আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

S.S.C পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করে S.S.C তে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী !!!!!!!!!!!

কিছু দিন আগে প্রথম আলোতে চিঠিপত্র কলামে দেখলাম এক মায়ের অভিযোগ তার ছেলে সারা বছর ভালো ফলাফল করেও J.S.C পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পায়নি অথছ ক্লাসের সবচেয়ে খারাপ ছাত্র জিপিএ ৫ পাচ্ছে !! আমি বলছিনা খারাপ ছাত্র জিপিএ ৫ পেতে পারবেনা, কিন্তু এই ব্যাপারটা মানতে আসলেই কষ্ট হয়,যে ছেলেটা পুরো বছর পড়াশুনা করলো আর ক্লাসে ভালো রেসাল্ট করলো সে কেন জিপিএ ৫ পাচ্ছেনা ?? আসুন ব্যাপারটা একটু ঘেটে দেখি, বি.বাড়িয়া জেলার অদূরে একটি গ্রামের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে গেলাম বেড়াতে। খুব ভালো শিক্ষক তিনি। ক্লাসে কখনো নাকি ফাঁকি দেননা। কিন্তু এই শিক্ষক কিছু কিছু ছেলের জীবন যে ধ্বংস করে দিচ্ছেন তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। ও,বলে রাখা ভালো কাহিনীটা যে বছর তার আগের বছর উনার ছেলে S.S.C ফেল করেছে।

আমি গিয়ে লক্ষ্য করলাম খুব গোপনে তিনি তার ছেলেকে দিয়ে S.S.C পরীক্ষার খাতা দেখাচ্ছে !!!!!!!!!!!!!!!!! অবাক হয়ে খেয়াল করলাম ব্যাপারটা !! লোকমুখে শুনতে পেলাম তিনি নাকি সময় না পাওয়ার কারনে উনার স্ত্রীকে দিয়েও প্রায়ই S.S.C পরীক্ষার খাতা দেখান!! বিস্ময় শুধুই বিস্ময়! উনার স্ত্রী S.S.C পাশ কিনা সেটা আমার জানা নেই! কিন্তু আমার কষ্ট হয় এখানে, যে শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর সে শিক্ষক কিভাবে একটি মানুষের জীবন সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে! S.S.C ফেল করা একজন শিক্ষার্থী কখনোই একটা S.S.C এর স্টুডেন্টের খাতা মূল্যায়ন করার যোগ্যতা রাখেনা। এবার আসুন আমার জীবনের একটি কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করি। ২০১০ এ আমি H.S.C পাশ করি। আমাদের সময় বাংলা প্রশ্ন খুব সহজ হয় আর আমার বাংলা পরীক্ষাও খুব ভালো হয়। আমি মোটামুটি ভাবে নিশ্চিত ছিলাম যে বাংলাতে আমার জিপিএ ৫ থাকবে।

মজার ব্যাপার ঘটলো রেজাল্ট দেয়ার পর। আমি খেয়াল করলাম আমার সিরিয়ালে যারা ছিল মানে আমার সামনে পিছনে যারা ছিল সবাই বাংলায় গড়ে ৩.৫ করে পেয়েছে। এমন অনেকেই আছে যারা সব বিষয়ে জিপিএ ৫ অথছ বাংলায় ৩.৫!! শুনলে আরও অবাক হবেন আমরা যারা বাংলায় গড়ে ৩.৫ পেয়েছি তারা সবাই বুয়েট,কুয়েট,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,শাবিপ্রবি কিংবা বাকৃবির মতো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। তার মানে হল এখানে বাংলায় জিপিএ ৫ পাওয়ার ছাত্র অবশ্যই ছিল। খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি,যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হতো তাহলে এক সিরিয়ালের প্রায় ৫০ জন বাংলায় ৩.৫০ পেতনা।

তার মানে H.S.C পরীক্ষার খাতাও অনেক শিক্ষক নিজে মূল্যায়ন করেনা। আর এ কারনেই অযোগ্য শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করছে আর যোগ্যরা করছে ফেল!! সরকার যদি এ ব্যাপারে কঠোর না হয়ে শুধুমাত্র জিপিএ ৫ দেখে দেখে খুশিতে পাগল হয়ে যান তাহলে সঠিক মেধার মূল্য থেকে মেধাবীরা বঞ্ছিত হতেই থাকবে!! আর এসব অর্থলোভী শিক্ষক যারা কিছু টাকার লোভে নিজে খাতাটা মূল্যায়ন না করে বউ ছেলেমেয়ে দিয়ে মূল্যায়ন করায় তাদেরকেও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া উচিত। সকল শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ আপনারা একটু সময় আর টাকা বাঁচানোর জন্য দয়া করে এভাবে কোন ছাত্রের জীবন নষ্ট করবেন না। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।