নানা তদবিরে স্টল পাচ্ছেন। তাদের প্রতিহত করতে হবে। এটা করা যে সম্ভব, সে উদাহরণও রয়েছে।
তিনি বলেন, বইমেলা নিয়ে একাডেমীকে ভাবতে হবে। প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
কারণ প্রকাশক মেলার প্রাণ। নতুন নতুন বই প্রকাশ করে তারা জাতিগঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন, পাঠক আকৃষ্ট করেন এবং প্রতি বছর অনেক টাকা দেন। এবারও অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে বাংলা একাডেমী ৩৫ লাখ টাকার বেশি পেয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান বইবান্ধব সরকারের সময় বাংলা একাডেমীর কাছে প্রকাশকদের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। জায়গা সংকটের অজুহাতে প্রবীণ প্রকাশক, যারা প্রকাশনা শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছেন, তাদের স্টলের ইউনিট বৃদ্ধি না করে একাডেমী সুবিচার করেনি।
অথচ অন্যদের ইউনিট বৃদ্ধি করেছে। আর শৃংখলা? রাস্তায় নেট-পাইরেট বই। বাংলা একাডেমী ইচ্ছা করলেই শৃংখলা রক্ষা করতে পারে। প্রয়োজনে প্রকাশকদের সহযোগিতা নিতে পারে।
ওসমান গনি বলেন, পাইরেসি বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের জন্য একটি বিরাট সমস্যা।
অনেকেই বিদেশী বই নকল করত, এখন দেশী বইও কোন কোন ক্ষেত্রে নকল হচ্ছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সরকারের টাস্কফোর্স ব্যাপক সহযোগিতা করছে। বইমেলা চলছে। অনেক পাঠক-ক্রেতা আসছেন।
আপনারা বই দেখে, প্রকাশক দেখে বই কিনবেন। প্রতারিত হবেন না।
তার অভিমত, এ মেলাকে কেন্দ্র করে এত বই প্রকাশিত হয় যা খুব চিন্তার বিষয়। কারণ ‘বই’ নামে যত বই প্রকাশিত হয়, সবই বই নয়। মানসম্মত বইয়ের দিকে সবার গুরুত্ব দেয়া দরকার।
ওসমান গনি বরেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি উপজেলায় ‘পাবলিক লাইব্রেরি’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিচ্ছে। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বুক কর্নার’ স্থাপন করার কর্মসূচি নিয়েছে এবং অনেক বেসরকারি পাঠাগারে অনুদান দিচ্ছে। আমরা ‘বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’র মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে বইমেলার আয়োজন করছি। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত বইমেলায় সহযোগিতা দিচ্ছি। পাঠক বৃদ্ধি তথা শিক্ষিত সমাজ এবং সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে প্রকাশকরা সহায়ক ভূমিকা রাখছেন।
তিনি জানান, তার আগামী প্রকাশনী এবারের বইমেলায় ৮০টির অধিক বই প্রকাশ করছে। হাসনাত আবদুল হাইয়ের ১০টি নতুন বই প্রকাশ উল্লেখ করার মতো বিষয়। আর তসলিমা নাসরিনের আÍজীবনীর সপ্তম খণ্ড ‘নির্বাসন’তো অনেক বিক্রি হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।